Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

ইন্টারনেট ও আমি

Spread the love

ইন্টারনেট ও আমি

ইন্টারনেট আমার কাছে যেন একটা নেশা। মানুষের অনেক নেশা থাকে। যেমন স্মকিং, ড্রাগস নেয়া। কিন্তু আমার কাছে প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করা একটা নেশা।কি নেই এখানে। যা কিছু জানার তা মুহূর্তেই পাওয়া যায়। এ যেন একটা আস্ত লাইব্রারি। যে লাইব্রারির আয়তন বিশ্বময় । এটা থাকে আমার পকেটে বা আমার ছোট্ট ম্যাক বুক কম্পিউটারে।

যখন দেখি যুবক যুবতীরা কাজ না পেয়ে এদিক সেদিক হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন ভাবি…. কাজের কি অভাব আছে? কত কিছু না শেখার আছে। কাজ জানলে কেউ কি ঘরে বসে থাকে? হতাশ হয়? কাজের লোকের তো সময় ই থাকে না। সারা দিনের কাজ করার।

এখন ইন্টারনেট এর যুগ। সব কিছু ইন্টারনেট এ পাওয়া যায়। কোন একটা কাজ শিখে নিলে সারা দিন সময় কাটানো যায়।

আমার ইতিহাস ভাল লাগে। সোমালিয়াতে ছোট্ট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে এসব দেখে কষ্ট পাই। মনটা খারাপ হয়ে যায়। কিছু কি করার আছে আমার? ইতিহাসের নানান ঘটনা আমাকে ১০০০ বছর -৫০০০ বছর এমনকি ৪.৬ কোটি বছর পূর্বের দিন গুলোতে নিয়ে যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে আবার আনন্দ ও পাই। যখন কোন সুখের খবর শুনি বা মানুষের সুখ ও শান্তির ভিডিও দেখি। 

ইন্টারনেট

আমি ইন্টারনেট এর মাধ্যমে নিজে নিজে অনেক কিছু শিখেছি। যেমন, Adobe illustrator, ভিডিও এডিটিং, Online আয়, নিজের একটা ওয়েবসাইট, একটা ইউটিউব, কিভাবে বিশ্বের দামি দামি বই গুলো পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে আধুনিক সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিখতে, ইন্টারনেট ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই। আমি এখনও শিখছি। আমার একটা ইন্টারনেট এ আয় করার ব্যবস্থা আছে। যা আমি শিখেছি নিজে নিজেই। মানুষ পারেনা এমন কোন কাজ নাই। শুধু লাগবে ইচ্ছা শক্তি আর কাজে লেগে পড়া। ব্যর্থতা কোন অজুহাত নয়। বিফল হলেই মানুষ সফল হয় সফলতার মন্ত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

ইন্টারনেটে আমি কি কাজ বেশি করি?

ইন্টারনেট আমার শিক্ষক হিসাবে মন্দ নয়। যদিও সরাসরি শিক্ষকের থেকে বিদ্যা শিক্ষার কোন তুলনা হয় না এমনকি এই আধুনিক যুগে এসেও। নিজে নিজে বই পড়ে জানাটা কিছুটা অপূর্ণতা থেকে যায়। হাতেকমলে বাস্তবতার ভিত্তিতে শিক্ষা আর কল্পনার জগত দুটি ভিন্ন বিষয়। মহর্ষি চাণক্য বলেছেন শিক্ষা গুরুর থেকে সরাসরি বিদ্যা শিক্ষা আর নিজে বই পড়ে শিক্ষার দুই রকম জ্ঞান, একটা পরিপক্ব আর একটা আধা পাকা। তবে বই যে মানুষের প্রকৃত বন্ধু এ কথা অনস্বীকার্য। বই কখনও কাউকে বিপথে নিয়ে যায় না। একটি ভাল বই চাই।

প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখতে ইন্টারনেট ব্যবহার করার কোন বিকল্প নাই। যখনই আমার বিদেশের কোন শহর দেখতে ইচ্ছা করে আমি ঘুরে আসি। গুগল স্ট্রীট ভিউ দিয়ে আমেরিকার কোন প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসলাম। শহরটা দেখলাম। নতুন শহর, কত মানুষ কেউ হেঁটে যাচ্ছে, কেউ বসে খাচ্ছে, সব গুলো পুতুলের মত দাঁড়িয়ে আছে আমি কেমন সবাক তারা যেন নির্বাক। আরব আমিরাতের সুউচ্চ ইমারত সমুদ্রের ভিতরে। মনে হয় কাছেই আছি। এমনটাই আমি চাই। আমার সময় কাটে ইন্টারনেট এ সারা দিন।

ইন্টারনেট কি আমার জীবন পরিবর্তন করতে পারে?

অবশ্যই ।  ইন্টারনেট আমাদের জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে। পৃথিবীর দুর দূরান্তের কোন নতুন বন্ধু তৈরি করে দিতে পারে। দুরের কোন গবেষক এর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারে। নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। তাই ইন্টারনেট এ ভাল ব্যবহার করতে হবে। কারণ ইন্টারনেট এর খারাপ ব্যবহার ও আছে। এতে মানুষ ধীরে ধীরে খারাপের পথে পা বাড়ায়। নিজেক শেষ করে দেয়।  পর্ণগ্রাফী বা অনলাইন জুয়া খেলাতে আসক্ত হয়ে জীবনের সব আশা বা ভাল ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিতে পারে।

ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

ভাল কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয় যেমন। 

# বই পড়া 

# নতুন নতুন ইতিহাস ভিত্তিক মুভি দেখা

# অনলাইনে কাজ করা

# অনলাইনে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা

# খবর দেখা বা শোনা

 # সুস্থ বিনোদন মূলক ভিডিও দেখা বা বই পড়া

 

এভাবেই ইন্টারনেট এর ভাল ব্যবহার করে জীবনকে আরও সুন্দর করে গড়ে  তোলা যায়। আমি মনে করি ইন্টারনেট জীবনের জন্য একটা অতি আবশ্যক জিনিষ । ইন্টারনেট সবার বাসায় থাকা উচিত বর্তমানে। এতে নিজের জীবনের গতি বৃদ্ধি পাবে । জীবন অনেক সুন্দর হবে।