বই পড়ার গুরুত্ব বর্তমান যুগে
আমি নিজেও রিল দেখতে পছন্দ করি । কেনা করে বলেন। দুনিয়াটা এখন ছোট হতে হতে একেবারে রিল এর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বর্তমান সবাই সব কিছুকে অতি সহজে পেতে চাই। যেমন রিল । তবে রিল থেকে শুধু বিনোদন পাওয়া যাবে। জ্ঞান পাওয়া যাবে কি? এজন্য বলবেন পড কাস্ট বা ইউটিউব ভিডিও রয়েছে ! এটা ঠিক । আমি নিজেও ভিডিও দেখে শিখতে চাই । হয়ত এখন এটাই ট্রেন্ড হয়ে গেছে। তবে এটা কি বই পড়াকে বিকল্প হিসাবে উপস্থাপন করতে পারবে? বিস্তারিত জানতে পড়া চালিয়ে যান ।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা অনলাইন মাধ্যম বর্তমান যুগে জ্ঞান অন্বেষণের উৎস বা উপায় অনেক হতে পারে। সম্প্রতি ভারতীয় একজন অনুপ্রেরণামূলক বক্তা, সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলেন, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য ,তিনি বলেছেন বর্তমান যুগে গুটিকয়েক মানুষ বই পড়ে অর্থাৎ বর্তমান যুগে অন্যান্য মিডিয়া যেমন Facebook, Youtube, টুইটার বা এক্স, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি মাধ্যম থেকে মানুষ জ্ঞান অন্বেষণ করছে অর্থাৎ তারা ডিজিটাল মাধ্যমটাকে বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রে হতে পারে ভিডিও দেখা অথবা পোর্টকাস্ট শোনা।
এগুলো যেমন বেড়েছে তেমনি বই পড়া কমেছে? জ্ঞান অর্জনের জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করাকে অনুৎসাহিত করেননি কারণ এটা ব্যক্তিগত পছন্দ। কারো হয়ত বই পড়তে ভালো লাগেনা। ফেসবুক ইউটিউব এ শর্ট ভিডিও অথবা কোন পডকাস্ট শুনতে তার ভালো লাগে।
বর্তমান যুগে মানুষ সময়ের সাথে সাথে মানুষ বই পড়াকে একটি উপায় হিসেবে নিবে ঠিক যেভাবে নতুন প্রযুক্তির সাথে মানুষ নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছে এবং বইয়ের পরিবর্তে পডকাস্ট বা ভিডিও দেখে জ্ঞান অন্বেষণের চেষ্টা করছে এবং বেশিরভাগ মানুষই তাই করছে। জ্ঞান অর্জনের জন্য এই ডিজিটাল প্লাটফর্মকে ব্যবহারের জন্য উনি দোষের কিছু দেখেননি কারণ এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা কিন্তু আমার দৃষ্টিতে বইয়ের বিকল্প নেই।
কেউ যতই ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করুক না কেন বইয়ের মত পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম কখনোই তৈরি হবে না । বই পড়লে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় যেমন কোন একটি ঘটনা বইয়ে ছাপার অক্ষরে লিপিবদ্ধ সেটা প্রত্যেকটা পাঠকের কাছে কল্পনার জগতে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ধরা দেয় অথবা অনেক সময় একই পাঠক কোন ঘটনা বারবার পড়লে কাল্পনিক ঘটনা বলি ভিন্ন ভিন্নমাত্রায় ধরা পড়ে।
যা কিনা অন্যরকম অনুভূতি তৈরি করে পাঠকের হৃদয়ে। অন্যদিকে কোন একটি ভিডিও যেমন কোন একটা নির্দিষ্ট ঘটনাকে একটি মাত্র দৃষ্টিতে উপস্থাপন করে ।
বই পড়ার গুরুত্ব কি কমে যাচ্ছে?
বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করার অভ্যাস তৈরি হলে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে দীর্ঘ সময়ে চিন্তার অবসর পাওয়া যায় যাতে বিষয়টি আরো পরিপুষ্ট ভাবে মস্তিষ্কে থাকে কিন্তু ইলেকট্রনিক্স বা মুভি দেখে ব্রডকাস্ট শুনে তা হয়তো ঘটনাটি মনে থাকে কিন্তু উপলব্ধির স্তরটি অতটা গভীরে পৌঁছায় না।
বর্তমান যুগে আমরা হয়তো এই কারণেই কম চিন্তা করি এবং সমস্ত কিছু সুপার ফেসিয়াল ভাবে ভাবতে শিখি। অন্তত বর্তমান যুগে টেকনোলজি আমাদের কে এটাই শিখাচ্ছে যে সব কাজ করে দেবে এআই প্রযুক্তি আমরা শুধু পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে সপ্তম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে বিনোদন করে বেড়াবো।
More Stories
ধনী হওয়ার উপায় 2024
গল্পঃ অতৃপ্ত জন্মদিনের শুভেচ্ছা
প্রেজেন্টেশন টিপস আমি যা মেনে চলি