Colorgeo.com

Disaster and Earth Science

সন্তানের মঙ্গলের জন্য সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্য

Spread the love

সন্তানের মঙ্গলের জন্য সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্য

১। সন্তানের মঙ্গলের জন্য  সন্তান লালন পালনে বাবার ভুমিকা

সন্তান জন্ম দেয়া একটি মহৎ কাজ ৷ দশ মাস দশ দিন ধরে কোন নারী সন্তান জন্ম দেয় ৷ এ মহৎ কাজের পুন্য সম্পুনই নারীর প্রাপ্য ৷ সন্তান জন্মের পরেই নারীর কর্তব্য শেষ হয়ে যায়না ৷ সন্তান নিজে কোন কাজ করতে পারবে অথবা বললে কাজ একাই করতে পারে এই পর্যন্ত যে কোন মা সন্তানের দেখাশুনা লালন পালন করে থাকে।

এই লালন পালন কাজটি অনেক কঠিন একটি কাজ ৷ এজন্য মায়েরা সর্বদা পূজনীয়।

সন্তানের মঙ্গলের জন্য মাকে সন্তানের সমস্ত দিকে খেয়াল রাখতে হয় ৷ তাই যে কোন নারীকে অনেক ধৈর্য্যশীল হতে হয়। সন্তান জন্মদানের পর অনেক নারী অন্যের সেবা বা সাহায্য আশা করে ৷ এটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু যে কোন নারীকে এটা অবশ্যই বুঝতে হবে যে সন্তান লালন পালন এর কাজটি তাকেই করা উচিৎ |

সন্তানের মঙ্গলের জন্য
সন্তানের মঙ্গলের জন্য সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্য

কারণ যে কোন সন্তান যদি মা ছাড়া অন্যের কাছে অন্যর আদর্শে বড় হতে থাকে তবে মাযের আদর্শ থেকে দূরে সরে যেতে পারে। ভুমিষ্ট হবার পরে শিশুরা বড় হয় অন্যকে দেখে বা অনুকরণ করে।

সন্তানের মঙ্গলের জন্য এক থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তারা দেখে দেখেই বেশি শিখে তাদেরকে মুখে বলে বা নির্দেশনা দিয়ে শেখান কঠিন। তাই মাকে সেই কাজটি করে দেখাতে হয় এবং সন্তান সেই আচরণ দেখে শিখে যায়। পরিবার হল সব থেকে বড় বিদ্যালয় ৷

এক্ষেত্রে শেখানোর পদ্ধতি তে যদি মা অনুকরণ এর পরিবর্তে মৌখিকভাবে সন্তানকে নির্দেশ দেয় এটা করো ওটা করো তাতে যথার্থ ফল পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে বারবার বলে ও যদি শিশুকে শেখানো না যায় তবে  শিশুর প্রতি মায়ের বিরক্ত আসতে  পারে। ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে পারে। এতে হিতে বিপরীত হয় ৷ তাই প্রতিটি মাযের উচিত শিশুদেরকে লালন পালন করার ক্ষেত্রে নিজে সঠিক আচরন করে তাদেরকে সেটা অনুকরণ করানো ৷ তাই সন্তান জন্মদান অপেক্ষা লালন পালন কম গুরুত্বপুর্ন নয়।

২। সন্তানের মঙ্গলের জন্য  সন্তান লালন পালনে বাবার ভুমিকা

যেহেতু বাবা সমসময় পাশে থাকে তাই মায়ের মত বাবাকেও আপনি আচরি সন্তানকে শেখান উত্তম। যেমন প্রতিদিন সন্তানদের নিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ৷ বাচ্চাদের সাথে বিছানায় মোবাইল ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত না থাকা অথবা টিভি দেখা অনুচিৎ | এতে বাচ্চাদের ঘুমের অসুবিধা হয এবং বাচ্চাদের ঐ একই অভ্যাস গড়ে ওঠে। সকালে এক সাথে দাঁত ব্রাস করা ইত্যাদি কাজ দেখিয়ে দেখিয়ে করতে হয|

অল্প বয়স থেকেই তাদের সবকিছু সুন্দর গুছিযে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে, শিশুদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা ভাল ৷ সেখানে শিশুর সমস্ত খেলনা বই জামা কাপড় গুছিয়ে রাখবে। এবং নিজের কাজ নিজে করতে পারলে তাকে দিয়েই করাতে হবে। যেমন খাবার খাওয়া একা একা পারলে তাকে দিয়েই করাতে হবে। অথবা নিজের খেলনা বা বই পড়া শেষে নির্দিষ্ট জায়গায রাখবে। এতে শিশুর মধ্যে দ্বায়িত্বশীলতা বাড়বে ৷

সন্তানের মঙ্গলের জন্য সন্তানের সামনে বাবা মায়ের কিরূপ আচরন করা উচিত

জীবন চলার পথে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মতের অমিল হলে ঝগড়া বিবাদ হতেই পারে তাই বলে কখোনোই সন্তানের সামনে ঝগড়া বিবাদ মারামারি করা কখোনোই উচিৎ নয়। অথবা সন্তানের সামনে একে অন্যের দোষ ত্রুটি ঘোষনা বা প্রকাশ করা উচিৎ নয়। কারণ যে কোন সন্তানের কাছে তার বাবা মা হল মহান আদর্শ এবং অনুকরনীয এবং বিশ্বাসের ও আস্থার জায়গা ৷

সেই আদর্শ থেকে যেন সন্তান মুখ ফিরিয়ে না নেয়। এতে সন্তানের ভবিষ্যৎ ভাল হয় না। যে কোন সন্তান যেকোন ভাল কিছুর প্রতি ভর করে বড়় হয়, কিন্তু পরিবারে মা ও বাবাকে যদি একবার অবিশ্বাস করে তবে সেই সন্তানকে মানুষ করা কঠিন। তাই সন্তান যেন মাও বাবাকে সর্বদা পরিপুর্ন আদর্শবান মনে করে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভাল ও মন্দ দুটোই আছে ৷ ভাল গুনটা কে নিয়ে আলোচনা করতে হয়। মন্দটা অন্তরে থাক, প্রকাশ্যে নয়।