করোনা ভাইরাসের এই সময়ে ঢাকা শহরের যাদের বাস তাদের অনেক সময় নিঃসঙ্গ জীবন কাটে কারণ বাইরে বের হবার নেই কোন সুযোগ। এই সময় এ বাড়িতে একটি টিয়া পাখি যদি থাকে তবে তা হতে পারে সময় কাটানোর একটি সুন্দর ব্যবস্থা।
কারণ পাখি কোন প্রতারণা করেনা ।নেই কোন ছলনা । আপনি তার কাছে মনের কথা গুলো বলতে পারবেন। সুখ দুঃখের কথা গুলো শেয়ার করতে পারবেন। আর যদি বাসায় ছোট ছেলেমেয়ে থাকে তবে তো কোন কোথায় নাই। টিয়া পাখি চাই ই চাই। ছোট ছেলেমেয়েরা টিয়া পাখি পছন্দ করে।
লকডাউনের সময় তারা স্কুল থেকে বিচ্ছিন্নই তাই তাদের ও একটু ভাল সময় কাটানোর দরকার বিশেষ করে শহুরে জীবনে।
টিয়া পাখি লালন পালন
কিছুদিন ধরে আমার মেয়ে রিয়ানা বায়না ধরেছে যে তার একটা খরগোশ অথবা টিয়া পাখি লাগবে। খরগোশ আমি অনলাইনে খুঁজেছিলাম এবং পেয়েছিলাম ফেসবুকের একটা গ্রুপ থেকে। তবে খরগোশ পোষা একটু বেশি লালন পালন করা লাগে।
তাই টিয়া পাখি টা তাই সেরা আমার কাছে কারণ সুন্দর দেখতে এবং মনের কোথা কাছে গিয়ে বলা যায়। আর নিজের কিছু কথা ও শেখান যায়। আমি আমার মেয়েকে বললাম টিয়া পাখি আনালে কেমন হয়। আসলে সেই আমাকে প্রতিদিন বলে যে টিয়া পাখি এখন ই লাগবে। রাত ১০ তার সময় বলে যে এখনি আনো অথবা ঘুম থেকে উঠে যেন দেখি যে বাসায় টিয়া পাখি এনেছ।
তাই আমার ভাল লাগতে শুরু করলো। আমি সাধারণত কোন প্রকৃতির মুক্ত বিহঙ্গ কে খাঁচায় বন্দি রাখতে পছন্দ করি না। তবে পাখী আমাদের অনেক আনন্দ দিতে পারে আর এজন্য ওকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার জল চিকিৎসা দেয়া যাবে।
এতে ওর কোন সমস্যা হবে না যদিও পরের বাসা বলে কথা। পাখি সর্বদা প্রকৃতিতেই সেরা। কোন দালান কোঠা বা বাসাতে নয়।
তবে কিছু পাখি আছে যারা বাসাতে থাকে কিন্তু বাইরে ঘুরে এসে আবার বাসায় চলে আসে। এমন পাখি সত্যি দারুণ। তবে যারা বাসায় পাখি পুষতে চায় তাদের জন্য একটা সমস্যা হল যে যখন বাইরে ঘুরতে যাবে তখন কার কাছে আদরের পাখীকে রেখে যাবে।
More Stories
ধনী হওয়ার উপায় 2024
গল্পঃ অতৃপ্ত জন্মদিনের শুভেচ্ছা
প্রেজেন্টেশন টিপস আমি যা মেনে চলি