বাংলাদেশের মাটি ও পাহাড় গুলোর সৃষ্টি রহস্য
তুলনামুলকভাবে বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং এর চারিদিকে ভারত। আনুমানিক ৪০-৫০ মিলিয়ন বছর আগে ইন্ডিয়ান প্লেট ইউরাসিয়ান প্লেটের (Tectonic plate) সাথে সংঘর্ষ লেগে হিমালয় পর্বত তৈরি হতে শুরু করে।
এরপর বায়ু ও পানির মাধ্যমে ক্ষয় প্রাপ্ত হতে হতে এই উত্থিত ভূমি ক্ষয় প্রাপ্ত হয় এবং এর উপরে মাটি ধূলিকণা জমতে থাকে, যা আজকের বাংলাদেশের সমস্ত জায়গা তে বিদ্যমান। টেক্তনিক প্লেটের (Tectonic plate) গুলো বিচ্যুত হয়েছে।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসের মেঘ মুক্ত আকাশে নাসা কর্তৃক Moderate Resolution Imaging Spectroradiometer (MODIS) on NASA’s Terra satellite টি বাংলাদেশের একটু পরিষ্কার ছবি তূলতে সমর্থ হয়। ন্যাচারাল কালারের ফটো সমস্ত বঙ্গপসাগর বার্মা ও ইন্ডিয়া কিছু অংশ সহ বাংলাদেশের ছবি তুলে আনে।
বাংলাদেশের মাটি ও পাহাড় কেমন?
বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অফিস ব্যখ্যা করে যে বাংলাদেশের ভূপৃষ্ঠের যত সেডিমেন্ট বা মাটি রয়েছে তা বিগত ১০ হাজার বছর পূর্বে জমা পড়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে বদ্বীপ বিধৌত সিল্ট, বালু, ও ম্যানগ্রোভ বন বিশিষ্ট ভূমি বিদ্যমান। বালু এবং গ্রাভেল রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। উত্তর পূর্ব অঞ্চলে রয়েছে কয়লা, পিট, গ্রাভেল, ও বালু।
দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে কিছু নয়নাভিরাম ভু প্রকৃতি রয়েছে বাংলাদেশে, ইন্ডিয়া ও বার্মা পর্যন্ত বিস্তৃত। উঁচু উঁচু পাহাড় গুলো একটা নির্দিষ্ট ফ্যাশন নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যা দেখতে বড়ই সুশ্রী।
US ভূতাত্ত্বিক জরিপ অফিস ব্যখ্যা করে যে, বাংলাদেশের নিচে সামুদ্রিক প্লেট (Tectonic plate) ধীরে ধীরে বার্মিজ প্লেটর নিচে গমন করছে আর এ জন্য উত্তরপূর্ব পাহাড় উত্তর দক্ষিণ লম্বা লম্বই ভাবে ভাঁজ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলের পাহাড়ের কিছু পাথর এর বয়স ২০ মিলিয়ন পর্যন্ত তা ছাড়া বাকি সমস্ত অঞ্চল এর মাটির বয়স ১০ হাজার বছর।
বাংলাদেশের এযাবৎ কালের ভূমিকম্প থেকে জান যায় যে পার্শ্ববর্তী দেশ আসামে একটি (Tectonic plate) তেক্তনিক প্লেট সক্রিয় এবং ডিসেম্বর ২০২১ সালে এখানে একটি ৬.১ মাত্রার ভুমিকম্প হয় যা বাংলাদেশে অনুভূত হয়।
বিশেষ করে ঢাকা শহর ভূমিকম্পের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে বিগত দিনে ভূমিকম্পের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাই এখান কার প্লেট টিও সক্রিয়। বাংলাদেশের মধ্য অঞ্চলে যদিও পলল সমভূমি তবুও এ অঞ্চলটা মধ্য মানের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চল বেশি ঝুঁকি পূর্ণ কারণ বার্মিজ প্লেট এখন সক্রিয় রয়েছে।