Colorgeo.com

Disaster and Earth Science

SOLAR SYSTEM ART

বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির শুরুতে যে মহা বিস্ফোরণ হয়েছিল সেই মহা বিস্ফোরণ কে বলা হয় বিগ ব্যাং। এরপর থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে এবং নক্ষত্র সূর্য তারা এর জন্ম মৃত্যু মধ্য দিয়ে আমাদের এই গ্যালাক্সি, সৌর জগত (Solar system art) গ্রহ উপগ্রহ পরিবর্তন হয়েছে এবং সবশেষে বর্তমান পৃথিবীতে অথবা অজানা অন্য কোনো গ্রহে জীবনের সৃষ্টি হয়েছে. এই পৃথিবী শুরুতে একটি গলিত পিণ্ড ছিল ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে হতে এখানে জীবন সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।

solar system Art

বর্তমান ডিজিটাল যুগে এসে সামষ্টিক শিক্ষা ও শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি থেকে বর্তমান পৃথিবীর অবস্থাকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া প্লেট টেকটোনিক, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এর মত ভৌতিক বিষয়গুলো স্পষ্ট ব্যাখ্যা করা যায়।

 

অধ্যায়-২ঃ  সৌরজগৎ ও আমাদের পৃথিবী

 এ অধ্যায়ে আমরা SOLAR SYSTEM ART করা শিখবো?

সৌরজগৎ সহ মহাবিশ্বের সমস্ত ভর এর মধ্যে 98% হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দিয়ে তৈরি ।যখন নতুন কোন নক্ষত্র তৈরি হয় তখন বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক পদার্থ মেঘের আকারে সৃষ্টি হয় এগুলো মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম কনা। এই রাসায়নিক পদার্থ সম্বলিত মেঘ নতুন সৃষ্ট নক্ষত্রের চারদিকে ঘুরতে থাকে এই অবস্থাকে বলা হয় গল্ডিলক (Goldilock) অবস্থা এখানে মহাকর্ষ বল বিদ্যমান থাকে এবং যত্রতত্রভাবে সংঘর্ষ হয় ওই সৃষ্ট মেঘের রাসায়নিক মেঘের মধ্যে। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম পরমাণু গুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত হতে হতে আরো বৃহৎ আকারের অধিক ভোরের মৌলিক পদার্থ তৈরি করে এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যাক্রেশন ।

হালকা মৌলিক পদার্থ যেমন হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম এর সমন্বয় কিছু কিছু গ্রহ তৈরি হয় যদিও এখানে একটি জটিল প্রক্রিয়া বিদ্যমান যেমন বৃহস্পতি ও শনি গ্রহ এরকম হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম পরমাণুর আধিক্য দেখা যায়। ঠিক এভাবেই হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম পরমাণুর কখনো কখনো পুনরায় বিস্ফোরণের মাধ্যমে নতুন গ্রহ তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হয় যেখানে অ্যাট্রিশন প্রক্রিয়ায় অধিক পারমাণবিক সংখ্যা ভর সম্বলিত পদার্থ তৈরি হয়। আমাদের পৃথিবী তৈরীর প্রক্রিয়া কি ঠিক এভাবেই।

পৃথিবীর যেসব মৌলিক পদার্থ গুলো অধিক পরিমাণে বিদ্যমান তার মধ্যে অক্সিজেন, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন। কিন্তু হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম অধিক পরিমাণে নয়, যেখানে শনি ও বৃহস্পতি গ্রহে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম এর আধিক্য দেখা যায়। 

আমাদের পৃথিবী আজ থেকে 4.6 বিলিয়ন বছর আগে তৈরি হয়। আমাদের পৃথিবীতে এক জটিল প্রক্রিয়ায় মৌলিক পদার্থ গুলো হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম থেকে অধিক ভর বিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ তৈরি হয় এবং একটি জটিল প্রক্রিয়ায় পৃথিবীপৃষ্ঠ ঠান্ডা হতে হতে জীবন সৃষ্টির একটি পরিবেশ তৈরি হয়।

সূর্যের জন্মঃ একটি নতুন দিনের সূচনা

সূর্যের জন্ম একটি অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়া যা প্রায় 4.6 বিলিয়ন বছর আগে শুরু হয়েছিল।

নীহারিকা ধূলিকণার জন্ম:

সবকিছু শুরু হয়েছিল একটি विशाल নীহারিকা ধূলিকণার মাধ্যমে, যা মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্যাস এবং ধূলিকণা দিয়ে তৈরি। এই নীহারিকাটি, जिसे সৌর নীহারিকা বলা হয়, মহাকর্ষীয় আকর্ষণের কারণে ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে শুরু করে।

কেন্দ্রস্থলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি:

নীহারিকার সংকোচনের সাথে সাথে, কেন্দ্রস্থলে তাপমাত্রা এবং চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি গ্রহাণুবীজ নিক্ষেপ নামে পরিচিত।

পারমাণবিক সংযোজনের শুরু:

কেন্দ্রস্থলে তাপমাত্রা যখন প্রায় 15 মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়, তখন পারমাণবিক সংযোজন শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায়, হাইড্রোজেন পরমাণুগুলি একত্রিত হয়ে হিলিয়াম পরমাণু তৈরি করে, প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত করে।

প্রধান ক্রম:

পারমাণবিক সংযোজনের শুরু হওয়ার সাথে সাথে, সূর্য একটি নক্ষত্রে পরিণত হয়। এই পর্যায়কে প্রধান ক্রম বলা হয়। প্রধান ক্রমের সময়, সূর্য হিলিয়াম তৈরি করে এবং তার কেন্দ্রস্থল থেকে শক্তি নির্গত করে।

সূর্যের বর্তমান অবস্থা:

সূর্য বর্তমানে প্রধান ক্রমের প্রায় অর্ধেক পথে রয়েছে। এর আনুমানিক আয়ু 5 বিলিয়ন বছর। প্রধান ক্রমের শেষে, সূর্য একটি লাল দানব নক্ষত্রে পরিণত হবে, তার আকার বৃদ্ধি পাবে এবং পৃথিবীকে গিলে ফেলবে।

সূর্যের গঠন:

সূর্যের বেশিরভাগই হাইড্রোজেন (প্রায় 73%) এবং হিলিয়াম (প্রায় 25%) দিয়ে তৈরি। বাকি 2% ভারী মৌলিক উপাদান যেমন অক্সিজেন, কার্বন, নিয়ন, এবং লোহা দ্বারা গঠিত।

সূর্যের চারটি প্রধান স্তর রয়েছে:

সূর্যের গুরুত্ব:

সূর্য আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্রীয় নক্ষত্র এবং এটি আমাদের গ্রহে জীবনের জন্য অপরিহার্য। সূর্যের আলো এবং তাপ শক্তি অতি প্রয়োজনীয়।

SOLAR SYSTEM ART  সৌরজগৎ আঁকার সহজ পদ্ধতি:

উপকরণ:

ধাপ ১: সূর্য আঁকুন:

  1. কাগজের মাঝখানে একটি বৃত্ত আঁকুন। এটি সূর্য হবে।
  2. বৃত্তটি লাল, কমলা, বা হলুদ রঙে রাঙান।

ধাপ ২: গ্রহগুলি স্থাপন করুন:

  1. সূর্যের চারপাশে আটটি বৃত্ত আঁকুন, বিভিন্ন আকারের।
  2. বৃহত্তম বৃত্তটি বৃহস্পতির জন্য, তারপর শনি, ইউরেনাস, নেপচুন, মঙ্গল, পৃথিবী, শুক্র এবং বুধ।
  3. গ্রহগুলি নিম্নলিখিত রঙগুলিতে রাঙান:
    • বৃহস্পতি: হলুদ-বাদামী
    • শনি: হলুদ
    • ইউরেনাস: নীল-সবুজ
    • নেপচুন: নীল
    • মঙ্গল: লাল
    • পৃথিবী: নীল (মহাসাগর) এবং সবুজ (ভূমি)
    • শুক্র: হলুদ-সাদা
    • বুধ: ধূসর

ধাপ ৩: গ্রহের পথ আঁকুন:

  1. প্রতিটি গ্রহের জন্য, সূর্য থেকে গ্রহের দিকে একটি বক্ররেখা আঁকুন। এটি গ্রহের কক্ষপথ হবে।
  2. বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুনের জন্য, কক্ষপথগুলি একটু বক্র হওয়া উচিত।
  3. মঙ্গল, পৃথিবী, শুক্র এবং বুধের জন্য, কক্ষপথগুলি প্রায় বৃত্তাকার হওয়া উচিত।

ধাপ ৪: গ্রহের বৈশিষ্ট্য যোগ করুন:

  1. বৃহস্পতির জন্য, কিছু লাল দাগ আঁকুন।
  2. শনির জন্য, একটি রিং আঁকুন।
  3. মঙ্গলের জন্য, কিছু গর্ত আঁকুন।
  4. পৃথিবীর জন্য, মহাদেশ এবং মেঘ আঁকুন।
  5. শুক্রের জন্য, কিছু মেঘ আঁকুন।
  6. বুধের জন্য, কিছু গর্ত আঁকুন।

ধাপ ৫: চাঁদ এবং ধূমকেতু (ঐচ্ছিক) যোগ করুন:

  1. পৃথিবীর পাশে একটি ছোট বৃত্ত আঁকুন। এটি চাঁদ হবে।
  2. সৌরজগতের বিভিন্ন স্থানে কিছু ধূমকেতু আঁকুন।

ধাপ ৬: আপনার সৌরজগৎ সাজান:

  1. আপনার সৌরজগতকে আরও আকর্ষণীয় করতে তারা, গ্রহাণু, বা অন্যান্য মহাকাশ বস্তু যোগ করুন।
  2. রঙ ব্যবহার করে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ করুন।

কিছু টিপস:

SOLAR SYSTEM ART কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে?

অনলাইন বিক্রেতা:

স্থানীয় শিল্পী:

พิพิধান এবং বিজ্ঞান কেন্দ্র: