মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্তিতে প্রার্থীর সন্তুষ্টি কোথায়?
যারা সারা জীবন দেশের জন্য কাজ করে তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। বাংলাদেশে প্রথম একুশে পদক দেয়া হয়েছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। একুশে পদক শিক্ষা , শিল্পকলা গান অভিনয় আবৃত্তি সহ সাংবাদিকতা কৃতিত্বের জন্য দেয়া হয়।
মরণোত্তর একুশে পদক
যারা মরণোত্তর একুশে পদক পান তাদের এই পুরস্কারের জন্য সন্তুষ্টি পাবার কোনো সুযোগ নাই। আর যারা জীবিত অবস্থায় পান তারা সন্তুষ্টি পান। যারা সারা জীবন দেশের জন্য কাজ করেন তারাই এই পুরস্কার পাবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে সারা জীবন দেশের জন্য কাজ করে অনেকেই কাজের স্বীকৃতি আশা করেন অথবা নাই বা আশা করেন তবে মৃত্যু পর এই সম্মান প্রার্থীর মনের সন্তুষ্টি দেয়ার সুযোগ নাই। তাই এক অর্থে একুশে পুরস্কার জীবিত অবস্থাতে দেয়া উচিত।
কোনো মানুষ জীবনের শেষ পর্যন্ত কাজ করে এই পুরস্কার এর জন্য যোগ্য হবেন এমন কোনো কথা নেই। কারণ বৃদ্ধ বয়সে মানুষের কর্ম ক্ষমতা কমে যায়। তাই ভালো কাজের মূল্যায়ন আগেই করা যায়। মুত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নাই।
মরণোত্তর পুরস্কার দেয়ার অর্থ স্বর্গে অনেক সুখ শান্তির আশায় পৃথিবীতে কষ্ট জীবন কাটিয়ে দেয়া এবং ভালো কাজের সুখ্যাতির জন্য মরণের পরে পরবর্তী প্রজন্ম কে লাভবান করা। এতে প্রার্থীর কোনো লাভ বা সন্তুষ্টি নাই।
মরণোত্তর পুরস্কার পাবার সম্মতি প্রার্থী হয়ত কখনোই অস্বীকার করবে না কারন এতে প্রার্থীর স্বার্থপর প্রকাশ পায়। তাই এ ব্যাপারে নীতি নির্ধারক দের উদ্যোগ নিতে হবে যে প্রার্থীকে লাভবান না করে পরবর্তি প্রজন্মকে লাভবান করা।
অপরিচিত কারো সাথে কথা বলা র কৌশল
More Stories
ধনী হওয়ার উপায় 2024
গল্পঃ অতৃপ্ত জন্মদিনের শুভেচ্ছা
প্রেজেন্টেশন টিপস আমি যা মেনে চলি