স্ত্রীর প্রতারণা

স্ত্রীর প্রতারণা

Spread the love

স্ত্রীর প্রতারণা

জোর করে কখনো মন পাওয়া যায় না। জোর করে কারো ভালোবাসাও পাওয়া যায় না। করো মন জয় করতে হয় শুধু ভালোবাসা দিয়ে। সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা এই গুপ্ত রহস্যটা জানে না বা জানলেও প্রয়োগ করে না।

কোনো ব্যক্তির মধ্যে ভালো ও মন্দ দুটো গুনই থাকে, কিন্তু যারা খারাপ গুন গুলোকে নিয়ে আলোচনা করে তারা অনেক বোকা।

তারা চিরস্থায়ী কোনো বন্ধু তৈরি করতে পারে না। কারণ জীবন চলার পথে ওই বন্ধুটির কোনো একটি খারাপ গুন প্রকাশ পেতে পারে।

তাই বলে তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে হয় না। মেনে নিতে হয় আর ভালো গুন টা দিয়ে তাকে এই ভুল না করার জন্য সাহায্য করতে হয়।

একদা জনৈক ভদ্র মহিলা কোনো এক বাসায় কাজ করত । বাসার রান্না ঘর পরিষ্কার কাপড় ধোয়া, ছেলেমেয়েদের খাওয়ানো স্নান করানো মোটামুটি সব কাজই করত।

 এতে বাসার মনিব ও তার মধ্যে এক মধুর বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হলো। বছর খানেক পরে একদিন ছেলেমেয়েদের অনুরোধে মনিবের অবাধ্য হয়ে কিছু রান্না করতে গেলে মনিব ভীষণ রেগে তার সামনে সমস্ত রান্নার আয়োজন ছুড়ে ফেলে দিল। আর জনৈক কাজের মহিলা কে বের করে দিল।

স্ত্রীর প্রতারণা

এই ঘটনা একটা শিক্ষা দেয় অল্পতেই রেগে কারো দোষ টা কে নিয়ে বিচার করা উচিত নয়। ক্রোধ সংবরণ করে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা উচিত ছিল।

কারণ নিকট আত্মীয় বা ঘনিষ্ট কেউ শত্রু হলে সেই শত্রুতা হয় ভয়ংকর। পরিণতি ভয়াবহ। কারণ উভয় পক্ষই একে অন্যের দুর্বলতা কে ব্যবহার করে জয়ী হবার জন্য।

এবার আসা যাক স্ত্রীর ব্যাপারে, যেহেতু স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনকে খুব ভালো ভাবে চিনে তাই স্বামী স্ত্রী শত্রু হলে সেটা হয় ভয়াবহ।

কোনো স্ত্রী যখন মিথ্যা বাক্য বলা শিখে তখন সে প্রতারণার প্রথম ধাপে পা দেয়। প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলা যখন একটা অভ্যাস এ পরিণত হয় তখন এটা শতভাগ নিশ্চিত যে ওই স্ত্রী প্রতারণার আশ্রয় নেবে তার উদ্দেশ্যকে সফল করতে। এটা নিশ্চয়ই অবিশ্বাসের প্রথম ধাপ।

বার বার প্রতারণা করা স্ত্রী যেমন মিথ্যা বাক্যে পটু হয় তেমনি অবিশ্বাস সংসারে আরো গভীরে গিয়ে স্থায়ী হয়ে যায়। ফলে সুখের সংসারে কোনো আনন্দ থাকে না। সংসার ও সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। নিয়ে আসে দুঃখ আর কষ্ট।

তাই স্ত্রীর প্রতারণা রুখতে প্রথমেই মিথ্যাকে রুখতে হবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সত্য বাক্য বিনিময় চির সুখ দেয়। জীবনে অনেক দুঃখ কষ্ট থাকে কিন্তু সবকিছু দুজনে মিলে সুখ কে ফিরে আনা যায়। যা একা কখনো সম্ভব হয় না। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দুটি দেহ এক আত্মা হয়ে কাজ করলে শান্তি আসবেই।

অনেক বিজ্ঞ জন প্রশ্ন করেন যে, যখন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মতের বা ভালো লাগার অমিল থাকে তখন কেউ না কেউ বঞ্চিত হবে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে এমন পরিস্থিতি কি করণীয়?

জনৈক ব্যক্তি উত্তর দিলেন এভাবে যে , দেহের ডান হাত বাম হাতকে বলছে ‘ বাম হাত তুমি খুব নোংরা, শুধু মল পরিষ্কার করো ‘ তখন বাম হাত বলছে ‘ তুমি সাহায্য করো বলেই তোমার দেহ পরিষ্কার করে দেই ‘ ঠিক তেমনি কোনো সিদ্বান্ত ই খারাপ নয় যদি দুজন দুজনকে সাহায্য করা যায়।

কারণ পৃথিবীতে সব কিছুই আপেক্ষিক কোনো কিছুই পরম ভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। সময়ের সাথে সাথে মানুষের স্বাদ গ্রহণের ইচ্ছাও পরিবর্তন আসে। আর স্বামী স্ত্রীর সংসারে একে অপরের পছন্দকে অবশ্যই মূল্য দিতে হয়। তবেই সংসার সুখের হয়।

 

এক নজরে 101 টি কবীরা গুনাহ

Author: Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *