সক্রেটিস এর সময় থেকে (600BC) শুরু করে বর্তমানে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে অগ্রগতি হচ্ছে। এই যে এত এত আধুনিক টেকনোলজি রোবোটিক সাইন্স আধুনিক চিকিৎসা আধুনিক টেলিযোগাযোগ খাদ্য শস্যের উন্নতি আধুনিক জীবন ব্যবস্থা কে করেছে?
এই গবেষক রাই করেছে। আর গবেষক কারা? বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরাই অন্যতম গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের 60% কাজ হলো গবেষণা আর 40% ক্লাস নেয়া। তাই একটি দেশের উন্নতির জন্য গবেষণাকে পৃষ্ঠপোষকতা করা উচিত।
তাদের পর্যাপ্ত সম্মান দেয়া উচিত। উৎসাহ দেয়া উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারি পাসপোর্ট ( blue passport) থেকে নামিয়ে একজন আমজনতার পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। এটা কি অসম্মান নয়? আবার যাদের PhD ডিগ্রী থাকবে তাদের 3টা ইনক্রিমেন্ট দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়ে স্থগিত করা হয়েছে। টাকা নাই বলে? 25000 শিক্ষকদের জন্য 25 কোটি টাকা লাগতো। এতে শিক্ষকরা উচ্চতর ডিগ্রী জন্য উৎসাহ পেত। দেশ বিজ্ঞানে আরো উন্নীত হত যেমন জাপান ইন্ডিয়া সহ অনেক দেশ। যারা বিজ্ঞানের উৎকর্ষে আজ পৃথিবীর শীর্ষে। আমরা উচ্চতর ডিগ্রী ধারীরা অন্য দেশকে উন্নত করতে বিদেশে যাই। কেন?
ভেবে দেখা দরকার আর একবার।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকগণ যে সব অসুবিধার সম্মুখীন হন তার মধ্য অন্যতম হলো
১ । গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকা বা কম থাকা।
2। গবেষকদের পর্যাপ্ত পারিশ্রমিক না থাকা।
3। সরকারি অর্থ প্রাপ্তিতে বিলম্ব ও ততবির সমস্যা
4। ভালো জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশে ফি না থাকা।
5। গবেষকদের ইনসেনটিভ না থাকা।
6। সরকারি পৃষ্টপোষকতা নিম্ন মানের।
7। শিক্ষকদের ও গবেষকদের অর্থ অনটন ও গবেষণা প্রবন্ধ যথাযথ মূল্যায়ন না করা।
8। নতুন আবিষ্কার উৎসাহ না দেয়া বা মূল্যায়ন কম করা।
9।সরকারি জাতীয় বাজেটে কম বরাদ্দ দেয়া।
10। দেশের উন্নয়নে গবেষকদের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নূন্যতম অন্তর্ভুক্ত করা।
11। সামাজিক জীবন ধারা উন্নত করতে সাহায্য ও সহযোগিতা না করা বা কম করা।
12। প্রশাসন ও একাডেমিক কে আলাদা ভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ না করা।
13। গবেষকদের অন্যের অধীনস্থ থাকা কে বিরত না করা।
14। দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নতি কল্পে যথাযথ ব্যবস্থা না করা এবং ব্যাবহার ও রপ্তানি করা উৎসাহ না দেয়া।
এসব বিষয় গুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ বিজ্ঞানের কল্যাণে আরো উন্নীত হবে।