Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

ফেসবুক ব্যবহারে কাদের সবথেকে বেশি সচেতন হওয়া উচিত?

Spread the love

ফেসবুক ব্যবহারে কাদের সবথেকে বেশি সচেতন হওয়া উচিত?

ফেসবুক আমরা অনেক কিছু লিখে থাকি। নিজেদের বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা। কোন একটা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা । নতুন কোন ঘটনা কোনো শুভ সংবাদ এমনকি কারো মৃত্যুর সংবাদও আমরা ফেইসবুকে দুঃখের সাথে কখনো কখনো আমরা এমন কোন কথা এমন কোন ছবি প্রকাশ করে থাকি যেগুলো সম্পূর্ণই একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার ।

সচারাচর যেগুলো আমাদের করা উচিত নয় । যেমন আমরা ইচ্ছা করলেই আমাদের নগ্ন শরীর ফেসবুকের সমস্ত বন্ধুদের দেখাতে পারেনা । এমনকি আমার শিক্ষক গুরুজন চাকরিদাতা এমনকি আমার সমালোচক প্রিয় ব্যক্তিরাও আমাকে অনুসরণ করতে পারে । তাই বর্তমান সময়ে কোনো একটা মানুষের মনের কথাগুলো মন তাকে বোঝার জন্য ফেসবুকের পোস্টগুলো একটা মাধ্যম হতে পারে।

যারা চাকুরিপ্রার্থী

চাকুরি প্রার্থীদের ফেসবুক ব্যবহারে অবশ্যই অবশ্যই সচেতন হতে হবে।  কারণ আপনার একটি পোস্ট আপনার চাকুরীর পোস্ট কে তাড়িয়ে দিতে পারে।  এখন আপনাকে ভাবতে হবে আপনি ফেসবুকের পোস্ট তাকেই গ্রহণ করবেন নাকি চাকুরীদাতা পোস্ট বা পদ কে গ্রহণ করবেন?

ফেসবুক ব্যবহারে
ফেসবুক ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।

চাকুরীদাতা আপনার অতীত জীবনের কর্মকাণ্ড আপনার ব্যক্তিত্ব আপনার চিন্তা আপনার চিন্তা করার ক্ষমতা আপনার সামগ্রিক স্মার্টনেস অথবা আপনার জীবন ধারা সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনার ফেসবুকের প্রতিদিনের পোস্টগুলোকে সে দেখে আসতে পারেন।  আপনার ফেসবুক প্রোফাইল লিঙ্ক তখন আপনার ফেসবুকের কোন একটি পোস্ট আপনার চাকরিদাতার নজরে পড়লে আপনাকে কি বিশ্বাস করতে পারবে যে আপনি গোপন কথা গুলো নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে পারবেন? 

অথবা কোম্পানির কিছু গোপন পরিকল্পনা স্ট্রাটেজি অথবা কোন পরিকল্পনা আপনাকে বলতে বা আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে কি সাহস পাবে?  অবশ্যই না।  সে ক্ষেত্রে আপনার চাকরিটা না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।  শুধু এজন্যই নয় আপনার দীর্ঘ চাকরি পাওয়ার সংগ্রামে ফেসবুকের একটি পোষ্ট অধিক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।  তাই সর্বদা ভেবেচিন্তে ফেসবুকে চাকরিপ্রার্থীদের যেকোনো পোস্ট করা উচিত।।

চাকুরীরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে

চাকুরীরত ব্যাক্তিদের ফেসবুকের একটি পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।  বিশেষত প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি গুলো।  কারণ বর্তমান সময়ে অযাচিতভাবে কিছু মানুষ আপনার সমালোচনা করতে পারে এবং আপনার উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।  যে কোন ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে এবং এক পর্যায়ে আপনি অন্য মানুষের কাছে নিগৃহের ব্যক্তি হতে পারেন।  আপনাকে সবাই মন্দ ভাবে উপস্থাপন করতে পারে অন্যের কাছে।

অনেক সময় মনের অজান্তেই আমাদের ভিতরের কষ্টগুলোকে হিংস্রভাবে হিংসাত্মক ভাবে প্রকাশ হয়ে যায়।  যেটা আপনার চাকুরী জীবনের কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।  তৈরি হতে পারে সারা জীবনের শত্রু এবং এই শত্রুতা আপনি মিত্রতা এ পরিণত করতে ততোধিক পরিশ্রান্ত হতে হবে।

বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে

আপনার বিবাহ 10 বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এখন আপনার কাছে ফেসবুকের পোস্টগুলো দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা এসেছে।  তবে এই স্বাধীনতা কোন সুযোগ-সন্ধানী ব্যক্তির জন্য একটি বড় সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।  আপনার ক্ষতি করার জন্য আপনাকে সে ফলো করতে পারে।  অনুসরণ করতে পারে। আপনার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। 

এজন্য বিবাহিত মেয়েদের ফেসবুকে যেকোনো পোস্ট করার ক্ষেত্রে একটু সচেতন হতে হবে।  যাতে কোন সুযোগ সন্ধানী ছলনাকারী ছলনার উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার জীবনে মিথ্যা সম্পর্কে জড়াতে না পারে। এটা আপনার সুখের সংসারে বিষবাষ্পের মত সারা জীবন সুখের পথে কাটা হয়ে দাঁড়াবে।

 

আরও পড়ুনঃ

সফল হওয়ার উপায়: 2 টি বাস্তব গল্প

রাত জেগে কাজ করা ভাল না খারাপ