Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

খনিজের উৎপত্তি

Spread the love

খনিজের উৎপত্তি

ভূ পৃষ্ঠের নিচে ভূত্বকে এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থ রয়েছে যেমন হীরা,সোনা,তামা,সালফার, সিলিকেট, অক্সিজেন ইত্যাদি। এগুলোর বেশিরভাগই মৌলিক পদার্থ। আর এসব মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে তৈরী ধাতু, অধাতু গুলোর সমন্বয়ে গঠিত এই খনিজ। খনিজ মূলত অনেকগুলো মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে তৈরী তাই এটি একটি যৌগিক পদার্থ। এসকল খনিজ মিলে আবার শিলা গঠন করে যার কারণে অনেক সময়ই এটা বলা হয়ে থাকে যে, শিলাস্তূপ এর মধ্যে খনিজের সন্ধান মিলে।কিন্তু মূলত শিলা এক ধরণের খনিজ পদার্থ আর এদের বিশেষ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় এদের আকার আকৃতি ও রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ায় এদের আচরণ থেকে।


খনিজের উৎপত্তি  ও শিলাঃ


অসমসত্ত্ব অজৈব পদার্থ।
• কঠিন ও স্ফটিকাকার নয়।
• নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংকেত নেই।
• শিলার ধর্ম এর গঠনকারী খনিজ দ্বারা পরিবর্তিত হয়।
শিলা খনিজসহ বালি,মাটি, কাদার সমন্বয়ে গঠিত।
শিলা ৩ভাগে বিভক্ত।

  1. আগ্নেয় শিলা
  2. পাললিক শিলা
  3. রূপান্তরিত শিলা
    শিলাচক্রের মাধ্যমে গলিত ম্যাগমা থেকে আগ্নেয় শিলা এরপর পরিবেশের বাহ্যিক প্রভাব আবহাওয়া, প্রত্যাবর্তন এর থেকে পাললিক শিলা আবার এর উপর অভ্যন্তরীণ প্রভাব চাপ,তাপ,পানি প্রবাহের ফলে এই শিলায় রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
    খনিজ
    • সমসত্ত্ব অজৈব পদার্থ।
    • কঠিন ও স্ফটিকাকার।
    • নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংকেত আছে।
    • খনিজের ধর্ম এর গঠনকারী মৌল দ্বারা পরিবর্তিত হয়।
    খনিজ পদার্থ চেনার জন্য এর বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে ৩টি ভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
  4. আকৃতিগত বৈশিষ্ট্য
     এই বৈশিষ্ট্য গুলো কিছু বিশেষ উপাদান এর উপর নির্ভরশীল। সেগুলো হচ্ছে
    • বাহ্যিক আকার ও অভ্যন্তরীণ গঠন (External appearance and internal structure)
    • আপেক্ষিক গুরুত্ব (Specific gravity)
    • বস্তুর উপর টানের প্রভাব (Tenacity)
    • রঙ (Colour)
    • কাঠ্যিনতা (Hardness)
    • স্বচ্ছতা Transparency)
    • ফাটল (Fracture and cleavage)
    • চাকচিক্যতা (Lustre)
  5. রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য
    এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে খনিজ পদার্থ গুলোকে এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে অথবা এর তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষার দ্বারা এগুলোকে আলাদা করা হয়।
  6. আণুবিক্ষণিক বৈশিষ্ট্য
    Polarizing microscope এর সাহায্যে Optical Mineralogy প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার করে এই খনিজ পদার্থ গুলোকে পৃথক করা হয়।
    আমাদের ভূত্বক সাধারণত অনেক ধরণের পদার্থ দ্বারা তৈরী। কিন্তু অধিকাংশই সিলিকেট দ্বারা তৈরী যার মধ্যে সিলিকন (৪৬%) ও অক্সিজেন (২৭%)। এ কারণেই সাধারণত খনিজ ২ ধরণের হয়ে থাকে।
     সিলিকেট খনিজ
    সিলিকেট খনিজ গুলোকে ৫ টা গ্রুপে ভাগ হয়েছে।
     ফেলস্পার গ্রুপ (Felspar group)
     পাইরক্সিন গ্রুপ (Pyroxene group)
     এম্ফিবোল গ্রুপ (Amphibole group)
     মিকা গ্রুপ (Mica group)
     সিলিকেট মিশ্রিত খনিজের গ্রুপ (Miscellaneous group)
     নন সিলিকেট খনিজ
    নন সিলিকেট গুলোকে আবার আলাদা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে।
     অক্সাইডস (Oxides)
     কার্বনেট্স (Carbonates)
     সালফাইডস (Sulphides)
     হ্যালইডস (Haloids)
     সালফেট্স (Sulphates)

এখানে কিছু খনিজের নাম দেখানো হলোঃ


টুর্মালিন


এটি বোরোন (Br) ও এলুমিনিয়াম (Al) এর সিলিকেট দিয়ে তৈরী একটি যৌগ।এছাড়া এর সাথে আরো আছে অল্প পরিমাণে আয়রন (Fe), ম্যাঙ্গানিজ (Mn),ক্যালসিয়াম (Calcium),পটাশিয়াম (K),সোডিয়াম (Na)।
ব্যবহার


এটি রেডিও ট্রান্সমিটার তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।এছাড়া বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বানাতে কাজে লাগে। ষষ্টতলকীয় কেলাস বা স্ফটিকাকার হয়ে থাকে এটা।


টোপাজ


এলুমিনিয়াম (Al) ও ফ্লোরিনের (Fl) এর সিলিকেট দিয়ে গঠিত।
ব্যবহার


সাধারণত এর সমন্বয়েই তৈরী হয় এসিডিক আগ্নেয় শিলা,যেমন গ্রানাইট এবং পিগমাটাইট।অভিজাত মণি পাথর হিসেবে এর ব্যবহার দেখা যায়।
উপরের খনিজ ২টি সিলিকেট খনিজ তেমন কিছু খনিজ জিরকন,এপিডট,জারনেট,অলিভাইন,বেরাইল।
নন সিলিকেট কিছু খনিজ হচ্ছে


হেমাটাইট


আয়রন অক্সাইড এর তৈরী ষড়ভুজাকৃতি কেলাস। (ফেরাস)
ব্যবহার
রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়ে লাইমস্টোন গঠন করে।


ম্যাগনেটাইট


আয়রন অক্সাইড এর রাসায়নিক সংগঠন।(ফেরিক)
ব্যবহার
আগ্নেয় শিলা আর রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
এমন নন সিলিকেট খনিজ হলো লিমোনাইট,ক্রোমাইট, কোরান্ডাম,বক্সাইট,ক্যালসাইট,ডলোমাইট,পাইরাইট,চ্যালকোপাইরাইট,গ্যালেনা।