যে কোনো কাজে সফলতা পাবার উপায় কি?
প্রতিটি মানুষের সম্মুখে কোন আশার আলো থাকলেই তবে মানুষ কাজ করতে উৎসাহী হয়। তাছাড়া কোনো কাজ বা কর্মে, তা যত কল্যাণকর বা জনহিতকর অথবা ব্যক্তিগত স্বার্থের অনুকূলে থাকুক না কেন তা সমাধা হয় না। আমি একবার প্রচন্ডরকম কর্মে প্রলুদ্ধ হয়েছিলাম।
যখন আমার উচ্চশিক্ষার জন্য আমি সাধারণ নিয়মাবলী মাধ্যমে কাগজপত্র জমা দান শেষে আমার জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান দপ্তরে অফিশিয়ালি নাম লিপিবদ্ধ হলো। তখন আমি আমার কাজে প্রচন্ড রকম উৎসাহ পেয়ে ছিলাম।এভাবেই মানুষ তার যে কোন ভাল-মন্দ কর্মে লিপ্ত হয়।
আমার উচ্চশিক্ষার জন্য ডক্টর ধীমান কুমার রায়, সহকারি অধ্যাপক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এর ভূমিকা চিরস্মরণীয়। কোন মানুষের সহযোগিতায় আর নিজের যোগ্যতায় যেকোনো কাজ সম্পন্ন হয়। নিজের যোগ্যতা না থাকলে শুধু অন্যের আশায় আবার কোনো ভালো কিছু হয় না। যদিও মতভেদ রয়েছে।
কারন মানুষ শিখতে শিখতে বড় কিছু অর্জন করে। জন্ম থেকেই কেউ শিখে আসে না। তবে সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। যেমন ছাত্রজীবনের শুধু পড়াশোনা কর্মজীবনে স্বীয় কর্মে শতভাগ মনোনিবেশ করা।
মানুষের জন্য অসম্ভব বলে কিছু নেই। মানুষ ইচ্ছা করলে পার্থিব জগতের সবকিছুই অর্জন করতে পারে। আমরা পারি না কারন আমরা পারতে চাই না। আমি যদি ডাক্তার হতে চাই তবে বিশ্বাস করি যে কেউ সেটা পারবে যদি সে সেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে। সম্মুখে আশার আলো রাখতে হবে।
শুরুতে নিজেই আশার আলো প্রজ্বলিত রাখতে হবে এবং সেভাবে কাজ করে যেতে হবে।আমাদের জীবনে সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি না। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন ফেইসবুক আমাদের অনেক সময় নষ্ট করে দেয়। এ ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তখন আমার একটাই কাজ ছিল অন্তত আমি সেটা ভাবতাম আর সেটা হল সুন্দরভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া।
আমার আরেকটি আগ্রহের বিষয় ছিল গান বাজনা করা তাই গানের শিক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে গান শেখার জন্য সময় দিয়েছি। এজন্য আমার ছাত্রজীবনে রেজাল্ট খারাপ হয়নি অন্তত প্রথম বিভাগে পাস করেছি। আর গানের প্রতিযোগিতায় ও হল পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করি। আমি যদি আরো অন্য বিষয়ে মনোনিবেশ করতাম তবে সে রূপ ফল পেতাম।
তবে আগেই বলেছি ছাত্রজীবনের শুধু পড়াশোনায় মন দিতে হয়। যদি শখের বশে বিতর্ক বা নাটক শিক্ষার জন্য সময় থাকতো তবে হয়তো সেটাও ভালো হতো। তবে সব মানুষ ইচ্ছা করলেই সব কিছুতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভালো করতে পারে না। যদি মনের ইচ্ছা বা ভালোলাগা কাজ না করে তবে সে কাজে লাভ হয় না।
ভালোলাগার কাজে লাফিয়ে লাফিয়ে সফলতা আসে। যদি অন্যের ইচ্ছায় অথবা চাপে অন্য কোন কাজে মনোনিবেশ করতে হয় সে কাজে ধীরে ধীরে সফলতা আসে। তবে লেগে থাকলে যেকোনো কাজে সফলতা আসবেই।
যে কোনো কাজে সফলতা পাবার উপায় কি?
আমি নিজের অভিজ্ঞতায় যদি বলি কোন কাজে সফলতা নির্ভর করছে কর্তার নিজের ইচ্ছার উপর।
কেউ যদি সফল হতে চায় সে শতভাগ নিশ্চিত যে সফল হবেই। প্রথমে যে কাজগুলো তাকে করতে হবে:
এক নাম্বার: নিজের ভাললাগার কাজটি খুঁজে বের করুন
দুই নাম্বার: শতভাগ মনোযোগ দিন কাজটি করার জন্য এবং শুরু করার জন্য
তিন নাম্বার: সময়ক্ষেপন না করে কাজটি শুরু করুন
চার নাম্বার: পরিকল্পনামাফিক কাজটি করতে থাকুন
পাঁচ নাম্বার: লেগে থাকুন ও সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন
ছয় নাম্বার: নির্দিষ্ট কাজের প্রতি শতভাগ মন্ দিন ও বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করুন
সাত নাম্বার: কাজ চালিয়ে যান যতক্ষন না আপনার সফলতা আসে।
প্রতিটি মানুষের লাইভ লং লার্নার হতে হয়। বর্তমান বিশ্ব যে গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে তাতে নিজেকে সময়োপযোগী না করলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। বর্তমান আধুনিক মিডিয়া ব্যবহার করে নিজেকে সময় উপযোগী রাখুন। কোন ভাল কিছু করার আশায় বসে না থেকে কাজ শুরু করুন। সময় নষ্ট করবেন না। কাজে লেগে পড়ুন। নিশ্চয়ই আপনি সফল হবেন।।
লেখক রমন কুমার বিশ্বাস, পিএইচডি
More Stories
শরিফার গল্প বাদঃ কি শিক্ষা পেলাম
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪