লোন পাওয়া কি অধিকার?
প্রফেসর ডক্টর ইউনুস বলেছেন যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য লোন একটি সামাজিক অধিকার। দরিদ্র জনগোষ্ঠী লোন না পেলে তাদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারেনা। কারণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কিসের উপর ভিত্তি করে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন করবে যদি না তাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকে। তাই যদি কেউ তাদের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য লোন নিতে চায় অবশ্যই তাদের লোন প্রদান করা উচিত।
কোন মানুষ তখনই ধার দেনা করে অর্থ যোগাড় করতে চায় অথবা লোন নিতে চায় যদি তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থের যোগান না থাকে। যদি কারো পর্যাপ্ত অর্থের যোগান না থাকে তবে অবশ্যই তাকে অর্থ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে অর্জন করতে হয় অর্থের যোগান করতে হয়।
কোন ভাগ্য উন্নয়নকারী ব্যক্তি যদি পর্যাপ্ত লোন নিয়ে সেই অর্থ সঠিকভাবে বিনিয়োগ করে নিজের ও তার পরিবারের ভাগ্য উন্নয়ন করে তবে তা হবে সমাজের জন্য একটি প্রশংসিত উদ্যোগ তাই বলা যায়।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য লোন পাওয়া একটি অধিকার। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লোন প্রধান করা ও লোন পাওয়ার বাসনা দিতে চায় না, কারণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থা মনে করে ঋণ প্রদানের পর সেই ঋণ তারা ফেরত পাবে না। যেহেতু প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জামানত প্রদানের ব্যবস্থা নেই তাই তারা এটাকে একটি সমস্যা বলে মনে করে।
কোন ব্যক্তির ভাগ্য উন্নয়নের সহযোগিতা করা একটি সেবামূলক কাজ। ঋণ করে একজন উদ্যোক্তার জীবনের আমল পরিবর্তন করতে পারে। এটা ব্যাংক অথবা ঋণ প্রদানকারী সংস্থা গুলো বুঝতে চায় না অথবা বুঝেও না বুঝার ভান করে নিরুৎসাইত করে।
প্রফেসর ডক্টর ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা প্রাক্কালে চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে যখন ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি নিয়ে কাজ শুরু করেন তখন এই বিষয়টি উপলব্ধি করেছিলেন যা কিনা ডক্টর ইউনুস কে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। আমরা জানি, গ্রামীন ব্যাঙ্ক ও প্রফেসর ডক্টর ইউনুস বিশ্ব দরবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঋণ প্রদানের সুবিধা ও উপকারিতা প্রমাণ করতে সমর্থক হয়েছিলেন যা তাকে নোবেল প্রাইজ এনে দিয়েছিল।
কোন ব্যক্তি যখন লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করে তারপর সাথে অনেক পরিকল্পনা থাকে সেই অর্থ দিয়ে সে তার জীবনের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে বলে ভেবে রাখে এবং পরিকল্পনা করে কিছু ঋণ প্রদানকারী সংস্থা সেই পরিকল্পনাকে অবজ্ঞা করে এবং অনেক স্বপ্ন পরিপূর্ণতা পায়না।