বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী নবদ্বীপে সনাতন মিশ্র নামক এক অতি জ্ঞানী এবং শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত বাস করিতেন তাহার কন্যা আদি নিবাস ছিল মিথিলা।
নবদ্বীপের জনগণ তাকে সম্মান করেছেন তারপরও ভক্তিমতী ঘরের নাম ছিল মহামায়া দেবী। মহামায়া দেবী লক্ষী স্বরূপিনী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর আবির্ভাব-তখন বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর জন্ম হয়। নানাপ্রকার শুভসূচনা পরিলক্ষিত হয় সূতিকাগার আলো করিয়া এই শিশু মাতৃ ক্রোড়ে পদার্পন করিয়াছেন ।
কন্যার লক্ষণ এবং ভুবনমোহিনী রূপ-লাবণ্য মহামায়া দেবী সকল কেই আকৃষ্ট করিয়াছেন। কতক্ষণে তাহার স্বামী মিত্র মহাশয় যে বাড়িতে আসবেন যে তাকে একটু দেখাইতে পারবেন। এমন সময়ে মিত্র মহাশয় সূতিকাগার সন্নিকটে গিয়া নবজাতকের দেখিয়া ও আনন্দে অভিভূত হইয়া গেলেন এবং ভাবিতে লাগিলেন যে এত রূপ লাবণ্য কি মানুষের সম্ভব ।
এমন সময়ে আকাশ হইতে কে যেন দৈববাণী করিলেন যে তুমি ইহাকে চিনতে পারছ না ?
ইনি তোমার আরাধ্য দেবতা শ্রী বিষ্ণুর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী। জগন্নাথ মিশ্রের গৃহে নারায়ন আবির্ভূত হয়েছেন আর আজ তোমার গৃহ লক্ষী দেবীর আবির্ভাব হলো । এইভাবে ব্রজলীলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন কলিযুগে বিষ্ণুপ্রিয়া রূপে এবং তার পিতা সনাতন মিত্র মহাশয় ছিলেন ব্রজলীলা সত্রাজিত রাজা।অর্থাৎ জন্ম খন্ড হইতেই সনাতন মিত্র মহাশয় বুঝলেন যে তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ।
এভাবে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবি মাতা পিতার স্নেহা শীষে
দিনে দিনে বড় হতে লাগলেন এবং ক্রমশ তার রুপের ছটায় সকলকে মোহিত করলেন ।
মাতার সাথে প্রত্যহ তিনি গঙ্গাস্নানে যেতেন এবং সেখানে শচী মাতার সাথে তাহার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ।শচীমাতার মনে একমাত্র ভাবনা কি করে এই বালিকাটিকে নিজ পুত্র বধু করতে পারা যায় ।
অবশেষে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী যখন একাদশ বর্ষে পদার্পন করলেন তখন তার পিতা-মাতা কন্যার বিবাহের জন্য বিশেষ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। মনে এই যে তিনি যেন নিমাই পণ্ডিতের সাথে তার কন্যার বিবাহ দিতে পারেন ।
আবার শচীমাতার মনের গুপ্ত বাসনা ও তদ্রুপ কারণ প্রথমা স্ত্রী লক্ষীপ্রিয়া গত হতে শচীমাতা নিমাই এর জন্য পাত্রীর সন্ধানে চিন্তিত ছিলেন অর্থাৎ দু’পক্ষের ইচ্ছা এমন কিন্তু যোগাযোগের অভাব এমনি সময়ে মিত্র মহাশয় নবদ্বীপের প্রখ্যাত ঘটক কাশীনাথকে এই প্রস্তাব করলেন।
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
রাসেল ভাইপার কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে