কোথায় অবস্থিতঃ Black Sea অর্থাৎ কৃষ্ণ সাগর ব্লক সি বর্তমানে ইউক্রেন রাশিয়া বুলগেরিয়া জর্জিয়া তুর্কি এবং রুমানিয়া এই দেশগুলোর মধ্যে অবস্থিত। ব্ল্যাক কৃষ্ণ সাগর কে কেন কৃষ্ণ সাগর বলা হয়?
ব্ল্যাক সি বা কৃষ্ণ সাগর সম্পর্কে খুব কম জানা যায় তবে অনেকগুলো মতবাদ রয়েছে। এই কৃষ্ণসাগরের পানি কালো হওয়ার পিছনে এটা প্রকৃতিতে বসবাস অযোগ্য একটি সাগর অতীতে সমুদ্র অভিযান নাবিকরা কৃষ্ণসাগর কে একটি দুর্বোধ্য এবং কঠিনতম জলাধার হিসেবে গণ্য করে। যদিও এই জলাধারের নিকটবর্তী সীমানাতে স্থানীয় উপজাতিদের বসবাস করে। কিছু মতবাদ এটা বলে যে কৃষ্ণসাগর এই নামটি এসেছে একটি ঝড়ের কারণ থেকে যেটা শীতকালে আঘাত হেনেছিল এবং কৃষ্ণ সাগরের পানি কাল বর্ণ ধারণ করেছিল।
কৃষ্ণ সাগর Black Sea সম্পর্কে যে সাতটি বিষয় আমরা জানিনা
১। কৃষ্ণ সাগরের Black Sea পানিতে কোন অক্সিজেন নেই বললেই চলে, খুবই কম সংখ্যক দ্রবীভূত অক্সিজেন পানিতে বিদ্যামান প্রাণীকুল এর জন্য বসবাসের অযোগ্য।
২।জলজ প্রাণী অক্সিজেন স্বল্পতায় বসবাস করতে পারে না শুধুমাত্র পানির উপরে পৃষ্ঠের কিছু অংশে বাতাসে অক্সিজেন দ্রবীভূত হওয়ার ফলে কিছু প্রাণী বসবাস করতে পারে।
৩। কৃষ্ণসাগর হলো এমন একটি সাগর যেখানে পানির স্তর উপরিভাগের স্তরের সাথে কখনো মিশে যায় না এবং এটা একটি দুর্লভ ঘটনা সাগরে অথবা যেকোন জলাধারে সংগঠিত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া।
৪। কৃষ্ণ সাগরের Black Sea গভীরতা 150 মিটার এই পানিতে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত হাইড্রোজেন সালফাইট গ্যাস মৃত অবস্থায় আছে যার ফলে দ্রবীভূত অক্সিজেন নেই
৫। কৃষ্ণ সাগরের গভীরে তলদেশে কোন প্রাণী বা জলজ প্রাণী নেই শুধুমাত্র সালফার ব্যাকটেরিয়া নামে কিছু ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে যারা জীবনধারণের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়না
৬। কৃষ্ণ সাগরের পানির গভীরতার সর্বদা সমান থাকে এমনকি চন্দ্র সূর্যের জোয়ার ভাটার সময় যার কারণে পানির স্তর শান্ত থাকে এবং মিশ্রিত হয় না
৭।কৃষ্ণ সাগরের পানিতে অধিক পরিমাণে খনিজ পদার্থ খনিজ লবণ এবং অন্যান্য আকরিক মিশ্রিত থাকার কারণে সহজেই ভেসে থাকা যায়।
ব্ল্যাক সি বা কৃষ্ণ সাগর সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে ভিডিও দেখুন।
ব্ল্যাক সি বা কৃষ্ণ সাগর সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে ছবি দেখুন।
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
রাসেল ভাইপার কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে