Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

বেহুলা র বাসর ঘর কি আসলেই বগুড়াতে ছিল

Spread the love

বেহুলা র বাসর ঘর কি আসলেই বগুড়াতে ছিল

বগুড়া শহর থেকে দশ কিলোমিটার উত্তরে এবং মহাস্থান গড় থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে গোকুল গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে যে ঢিবিটি আছে তাকেই বেহুলা র বাসর ঘর বলে অভিহিত করা হয়। স্থায়ীয় ভাবে গোকুলের মেড়  বলা হয়। প্রত্ন তত্ত্ব অধিদপ্তরের দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে এটি একটি। বেহুলার বাসর ঘর কে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন কৌতূহল দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এই স্থান কে নিয়ে অনেকে মানত করেন। কেউ বা এখানে এসে নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে এ স্থানে বসে থাকে। 

হিন্দু সম্প্রদায়ের মনসা ভক্ত নারী পুরুষ এখানে পূজা দিয়ে থাকে। আবার অনেকে বেহুলার বাসর ঘরের স্থান থেকে উদ্ধার করা প্রস্তর খণ্ডের কাছে এসে শিব পূজাও করে থাকে। প্রস্তর খণ্ড এটা মূলত বট গাছের নিচে রয়েছে। সেখানে সরিষার তেল ঘি মধু সাদা ফুল সিন্দূর তুলসী পাতা মোমবাতি দেশলাই ধুপশলা দিয়ে বিভিন্ন মানত কারী দুর দূরান্ত থেকে মানুষ এসে পূজা দিয়ে যায়।

এছাড়া প্রতি অমাবস্যাতে ও পূর্ণিমাতে রাতে দুধ কলা দিয়ে অনেকে মনসা পূজা করে থাকে । 

 নব দম্পতিরা বেহুলার বাসর ঘরকে একত্রে দেখতে আসে না । আলাদা আলাদা আসেন। তাদের ধারনা বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের বিচ্ছেদ হয়েছিল তাই একত্রে গেলে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। যেমনটা ঘটেছিল বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের জীবনে। ইটের তৈরি স্তূপ কে দেখে বুঝতে পারা দুষ্কর যে এটিই বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘর।

কোন যুগে কি উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল না কি আদেও এটি বেহুলা লক্ষিন্দররের এমন ঘটনা তা নিয়েও সন্দেহ করেন অনেকে। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ সূত্রে জানা যায় যে আনুমানিক সপ্তম শতাব্দী থেকে বারশ শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। ইটের তৈরি স্তূপটি নিয়ে চলছে না বিতর্ক । কিন্তু ধর্মপ্রাণ মানুষ ও প্রেমিক যুগল এর কাছে এই স্থানটি একটি তীর্থ স্থান। 

ঐতিহাসিকদের মতে বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের কাহিনীর বর্ণনা

অনেকে মনে করেন এই সম্রাট অশোকের নির্মিত একটি বৌদ্ধ মঠ এই বাসর ঘর। কেউবা মনে করেন বৈদেশিক আক্রমণকারীদের লক্ষ্য করার স্থান এটি । তবে এসব অনুমান দেশ ও দেশের বাইরের অনেকের । কিন্তু বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ এর গভীর বিশ্বাস এটি হল বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘর।

এবং বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে মনে করে এরা স্বর্গের দেবতা।স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে প্রেম ভালবাসার মধ্য দিয়ে এ পৃথিবীর মানুষকে সপথে  আনার জন্য বেহুলা লক্ষ্মীন্দর মর্ত্যে  এসেছিল। 

স্থানীয় লেখক তবিবর রহমানের বেহুলার বাসরঘর পুস্তিকা থেকে জানা যায় বেহুলার বাসরঘর এর উচ্চতা প্রাথমিক অবস্থায় আরও বেশি ছিল। কারণ এর প্রতিটি কক্ষই এক সময়ে আরও আলগা ইট এবং মাটিতে পরিপূর্ণ ছিল। পরবর্তীতে চুড়ায় থাকা ইটগুলো ধ্বসে পড়ে। সে সময় বাসর ঘরের সংস্কারের অভাবে এর উপরিভাগ একসময় খড়ে আস্বাদিত ছিল।

এর উপর বাম পাশে একটি ইটের কক্ষে একটি শিমুল এবং উপরের বাম দিকে একটি বড়ই গাছ ছিল। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ সরকার বাসর ঘরটি সংস্কার করে। গাছ দুটো কেটে ফেলে। সে সময় বাসরঘরটি সংস্কারের সময় একটি কংকাল আবিষ্কৃত হয়। 

বেহুলা
বেহুলার বাসর ঘর স্থান গোকুলের মেড়, বগুড়া

প্রত্ন তাত্ত্বিক বিভাগ এই কংকাল টি কোন এক সন্ন্যাসীর বলে মনে করে। এই কক্ষের মধ্যে ভাগের তলদেশে ১৩  টি গর্ত বিশিষ্ট একটি প্রস্তর খণ্ড পাওয়া যায়। প্রস্তর খণ্ডের মধ্যে গর্ত থেকে এক ইঞ্চি বর্গাকার এক ছোট স্বর্ণের পাত্র  উদ্ধার  করা হয়। স্বর্ণের পাত্রটিতে একটি উপবিষ্ট ষাঁড়ের প্রতিকৃতি খোদাই করা ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করে এটি  কোন শিব মন্দির ছিল।

প্রত্ন তাত্ত্বিক গন ২৪ কোনা বিশিষ্ট চৌবাচ্চার মত একটি কুপ আবিষ্কার করে। যা ৮ ফুট গভীর ছিল স্থানীয়দের মতে এটি বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের বাসর ঘরের বসবাসের সময় তৈরি কুপে রক্ষিত জলে স্নান করে যাতে পবিত্রতা লাভ করতে পারে। এই কুপ টি নিরাপত্তার জন্য ভরাট করে দেয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর পড় থেকে মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্ব কালে তার প্রচেষ্টায় এশিয়া বার্মা ও জাপানের মত এ দেশেও বহু স্থানে বৌদ্ধ মঠ স্থাপন করা হয়। ধারনা করা হয়। এই বাসর ঘরটি সেই বৌদ্ধ মঠের একটি  কোন কোন গবেষকের মতে এটি ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেবপাল কর্তৃক নির্মিত একটি বৌদ্ধ মঠ।

নেতাই ধোপানী কে এবং বাহুলা লক্ষ্মীন্দরের ঘটনার সাথে তার সম্পর্ক কী?

বেহুলার বাসর ঘর থেকে প্রায় ৫০০ মিটার পূর্বে এবং রংপুর বগুড়া মহাসড়ক থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পশ্চিমে একটি বিরাট ঢিবি দেখতে পাওয়া যায়।  বগুড়া বাসীর কাছে এটি নেতাই ধোপানীর ধাপ বা পাট নামে পরিচিত। এলাকার জনগণ জানান, এই ধাপের নিচ দিয়ে এক সময় এক নদী প্রবাহিত ছিল এবং নদী গোকুল মেড় এর নিকটে কাকিলাদিঘি বারানশি ও কালিদহ বিল কে সংযুক্ত করে রেখেছিল।

বর্তমানে এ নদী পথ ভরাট হয়ে প্রায় সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এককালে যে এখানে নদী ছিল তা চেনার কোন উপায় নাই। এইধাপে কাপড় কাঁচার সানবাধা বড় আকৃতির একটি চাড়ি পাওয়া গিয়েছিল। সম্ভবত এ কারণেই এই ধাপের নাম করন হয়েছে নেতাই ধোপানীর ধাপ।

পদ্মা কে? তার বাড়ি কোথায়?

মহাস্থান গড়ের পশ্চিমে সীমানা থেকে ৫০০ মিটার পশ্চিমে  চিংগাস্পুর মৌজায় কালিদহ সাগরের দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তে যে উঁচু ঢিবিটি দেখতে পাওয়া  যায়  স্থানীয় মানুষ সেটি মনসা দেবী,  পদ্মার বাড়ি। এই ঢিবি আয়তন উত্তর দক্ষিণে প্রায় ৯০ মিটার পূর্ব পশ্চিমে প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা প্রায় ৩ মিটার।

এই ঢিবি খননের  ফলে এখানে ফণা তোলা অবস্থায় প্রচুর পড়া মাটির সর্প মূর্তি এবং একটি কষ্টি পাথরের সর্প মূর্তি পাওয়া যায়। পাথরের মূর্তিটিতে দেবীর মাথায় আট টি সাপ ফণা তোলা অবস্থায় রয়েছে। একটি সাপ দেবীর স্তন পান রত অবস্থায় আছে।

প্রচলিত লোক বিশ্বাস যে মনসা দেবীর আট টি সন্তান রয়েছে। মা সহ সন্তানের এ সব মূর্তি গুলো মহাস্থান জাদুঘরে রক্ষিত আছে। এক সময় নাকি পদ্মার বাড়িতে প্রচুর কলা গাছ ছিল। এসব কলা গাছে প্রচুর কলা ধরত। কিন্তু বিষাক্ত বলে কেউ তা মুখে দিতে পারত না।

পদ্মার বাড়িতে নানা ধরনের সাপের আস্থানা ছিল। এখানে এত বেশি সাপ ছিল যে কোন মানুষ  এখানে আসতো না এবং আসতে সাহস পেত না। আজও অনেকে রোগ মুক্তির জন্য এখানে দেবীর নামে মানত এবং ঢিবির উপর দেবীর আসনে দুধ কলা দিয়ে আসে।

কালিদহ সাগর কি জন্য বিখ্যাত?

লোক মুখে জানা যায় যে, এই সেই কালিদাহ সাগর যেখানে শিবের বীর্য থেকে দেবী পদ্মার জন্ম হয়েছিল।   চাঁদ সওদাগর তার ছয় পুত্র সহ নৌকা ডুবে ছিল। এই সাগর থেকেই  শ্রী রাম চন্দ্র ১০১ টি নীল পদ্ম তুলে সীতা উদ্ধার করেছিল। কোথায় অবস্থিত  কালিদহ সাগর?

মহাস্থান গড়ের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে গড়ের বাইরে সীমানা যে নিচু জলা ভূমি বা বিল টি রয়েছে সেটি স্থানীয় জন মতে কালিদহ সাগর। এক সময় এটা এত গভীর ছিল যে ৪০/৫০ বছর আগেই নাকি এর পানি এত কালো ছিল যে হাতের অজলায় সে পানি তুললে তার কালো রং ধরা পড়ত। 

চিংগাস্পুর গ্রামের বৃদ্ধ আজিমউদ্দিন জানান যে ছোট বেলা কালিদহ সাগরের আশেপাশে দিয়েও হাঁটতাম না আর পানিতে নামার  তো প্রশ্নই ওঠে না। পারলে এর ধারেকাছেও  আসলাম না। এখন আর কিছু নাই। আগে খুব ধার ছিল। 

চাঁদ সাওদাগরের বাড়ি

যারা বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের কাহিনী জানে তারা চাঁদ সওদাগরের নাম শুনেন নাই এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। কোথায় ছিল সেই চাঁদ সাওদাগরের বাড়ি? মহাস্থান গড় থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দক্ষিণে পশ্চিমে এবং বেহুলার বাসর ঘর থেকে প্রায় দু কিলোমিটার পশ্চিমে নুঙ্গলা নামুজা সড়কের পাশে চান্দমুহা বা চম্পাই নগর গ্রাম।

এই গ্রামে র পশ্চিম প্রান্তে একটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রাচীন বাড়ি নাকি চাদসদাগরের বাড়ি ছিল । স্থানীয় জনমতে চাদসদাগরের নামানুসারে এই গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে। চাঁদ মুহা বা চম্পাই নগর। 

এই বাড়ির পাশ দিয়ে একসময় অটো নদী প্রবাহিত ছিল। নদীর কিনারায় বহুদূর পর্যন্ত একটি পাকা বাধান ঘাট ছিল। স্থানীয় ভাষায় এটি গঞ্জুরিয়ার ঘাট। বর্তমানে ঘাট টি দেখা না গেলেও এর কিছু ধ্বংসাবশেষ এখনো চোখে পড়ে। 

 বেহুলা ও ওঝা ধনন্তরীর বাড়ি

বেহুলার বাসরঘর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দক্ষিণ পশ্চিম হরিপুর হাজরা দিঘি ও রাম শহর সঙ্গমস্থলে একটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ সমেত মাটির ঢিবি বা স্তূপ দেহতে পাওয়া যায়। স্থানীয় জনমত এটি ওঝা ধনন্তির বাড়ি । বাড়িটি বিশেষ ভাবে সুরক্ষিত । বাড়ির উত্তর দারুঘড়া নামক ঔষাধালয় । স্থানীয় জন সমাজে এটি ওষুধের আড়া নামে পরিচিত   দারু ঘরের পরেই পূজার স্থান।

এই পূজার স্থানে মাটির নিচ থেকে অনেক দেব মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। বাড়ির দক্ষিণে একটি পুকুর। পুকুর পাড়ে ধনন্তির হাট।পুকুরে একটি পাকাঘাট আছে। পুকুরের মধ্যে একটি বড় তক্তা পাওয়া গিয়েছে স্থানীয় জনগণ এটাকে ধনন্তির রথের তক্তা বলে মনে করে। 

উজানি নগর

বেহুলার বাসর ঘর থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিণে রামশহর  গ্রামে একটি প্রাচীন ঢিবি দেখতে পাওয়া যায়।এইটি বেহুলার বাবা বাসো বানিয়ার ভিটা বলে খ্যাত। এই ভিটা যে জায়গাতে অবস্থিত তার নাম উজানি নগর। এই স্থানটির নাম উজানি নগর হওয়ার বিশেষ কারণ হল এখানে অটো নামে একটি নদী ছিল সেই নদীর স্রোত উজান দিকে মানে উত্তর দিকে প্রবাহিত হত। ।

বর্তমানে এইটি একটি ক্ষীণতর খালে রূপ নিয়েছে। এখনো এর স্রোত উজান দিকে বহমান। এটি পূর্বে কালিদহ সাগরের সাথে যুক্ত ছিল।

যোগীর ভবন- যেখানে লক্ষ্মীন্দর জীবন ফিরে পায়

বগুর শহর থেকে ১২ কিমি উত্তরে পশ্চিম এবং বেহুলার বাসর ঘর থেকে প্রায় ৬ কিমি পশ্চিমে এবং মহাস্থানগড় থেকে প্রায় ৮ কিমি দক্ষিণ পশ্চিম কাহালু উপজিলার পাইকর ইউনিয়নে যোগীর ভবন অবস্থিত।  এর সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলঃ এখানে এসেই বেহুলা তার মৃত স্বামী লক্ষ্মীন্দরের জীবন ফিরে পেয়েছিল। কলার ভেলায় করে বেহুলা এখানে এসে নেতাই ধোপানীর সাহায্যে এখানকার মন্দিরে আরাধনা করে দেবতাদের সন্তুষ্ট করেন।

দেবতাদের নির্দেশ মত ধোপানী যোগীর ভবনের কাছে  কানছ কুপের পাশের জঙ্গল থেকে মতান্তরে ওঝা ধনন্তির ওষুধের আড়া থেকে ঔষধি গাছ এনে ওই কুপের পানি দিয়ে বেহুলাকে দিয়ে ঔষধ পাটায় বেটে লক্ষ্মীন্দরকে খাওয়ালে সে জীবন ফিরে পায়। যে  পাটায় বেহুলা ঔষধ বেটেছিল সেটি মহাস্থানগড় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ।

স্বামী সন্তানের অসুখ হলে দুর দূরান্ত থেকে মহিলারা আসে এখানে মানত করতে। মানতের নিদর্শন স্বরূপ তারা কানছ  কুপের মাঝে আসে এক জোড়া তাজা শিং মাছ ছেড়ে দেয় । এতে অসুস্থ স্বামী সন্তান এর অসুখ ভাল হয় বল্যে তারা বিশ্বাস করে।

এলাকার মানুষ এটাকে কোন কাল্পনিক কাহিনী বল্যে মনে করে না। তারা বলে গোকুলের মেড় সত্যি সত্যি বেহুলার বাসর ঘর । এটি সত্যি তার প্রমাণের জন্য বাসর ঘরের পাশের গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুল গাফফার বলেন, “”আলা জাঙ্কা সত্য, আলার কুরান জাঙ্কা সত্য । ইডে যে বেওলার বাসরঘর ইডেও সাঙ্কা সত্য ।

 স্থানীয় লোকজনের আরও ধারনা চাঁদ মুহা বা চম্পাইনগর যে চাদসদাগরের বাড়ি গ্রামের নাম করনেই তার প্রমাণ। পদ্মার বাড়ি যদি এখানে না থাকতো তবে সেখান থেকে এতো সাপের মূর্তি উদ্ধার হল কিভাবে? নেতাই ধোপানীর ধাপ যে সত্য তার প্রমাণ বিশাল বড় একটা কাপড় কাঁচার চাড়ি।

ওঝা ধনন্তির যে বাড়ি ই যে যদি এটি না হবে তবে এখানে সাপে কাটা মানুষ ভাল হয় কি করে? এ বাড়ির মাটি যে কোন সাপের গর্তে দিলে সাপ দৌড়ে পালায় কেন? উজানি নগর যে সত্যি উজানি নগর। অটো নদী এখন খাল হলেও উজান দিকে এর পানি প্রবাহ তার ই প্রমাণ।  আর কালিদহ সাগর সেটি না হয় আজ বিলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু একদিন যে এটি সাগর ছিল পুরনো লোকেরা সে তো তাদের নিজ চোখেই দেখেছে। 

এত কিছুর পর ও এর বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে অনেকের কাছে সন্দেহ আছে অথবা এর প্রকৃত কারণ কি সেটা অধিকতর গবেষণা করেই বের করা সম্ভব।