ঘরে বসেই অনলাইনে আয় করুন মাত্র কয়েকটি বিষয়ে দক্ষতা নিয়ে।এর জন্য আপনাকে না হতে হবে কোনো বড় ডিগ্রিধারী আর না লাগবে কোনো সার্টিফিকেট।শুধু অফুরন্ত ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই সম্ভব এখন ঘরে বসে আয় করা।মেয়েদের জন্য তো এটা আরো বেশি সহজলভ্য কাজ কারণ তাদের বেশিরভাগ কাজই থাকে বাসার ভেতরে।
অন্যান্য কাজের পাশাপাশি আপনি নিজের জন্য একটু সনয় বাঁচালেই অবসর সময়টুকুতে ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করতে পারেন।নিজের ইনকাম থেকেই আপনি আপনার ছোটো খাটো শখ গুলো মেটাতে পারেন আর নিজের খরচ টাও নিজে চালাতে পারেন।
তাই বসে না থেকে এখনি জেনে নিন কিভাবে ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করবেন।আর এই ইনকাম এর জন্য যে বিষয়গুলো আপনাকে প্রথমে লক্ষ্য রাখতে হবে তার একটি তালিকা দেওয়া যাক।
Table of Contents
Toggle Table of Contentকিভাবে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করবেন?
১. প্রথমত আপনার ইন্টারনেট সুবিধা থাকতে হবে পর্যাপ্ত।
২. আপনার যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে তাহলে তো খুবই ভাল, আর না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই যদি কিনা আপনার একটা এনড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকে।
৩. এন্ড্রয়েড ফোন সাধারণত বেশিরভাগ মানুষেরই আছে,আর সাথে তো আছেই ফেসবুক একাউন্ট। ফেসবুক একাউন্ট নেই বা ফেসবুক চালায় না এমন মানুষ মেলানো কঠিন আজকাল।
৪. তো আপনাকে যেটা করতে হবে ফেসবুক এর জব পোস্ট গুলোর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
৫. জব পোষ্ট দেয় বা পাওয়া যায় এমন কিছু গ্রুপ বা পেইজে আপনি এ্যাড থাকতে পারেন। এছাড়া ফেসবুক এ জব নামে একটি অপশন আছে,সেখানেও লক্ষ্য রাখতে পারেন।
৬. এখন কথা হলো কি জব আপনি করবেন।সাধারণ কিছু জব আছে যেমন প্যারাগ্রাফ রাইটিং, প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি জমা দেওয়া,আবার বিভিন্ন গ্রুপে প্রোডাক্ট সেল পোষ্ট দেওয়া, মেম্বার এ্যাড করা, ফ্রিল্যান্সিং,রিং আইডি জব ইত্যাদি।
৭. উপরে উল্লিখিত জবগুলোর জন্য আপনার শুধু ফেসবুক চালানোর দক্ষতা থাকলেই হবে।এখন আসি প্রডাক্ট সেলিং এর জব,এর জন্য আপনি কয়েকটা পথ বেছে নিতে পারেন।প্রডাক্ট সেলিং এর সবথেকে সহজলভ্য যে কাজটা তা হলো অনলাইন শপগুলোতে এ্যাড থাকা আর তারা তাদের প্রডাক্ট সেল পোষ্ট করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপ বা পেইজ এ জব পোষ্ট দিয়ে থাকে,সেগুলাতে আপনি এপ্লাই করে নিতে পারেন সহজেই।
৮. প্রডাক্ট যদি নিজে সেল দিতে চান তাহলে আপনাকে বড় বড় পাইকারি দোকান গুলোর সাথে কন্ট্যাক্ট করতে হবে।তারপর আপনাকে সামান্য কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে তাদের থেকে প্রডাক্ট কিনে সেল দেওয়ার জন্য। এর জন্য আপনার নিজের পেইজ বা গ্রুপ থাকতে হবে।তারপর আপনি টুকটাক পরিচিত হতে শুরু করবেন গ্রুপ এ সেল পোষ্ট শেয়ার করবেন পাবলিক গ্রুপ গুলোতে।আবার কখনো দোকান থেকে ছবিও তুলে আনতে পারবেন পরিচিত হয়ে গেলে একবার।সবথেকে ভালো প্রফিট এর জন্য আপনি ফেসবুক এ লাইভে এসে প্রডাক্ট গুলো দেখাতে পারেন আর ডিটেইলস বলতে পারেন।
৯. এবার বলবো ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকাম কিভাবে করবেন।এটা অনলাইন সেল এর মত এতটা সহজ নয় তবে আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিতে পারেন।এর কয়েকটি ক্যাটাগরি আছে কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং,ওয়েব ডিজাংনিং,গ্রাফিক্স ডিজাংনিং আরো অনেক ধরণের।
১০. এর জন্যেও একটা সহজ উপায় আছে যারা প্যারাগ্রাফ রাইটিং বা ছবি তোলার জব পোষ্ট দেয় তাদের পোস্ট এ এপ্লাই করা।কারণ এগুলো তারা বড় বড় প্রজেক্ট ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে ব্যবহার করে।
১১. প্রথমত এগুলা করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন আস্তে আস্তে শিখতে থাকবেন, তারপর নিজেই এপ্লাই করতে থাকবেন কন্টেন্ট রাইটিং,
গ্রাফিক্স ডিজাংনিং এর জব গুলোতে আর ভিডিও দেখে প্র্যাক্টিস করে শিখে ফেলবেন।কিন্তু অবশ্যই বাইরের দেশের ডলার ইনকাম এর জন্য আপনার পেপাল বা অন্য আরো ইন্টারন্যাশনাল একাউন্ট এর একটা খুলে নিতে হবে,কারণ তারা আপনার পেমেন্ট আপনার এই একাউন্ট এই দিবে।
অনেকগুলো উপায়ই তো জানা হয়ে গেল এখন আর সময় নষ্ট না করে এগুলোতে এপ্লাই করা শুরু করে দিন,আর আপনিও হয়ে স্বাবলম্বী।নিজের আয়ে নিজেই চলুন আর পরিবারের পাশেই থাকুন বিপদে, সাহায্য করে নিজেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে রাখুন আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবে।
More Stories
গণিতের সকল সূত্র একসাথে
কয়লা ও কালো শেলের মধ্যে 2 টি প্রধান পার্থক্য জানেন কি?
প্রফেসর মদন মোহন দে যে 4 টি কারনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ছিলেন