মেয়েদের বিয়ে

মেয়েদের বিয়ে ও স্বপহীন জীবন

Spread the love

মেয়েদের বিয়ে ও স্বপহীন জীবন

বাংলাদেশের মেয়েদের বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হলেই একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। পারিবারিক ভাবে বাবা মা ও আত্মীয় স্বজন এমনকি প্রতিবেশীরাও বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে । তাদের ভাষায় মেয়ে আইবুড়ো হয়ে যাচ্ছে বিয়ে হবে কবে ? কে তাকে বিয়ে করবে এত দেরি করলে?

১৬ বছর পর মেয়েদের জীবনের প্রতিটি ক্ষন যেন বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সমাজ মনে করে বিয়ে হয়ে গেলেই মেয়ে নামক একটা বোঝা কাধ থেকে নেমে গেলো। অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে বাবা মা মেয়ের জীবন টাকে একটা স্বপ্নহীন জগতে ছেড়ে দিল।

মেয়েদের বিয়ে

মেয়ে সন্তানকে স্বপ্ন দেখান!

সমাজের চাপ কে উপেক্ষা করে যদি বাবা মা তার মেয়ে কে একটা ছেলে সন্তানের মত চিন্তা করে তবে মেয়ে সন্তান হতে পারে বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণের সেরা সন্তান।প্রকাশে একটা মেয়েকে যদি বাব মা তাদের বিয়ের কথা আত্মীয় স্বজন দের সামনে বলেন অথবা ভাবেন তখন কোনো মেয়ের বড় হবার স্বপ্নে বাধা পড়ে।

সেও তখন বিয়ের মতো লোভনীয় বস্তু কে স্বীকার করে নেয়। আর এভাবেই মেয়েদের স্বপ্নকে বা বা মা স্বপ্নহীন করে দেয়। বাংলাদেশের মেয়েদের বৈবাহিক জীবন গণ্ডির ভিতর বাধা থাকে স্বামীর ইচ্ছাই স্ত্রীর ইচ্ছা। খুব কম সংখ্যক মেয়েরাই বিয়ের পর নিজেদের ইচ্ছাকে বা স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারে।

বস্তুত বিয়ের পর মেয়েদের কোন ইচ্ছা থাকে না তারা পরাধীন হয়ে যায়। এর জন্য বাবা মা দায়ী থাকে।

একটা ছেলে ও মেয়ের মধ্যে শারীরিক গঠন ছাড়া অন্য কিছু পার্থক্য চোখে পড়ে না। তাদের রয়েছে আবেগ, রাগ, হাসি, কান্না, স্বাধীনতা, ইচ্ছা, স্বপ্ন ও দায়িত্ব বোধ। পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে কিছু পুরুষ মেয়েদের ভোগ্য পণ্য ও মনে করে যা অত্যন্ত হীন চিন্তা।

কি করণীয় মেয়েদের?

মেয়েদের উচিত সমাজের হীন স্বার্থপরতার বলি না হয়ে তাদের নিজ নিজ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা। অল্প বয়সে অথবা প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিবাহের স্রোতে গা ভাসিয়ে না দেয়া। একটা মেয়ে যখন নিজে প্রতিষ্ঠত বা স্বাবলম্বী হবে তখন যোগ্য পুরুষ ই তার জীবন সঙ্গী হবে এতে জীবন হবে অধিক সুখের ও মধুর।

জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার মত বিয়ে একটা গুরুত্বপুর্ণ ঘটনা যা কিনা পরবর্তী জীবনের সুখ শান্তি নির্ভর করে।

বর্তমান সময়ে মেয়েরা হীনমন্যতায় ভোগে বিয়ে নাকি স্বপ্ন? কোনটা আগে? মেয়েরা যদি লোভনীয় বিবাহের মুহূর্তের সুখের কল্পনায় বিভোর থাকে তবে তার জীবন স্বপ্ন হীন হওয়ার জন্য অগ্রগামী হয়। তাই শিশুকাল থেকেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়া উচিত নয়।

 
মেয়েদের স্বপ্ন দেখতে দিন
Author: Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *