How to Seduce a Women or a Man
ঐতিহাসিকভাবে পুরুষ বাহ্ববলের দ্বারা রাজ্য জয় করত। এমনকি নারীর মন (Learn More How to Seduce a Women) জয় করে নিত পুরুষের পেশী শক্তি। প্রতিটা মানুষ শারীরিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অসাধ্য সাধন করতো। কিন্তু শুধু বল প্রয়োগ করেই সবকিছু অর্জন করা যায় না যেমন মানুষের মন জয় করতে হলে কেবল ভালোবাসা ও মনের উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। হতে পারে এটা প্রতারণা অথবা সততা ।
ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক যেদিক থেকেই আমরা চিন্তা করি না কেন মনের উপর বল প্রয়োগ করা যায় না।
ঐতিহাসিকভাবে শুধু পুরুষেরা প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জন করলেও নারীরা একটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছিল প্রভাব প্রতিপত্তি অর্জনে। পুরুষকে হটিয়ে নারীরা দখল করেছিল রাজ্য প্রতিপত্তি জনসাধারণের মন।
মিশরের রানী ক্লিওপেট্রা তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। ক্লিওপেট্রা কি এমন কৌশল অবলম্বন করেছিল যাতে জনসাধারণের মন জয় করতে পেরেছিল। কিভাবে ক্লিওপেট্রা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নিজের অবস্থান দৃঢ় করেছিল? সম্রাট কে সরিয়ে নিজেই হয়েছিল সম্রাজ্ঞী। এ হলো এক কৌশল কারো মনের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে প্রচন্ডভাবে। এটাকে বলে সিডাকশান।
আজকে সিডাকশন নিয়ে বিস্তারিত কথা হবে কিভাবে আপনি নিজেই অন্যের মনের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে পারবেন।
চলুন আলোচনা করা যাক, সংক্ষেপে।
সাইরেন শ্রেণিঃ
সাইরেন শ্রেণি হল প্রকৃত রানীর ভাব। যেখানে পুরুষকে এমন ভাবে টেনে আনা বা প্রভাবিত করা হয় যেন অস্বীকার করা অসম্ভব । সাইরেন শ্রেণির মানুষদের জীবন থাকে সংঘাতময় কিন্তু তার ধীর স্থির স্বভাব বৈশিষ্ট্যের কারণে চির সুখের ব্যবস্থা করতে পারে।
যেকোনো পুরুষ তাকে পাবার জন্য কঠোর পরিশ্রম পর্যন্ত করতে পারে যদিও সে প্রচণ্ড রকমের সুন্দরী এবং তার সৌন্দর্য ই তার ভরসা বা কৌশল। সাইরেন শ্রেণীর নারীদের কণ্ঠস্বর থেকে শুরু করে তার দৈহিক সাজ সজ্জা তার হেঁটে যাওয়ার ভঙ্গিমা সবই অন্যরকম আবেদনময়ি হয়ে থাকে।
মানুষের শারীরিক সৌন্দর্য মলিন হয়ে যায় কিন্তু বশ করার দক্ষতা মলিন হয় না
শুধু নারীরাই পুরুষের বশ করতে পারে এমনকি ভাবা দরকার নেই । পুরুষেরাও দক্ষতা অর্জন করে যে কোন নারীর হৃদয় হরণ (How to Seduce a Moman) করতে পারে। কিছু বৈশিষ্ট্য কৌশল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন উন্নয়ন করার মাধ্যমে এই সিডাকশন কৌশল রপ্ত করা যায়।
রেক শ্রেণী হল তার বড় প্রমাণ।
রেক শ্রেণীঃ
অন্যের জীবনে প্রভাব সৃষ্টিকারী সিডাকশন শ্রেণীকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় এর মধ্যেও একটি হলো রেক শ্রেণী রেকশেনীর পুরুষ হল ভয়ংকর রূপে রূপ যৌবনের আগুন ছড়াতে পারে এবং সেই আগুনে নারীর মনকে দগ্ধ করতে পারে। মজার কথা হলো সে শুধু আগুনই ছড়ায় না, সুন্দর সুন্দর কথা বলেও নারীর মনকে আকৃষ্ট করে।
হাজার হাজার নারী তাদের এই কৌশলে বশ হয়ে যায়। রেক শ্রেণীর পুরুষগণ নারীদের মধ্যে একটা উপযুক্ত সময়ে যথাযথ পরিমাণে প্রলোভন দেখাতে পারে এবং অতীত ভবিষ্যতের কথা ভুলে নারীরা সেই ক্ষণেই আকৃষ্ট করে ফেলে।
বিশ্ব বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো ছিলেন দক্ষ সিডাকটর। তার ছিল ডজন খানেক নারী সঙ্গী যারা প্রত্যেকেই ভাবতো যে পাবলো পিকাসো হল তাদের জীবনের সেরা পুরুষ। তারা এটাও ভাবতো যে তারা ছিল পাবলো পিকাসোর জীবনে সেরা নারী। আপনি যত সুক্ষ রূপে আপনার কাঙ্খিত মানুষটিকে আপনার ব্যাপারে অনুভব করাতে পারবেন আপনি তত প্রবল ভাবে তার মনে জায়গা করে নিতে পারবেন। এটাই হল রেক শ্রেণীর বৈশিষ্ট্য।
প্রকৃত প্রেমিক কে?
এমন কেউ কি আছে যিনি কাসানোভার নাম শোনেননি? এই মানুষটি হলো অন্যকে বশ করার মুহূর্ত প্রতীক এবং একজন দক্ষ সিডাক্টর। কেউ জানে না যে কাসানোভা কোথা থেকে এই দক্ষতা অর্জন করেছে এবং কি গুপ্ত কৌশল রয়েছে কোন মানুষকে প্রভাবিত করার অন্তরালে। তার পদ্ধতি হলো একেবারেই স্বতন্ত্র এবং ইউনিক।
সে যদি কোন নারীকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে তার একজন অন্ধ ভক্ত করতে চায় তবে তার প্রথম কৌশল হল যথেষ্ট পরিমাণে নারীর মনকে বোঝার চেষ্টা করা। সে তখন কাঙ্ক্ষিত নারীর সাথে মিশে যেতে চেষ্টা করে ঠিক যেভাবে ওই নারী তাকে চায় । নারীর মনের অতৃপ্ত বাসনাকে সে খোঁজার চেষ্টা করে এবং সেভাবেই সে পরবর্তী পরিকল্পনা করে।
ধৈর্য বিনয় উদারতা দিয়ে সে একজন প্রকৃত প্রেমিক রূপে ধরা দেয় ।এই প্রকৃত প্রেমিক শ্রেণী হলো ঠিক আপনার কল্পনায় ধরা দেয়া একজন আদর্শবান প্রেমিকের মত। এই গুপ্ত কৌশল আপনি আপনার পছন্দের নারী চরিত্রের উপর প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রকৃত প্রেমিক শ্রেণীর পুরুষ হলো ঠিক আপনার পছন্দের মত যা আপনি চান তাই আপনাকে দিতে পারে।
ভালো একজন অন্তরঙ্গ বন্ধু মত। একান্তে সঙ্গ করা, শৃঙ্গার প্রদর্শন, অমায়িক ব্যবহার কোন নারীকে এমন ভাবে আকৃষ্ট করবে যে আপনি বুঝতে পারবেন না আপনাকে বশ করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে । প্রকৃত প্রেমিক শ্রেণীর পুরুষ আপনাকে নিজের সর্বোচ্চটা অনুধাবন করাতে শেখাবে।
আপনি যদি প্রকৃত প্রেমিক শ্রেণীর পুরুষ হতে চান তবে নিরীক্ষণ করতে শিখুন নারীকে । স্বার্থপরতা ছেড়ে উদার হতে শিখুন। আপনার মায়া ভরা দায়িত্বশীল আবেগময় ব্যবহারের জন্য কি কি থাকা উচিত এবং আপনার কি কি অনুপস্থিত রয়েছে আপনার চরিত্রে সেগুলো খুঁজে বের করুন এবং প্রকৃতভাবে একজন প্রেমিক পুরুষ হয়ে উঠুন।
সিডাকশন শ্রেণীর মধ্যে অন্য একটি শ্রেণীর নাম হল প্রাকৃতিক শ্রেণী বা সাধারণ শ্রেণী । প্রাকৃতিক শ্রেণীর মানুষ শৈশবের স্মৃতি গুলো ফিরিয়ে আনে তা আমরা খুব উপভোগ করি এবং আমরা নস্টালজিক হয়ে পড়ি প্রাকৃতিক শ্রেণীর বশকারী বা প্রলোভনকারী যে গুণ থাকে তা হল;
১।প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব
তড়িৎ যে কোন কিছুসামনে এনে দেয়
২। ভয়হীন নির্ভীকঃ
কঠিন পরিস্থিতিতেও তারা আমাদের সাহসও যোগায়।
৩। সবকিছুকে হালকা ভাবে দেখাঃ
তারা সবকিছুকে নতুন দৃষ্টিতে দেখে কোন কিছু খুব বেশি সিরিয়াসলি নিয়ে থাকে না এবং জীবনের কেন্দ্রবিন্দু বানিয়ে ফেলে না
৪। অনুসন্ধিৎসু মনঃ
তারা যে কোন কিছু সর্বদা খুঁজতে থাকে নতুন কিছু
৫। বিশ্বাসীঃ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে যেখানে সবার হৃদয় কঠোর ও কঠিন হয়ে যায় এবং নির্দয় হয়ে পড়ে পক্ষান্তরে তারা বিনয়ী হয় এবং অমায়িক ব্যবহার করে ।
চোখে মুখে এমন একটা ভঙ্গি রাখুন যেন সবকিছুই স্বাভাবিক আপনার জন্য। বিখ্যাত কৌতুক মুকাভিনয় অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন ছিলেন প্রাকৃতিক শ্রেণীর একজন প্রভাব সৃষ্টিকারী তিনি অভিনয় শিল্পের মধ্য দিয়ে এটাকে বুঝিয়ে দিতেন চার্লি চ্যাপলিন সমস্ত পৃথিবীর সিনেমা প্রেমীদের কে সমস্ত সমস্যা ভুলে শিশুসুলভ দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখার উৎসাহ দিতেন ।
তাই আমাদের সবাইকে চার্লি চাপলিনের মত স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক শ্রেণীর হতে হয় এজন্য নিষ্পাপ মন নিয়ে সবকিছু দেখতে হবে ।
ডান্ডি শ্রেণিঃ
পুরুষ ও নারী আলাদা আলাদা ভাবে যেকোনো ধরনের সিডাকশন করতে পারে কিন্তু সিডাকশন করার একটি শ্রেণী নাম তার ডান্ডি। এই ড্যান্ডি শ্রেণীর সিডাকশন করতে হলে একজন মানুষকে নারী এবং পুরুষ উভয় চরিত্রের অভিনয় করতে হয় একজন ডান্ডি পুরুষ নারীর বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং একজন নারী পুরুষের ভূমিকায় সিডাকশন করে।
এন্জ্রি সালোমি হলো ড্যান্ডি শ্রেণীর একজন প্রকৃত উদাহরণ। তিনি বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত দার্শনিক থেকে কবিদের মন জয় করেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে তার নারী ও পুরুষের মিশ্রিত ব্যবহারের কারণে। আমরা জন্মগতভাবে এটাকে ট্রানজেন্ডার এর বৈশিষ্ট্য বলতে পারি কিন্তু ট্রানদের বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ আলাদা কারণ ট্রানজেন্ডার কোন অভিনয় বা দক্ষতা দিয়ে অর্জন করার বিষয় নয় এটা জন্মগত বৈশিষ্ট্য।
অন্যদিকে সমকামী হলো ইচ্ছা স্বাধীনভাবে একই লিঙ্গের প্রতি অথবা সম লিঙ্গের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যৌন আসক্তি অনুভব করা। তাই সমকামীতা শ্রেণীর প্রলোভনকারী অথবা ডান্ডি শ্রেণীর বশকারীর শ্রেণীভুক্ত নয়। মনে রাখতে হবে কাউকে প্রভাবিত করা সম্পূর্ণ একটি অভিনয় মাত্র।
ড্যান্ডি শ্রেণীর প্রলুধ্যকারী সমাজের নিয়ম নীতির ধার ধারে না । সমাজ তাদের কাছে কি আশা করে সেটাও বিচার করে না। তারা তাদের জীবনকে সর্বোচ্চ শান্তিতে কাটিয়ে দেয়। পৃথিবীতে যেখানেই নিয়ম নীতির প্রচন্ড প্রভাব সেখানেই ডান্ডি শ্রেণী প্রকৃষ্ট ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ডান্ডি শ্রেণী সর্বদা একটি চ্যালেঞ্জমুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
ককুয়েট শ্রেণীঃ
অন্যদিকে ককুয়েট শ্রেণীর বৈশিষ্ট্য হল এরা অত্যন্ত নান্দনিক সৌন্দর্য ও সুন্দরের পূজারী। নান্দনিক শ্রেণীর মেয়েরাই এই শ্রেণীর পর্যায়ে পড়ে। ককুয়েট শ্রেণীর মেয়েরা যেহেতু নান্দনিক এবং দেখতে সুন্দর এবং স্মার্ট তাই তারা আপনার মনে প্রভাব সৃষ্টি করার একটি পর্যায়ে ভালোবাসা এবং তিক্ততার একটি মিশ্র পরিবেশ তৈরি করে। যা আপনাকে দ্বিধায় ফেলে দেয় প্রথম দিকে তারা বিরক্ত হয়ে চলে যায় পক্ষান্তরে সম্পূর্ণ মনোযোগ ও গুরুত্বের সাথে আপনার মন কেড়ে নেবে। আত্ম পরিতৃপ্ততা রহস্যময়তা তাদের প্রধান গুণ ।
ককুয়েট শ্রেণী বা নান্দনিক শ্রেণীর বশকারি হল ঈর্ষণীয়ভাবে দক্ষ একজন প্রলোভনকারী। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট তার শাসনকালে একজন ককুয়েট শ্রেণীর বশকারীর কবলে পড়েছিলেন। যখন জোসেফিন রানীর বেশে কক্ষে প্রবেশ করল তখন সবাই মৌমাছির মতো তাকে ঘিরে ধরল এবং কুর্নিশ করল।
নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ও তার প্রতি প্রচন্ড আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন। যখনই নেপোলিয়ন তার দিকে আসক্ত হয়ে পড়ে তখন নেপোলিয়নকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। পরদিন জোসেফিন নেপোলিয়নকে একটি চিঠি লিখল হৃদয়ের সমস্ত গভীরতা ও ভালোবাসা দিয়ে পূর্ণ দিয়ে।
আবেগে যেন হৃদয়ের সমস্ত অনুভূতি নেপোলিয়নকে ঢেলে দিয়েছে । ঘটনাক্রমে জোসেফিন নেপোলিয়নের জীবনসঙ্গিনী হয়েছিলেন। যখনই কোন রাজনৈতিক মিশন অথবা অন্য কোন কাজে নেপোলিয়ন বাইরে যেতেন তখন জোসেফিন ও সর্বদা নেপোলিয়নের মনজগতে বিচরণ করতেন। মনোজগতে সর্বদা জেসেফিন থাকতেন।
আপনি কি জানেন? নেপোলিয়ন তার জীবনের অন্তিম মুহূর্তে সর্বশেষ শব্দ কি বলেছিলেন মৃত্যুর পূর্বে বলেছিল, জোসেফিন!
এভাবেই একজন কোকুইটর শ্রেণীর বশকারী আপনার মনকে বশ করে।
সম্পত্তি ও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের বিপরীত ধর্মীয় অনুভূতি হতে পারে কারো জন্য অপ্রতিরোধ্য
তারকা শ্রেণীঃ
শান্ত শীতল ও আকর্ষণীয় তারকা শ্রেণীর সিডাক্টর হল তালিকায় শেষের শ্রেণী । তারকা শ্রেণীর সিডাকশন কারীরা হল স্বপ্নের মত অলীক কল্পনা ও অবাস্তবতার ভিত্তিতে রচিত। সবাই তারকা শ্রেণীর সিডাকটরদের মনে রাখে । বর্তমান সিনেমা জগতের স্টার মেরলিন ডায়েটরিচ হলে এই তারকা শ্রেণীর একজন প্রকৃত উদাহরণ।
সবাই তাকে অনুসরণ করে এবং সে যখন সামনে দিয়ে হেঁটে যায় সবাই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তারকা শ্রেণীর সিডাক্টর হলো রহস্যের প্রতীক এবং সর্বদা সবাইকে সুযোগ দেয় যখনই কেউ তার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। সবাই তার সৌন্দর্যের প্রতি আকর্ষিত হয় কিন্তু সে সবাইকে অতৃপ্ত রাখে যেহেতু তাকে বোঝা বড় মুশকিল তবুও প্রকৃতপক্ষেই আমরা তার প্রতি আসক্ত হই।
সৃষ্টি কর্তার উপর বিশ্বাস
মনের উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী এই শ্রেণীর মধ্যে প্রকৃত পক্ষেই একটা কারিশমা রয়েছে। আর এই শ্রেণীর প্রভাব সৃষ্টিকারীদের কে বলে কারিশমা । আমারা সবাই এই কারিশমার কথা শুনেছি। আসলে কি করা হয় এই কারিশমা তে । কারিশমা বলতে আসলে কি বুঝায়। কি রয়েছে আর গুপ্ত রহস্য।
আর শুরুটা বুঝতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের শুরুতে। কারিশমা শ্রেণীর ব্যাক্তিরা সর্বদা ইতিবাচক ভাবে অন্যের মনের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে। তাদের নেতৃত্ব ও দক্ষতা দিয়ে। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গুরুদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায় এই কারিশমা। তবে যে কেউ এই গুণাবলি অর্জন করতে পারে।
এটা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ কোন উপহার নয় যে আপনি অর্জন করতে পারবেন না। এই গুণাবলি অবশ্যই অর্জন করা যাবে যদি আপনি যথাযথ দক্ষতা ও অনুশীলন করে এই গুণ টি অর্জন করতে পারেন। আপনি যদি নিজের মধ্যে এই গুণ গুলো আনতে চান এবং অন্যের মনের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে চান তবে এই গুণ গুলো অর্জন করুন।
-বাগ্মিতাঃ
আপনি যখন যুক্তি ও আবেগের সমন্বয়ে কথা বলবেন তবে আপনার মধ্যে বাগ্মিতা প্রকাশ পাবে। এই কারিশমা শ্রেণীর মানুষ প্রচণ্ড রকমেরবাগ্মী হয় এবং কথা দিয়ে তারা অন্যের মন সহজেই জয় করে নেয়।
-চুম্বকত্বতাঃ
এটা কোন বস্তু গত চুম্বক নয়। তবে কথা বলার সময় চুম্বকের মতোই আকর্ষণ করে । এক অপার্থিব আকর্ষণে নিজেকে ঘিরে রাখে।
-রহস্যঃ
কারিশমা শ্রেণীর ব্যক্তিরা হয় রহস্যজনক। তার দ্বিমুখী বৈশিষ্ট্য ধারন করে।
ভিতর থেকে তারা এক সূক্ষ্ম বিপরীত দর্শন পোষণ করে যা বাইরের দৃশ্যমান দর্শনের থেকে বিপরীত।
-ধর্মীয় প্রভাবঃ
ধর্মীয় গুরুদের মত কারিশমা শ্রেণীর বশকারীরা বিশ্বাসের মুলে আঘাত করে। এরা ধর্মীয় আবেগের বিষয় গুলোকে হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগায়। এবং তড়িৎ গতিতে প্রভাব সৃষ্টি করে । এরা সাধারণ গণহারে হিস্টিরিয়া করে প্রভাব সৃষ্টি কর তে পারে।
-নাটকীয় কায়দাঃ
নাটকীয় ভাবে তারা জন মনে প্রভাব সৃষ্টি করে । তারা জানে কিভাবে জনমনে গণহারে প্রভাব সৃষ্টি করতে হবে।
তারা যে কোন পরিস্থিতির জন্য অভিনয় করতে পারে। তারা মুহূর্তেই পুরো বিষয়টা নিজেরদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। রজার পিয়েরে লেনিন, রাজপুতিন, এল্ভিস প্রিস্লি সবাই ছিলেন কারিস্মটিক শ্রেণীর প্রভাব কারী। এল্ভিস প্রিস্লি যখন স্টেজে উঠে জ্ঞান পরিবেশ করতেন তখন তার অঙ্গ ভঙ্গি, কণ্ঠের উঠানামা ও কাম তাড়িত আকার ইঙ্গিতে নারী দর্শক এমন ভাবে প্রভাবিত হত যেন তারা উন্মাদ হয়ে যেত।
তার কারিশমা জন মনে প্রচণ্ড প্রভাব সৃষ্টি করতো। একজন সম্মোহন কারী নেতার মতই প্রিস্লি সবাইকে অবচেতন করে দিতেন।
কমনীয় এবং লাশ্যময়ী শ্রেণীঃ
অন্য একটি সিডাকশন করার পদ্ধতি রয়েছে যারা কমনীয় এবং লাশ্যময়ী শ্রেণীর পর্যায় ভুক্ত এ শ্রেণীর লোকেরা কোন প্রকার যৌনতা ব্যবহার করে না বিশেষত নারীরা ।পক্ষান্তরে তারা আপনাকে আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে রাখবে। তারা আপনার কথাগুলো শুনবে মনোযোগ দিয়ে। সব সমস্যার শুনবে সমাধান করবে আপনাকে আনন্দ দিবে এবং সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করে দিয়ে নির্মল আনন্দে ভরিয়ে তুলবে ।এই শ্রেণীর লোকেরা নমনীয় ও মেয়েদের ক্ষেত্রে লাস্যময়ী বলা যায় ।যুক্তির ধার ধারে না ।
এরা কখনোই খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না কোন বিষয়কে যেটা অনেক গুরুত্বের হলেও ।সবকিছুকে এরা হালকা ভাবে দেখে ।কোন প্রকার অনুযোগ অভিযোগ নেই কোন ব্যক্তি সম্বন্ধে অথবা নিজেদের ব্যাপারেও ।স্বামী হিসেবে মেয়েদের জন্য সেরা হতে পারে। এই শ্রেণীর লোকেদের উপস্থিতিতে জীবন উপভোগ্য হয় ।
অন্যের মনে প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যাক্তি হতে চাইলে আপনাকে কয়েকটি জিনিস বাদ দিতে হবে আপনার অভ্যাস থেকে
আমরা এতক্ষন জানলাম যে নয় ধরনের মানুষ রয়েছে যারা অন্যের মনে প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার মধ্যে কি এমন রয়েছে যা কোন একজন প্রভাব সৃষ্টিকারী ব্যাক্তিকে পরিণত হতে আপনাকে বাধা দিতে পারে ?
যদি এমন কিছু খুঁজে পান তবে অবশ্যই আপনাকে সেটা পরিত্যাগ করতে হবে । যা আপনাকে মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং কোন মানুষকে বিরক্ত করে । সিডাকশন করা হলো বাইরের জগতে মনোযোগ দেয়া আর আত্মতৃপ্তি ও স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকা ।
এন্টিসিডাকশন কি?
সিডাকশন শ্রেণীর বিপরীত ধর্মকে বলা হয় এন্টিসিডাকশন। এই ধরনের মানুষ সর্বদা বিরক্তির কারণ হয়ে থাকে কেউ তাদেরকে পছন্দ করে না।
এন্টি-সিড্যাকটররা মূলত আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর হয়ে থাকে । আসলে তারা জানতেও পারেনা যে অন্য কেউ তাদেরকে পছন্দ করে না এবং তারা অন্যদেরকে বিরক্ত করে। আপনি নিজেও এই ধরনের মানুষকে আপনার আশেপাশে থাকতে দিবেন না ।দ্রুত সম্ভব তাদের থেকে মুক্ত হতে পারলে আপনি বেঁচে যান । দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই শ্রেণীর মানুষ আবার কয়েক রকম হয়ে থাকে ।
সাফোকেটরঃ
এই শ্রেণীর মানুষ আপনাকে বিরক্ত করবে। যদিও আপনাকে চিনে না তবুও আপনার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করবে। কাছে এসে আপন হওয়ার চেষ্টা করবে। আপনাকে অবশ্যই বিরক্ত করবে যদিও প্রথমদিকে সহনীয় মনে হলেও প্রচন্ড বিরক্তি দেখা দেবে পরবর্তীতে । মূলত এই ধরনের মানুষ তাদের নিজেদের আত্ম তুষ্টির জন্যই আসে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই আসে ।
রিয়াক্টরঃ
একটু বেশি সংবেদনশীল। যেকোনো বিষয়েই তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় এবং প্রচন্ড আত্ম অভিমানী । সহসাই অস্থির হয়ে যায় এরা । নিশ্চিত আপনি তাদের সংস্পর্শে আসলে প্রথমেই আপনাকে বিরক্ত দেখাতে পারে ।
অকাঠ্য যুক্তিবাদীঃ
এরা একটু বেশি পাকামো করে। এই শ্রেণীর মানুষ সবকিছু সহজেই মেনে নিতে পারেনা। স্বাভাবিক শ্রেণীর সিডাক্টরদের থেকে এরা সম্পূর্ণটাই উল্টো ধরনের। এদের মনে কখনোই শিশুসুলভ আচরণ প্রকাশ পায় না। এরা অন্যের সমালোচনা করতে পটু। বেশি বেশি ভুল ধরে ।
মানুষকে পণ্যের দামে কিনতে চায় এবং সেভাবেই বিচার করে। মানুষের যোগ্যতা নিরূপণ করে উৎপাদন ক্ষমতা দিয়ে কাজের উৎপাদন মুখী যোগ্যতা দিয়ে । মানবিক গুণাবলী এদের কাছে তুচ্ছ । কথা দিয়ে এদের মন ভেজানো যায় না । এরা বস্তুবাদী তবে রস কস হীন ।
টাইটওয়াড বা ছোট লোকঃ
এরা মানুষকে সস্তা মনে করে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে পারে না ।
বুইট বা আক্রমণাত্মক পশু শ্রেণির লোকঃ
বুইট শ্রেণী হল নিজের সুখের জন্য ব্যস্ত থাকা মানুষ । অন্যের সুখের ব্যাপারে উদাসীন। এরা অতটা সহমর্মীর নয়।
আমাদেরকে অবশ্যই উপরোক্ত নেতিবাচক শ্রেণীর মানুষগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে এবং নিজেদেরকেও ইতিবাচক ভাবে গড়ে তুলতে হবে।
এতক্ষণ আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম তা হল মানুষকে প্রভাবিত করার কৌশল এবং স্বার্থপর শ্রেণীর মানুষ গুলোর বৈশিষ্ট্য কি সেটাও আমরা জানতে পারলাম এখন আপনাদের কাজ হবে ইতিবাচক দৃষ্টি দিয়ে নিজের চরিত্র গঠন করা যাতে আপনি একজন উপযুক্ত প্রভাব সৃষ্টিকারী হতে পারেন। মানুষের মন জয় করার জন্য যা খুবই কার্যকরী। নারীর মন জয় করার কৌশল বটে পুরুষদের জন্য।
আপনি যদি নারী হয়ে থাকেন তবুও আপনি পুরুষের মন জয় করতে পারবেন এমনকি সাম্রাজ্য যেমনটা অতীতে ক্লিওপেট্রা করেছিলেন । পেশী শক্তির পরিবর্তে মায়া শক্তি কাজে লাগিয়ে ক্লিওপেট্রা পুরুষের শক্ত হৃদয় কে
মোমের মত গলিয়ে ফেলতো । সেই শক্তি আপনিও অর্জন করতে চলেছেন ।
কিভাবে আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে অন্যকে বশ করতে পারবেন?
এখন আপনি জানবেন যে কিভাবে আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে অন্যকে বশ করতে পারেন চিরতরে ।
যত বেশি আপনি সিডাকশন প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পৃক্ত হবেন নিবিড়ভাবে তত বেশি আপনি শিখবেন ।এটা একটি আর্ট ও কৌশল মাত্র ।
নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ
১। আপনার লক্ষ্য স্থির করুনঃ
আপনি নির্দিষ্ট কাউকে সিডাকশন বা বশ করতে চান আপনার অনুগত করতে চান চিরতরে তেমন ব্যক্তিকে খুঁজুন এবং লক্ষ্য স্থির করুন । কাঙ্খিত ব্যক্তির মধ্যে শূন্যতা খুঁজুন ।এতে আপনাকে সে সাহায্য করবে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে। হয়তো আপনি তার মধ্যে কোন ঈর্ষণীয় গুণ খুজে পাবেন । অথবা কোন একটি কারণে তার দিকে আকর্ষণ অনুভব করবেন যত বেশি তার সম্বন্ধে আপনি জানতে পারবেন । শূন্যতা খুঁজুন। অতৃপ্ততা খুঁজুন ।
২। পরোক্ষভাবে এগিয়ে যানঃ
আপনি সশরীরে তাদের কাছে চাওয়ার পরিবর্তে আপনার কাঙ্খিত ব্যক্তিকে আপনার কাছে আসতে সাহায্য করুন। কাঙ্খিত ব্যক্তির বন্ধুদের সম্বন্ধে জানুন এবং একটি বলয় তৈরি করুন তাতে আপনি তার বিষয়ে আরো বেশি জানতে পারবেন ।
আপনার সম্বন্ধে একটি অস্পষ্ট ধারণা তৈরি করুন যাতে আপনাকে সে পরিপূর্ণভাবে জানতে না পারে। মিশ্র কোন প্রতিক্রিয়া তৈরি করুন, ধনী নয় তবে গরিব নয়। প্রতিষ্ঠিত নয় তবে অপ্রতিষ্ঠীতও নয় । চুক্তিবাদী নয় তবে মায়াবাদী ও নয় । তাদের মনে একটি দ্বিধা তৈরি করুন ।
৩। নিজেকে একটি কাঙ্খিত ব্যক্তিদের রূপান্তর করুনঃ
কোন একটা অদৃশ্য মায়াজাল বুনে তাদের মনে কি সুখের স্পর্শ প্রতিষ্ঠা করুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা যেন আপনাকে ভেবে সুখ অনুভব করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করুন ।তাদের দুর্বলতা খুঁজুন এবং কথা বলুন । তারা কি চায় তাদের আনন্দটা খুঁজে বের করুন। একটি বিপদজনক পরিস্থিতিতেও যেন আপনার জন্য ব্যাকুল হয়ে যায় নিজেকে তেমন বিশ্বাসই করে গড়ে তুলুন। আপনাকেই একটি কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের রূপান্তর করতে হবে তাদের জন্য।
৪। একটি ব্যাকুলতা তৈরি করুনঃ
কোন একটি ভালো খবর প্রকাশ প্রকাশ করুন পরক্ষণেই তা সরিয়ে নিন। যে কোনো সুখবর প্রাপ্তি থেকে শেষ মুহূর্তে বঞ্চিত করুন যাতে তা পাবার জন্য পাগল বা পাগলি হয়ে যায় ।
৫। কোন কিছুর বিকল্প তৈরি করুন এবং অর্জনে সাহায্য করুনঃ
যেকোনো কাঙ্ক্ষিত বস্তুতে তাদের মনি স্থির করানোর পর নিজের মধ্যে সেই গুণাবলী ধারণ করুন যাতে সমস্ত কিছুই আপনার মধ্যে পেয়ে থাকে। তাদের স্বপ্ন গোপন ইচ্ছা এবং ভাব বুঝুন। একটি ইন্দ্রজাল তৈরি করুন যাতে আপনাকে পেলে তাদের সব স্বপ্নপূরণ হয়। একজন প্রকৃত প্রেমিক হিসেবে অভিনয় করুন ।অতি দ্রুতই আপনি তাদের মনোজগতে প্রবেশ করবেন ।
৬। একটি আধ্যাত্মিক সম্পর্ক তৈরি করুনঃ
যেকোনো ধরনের জল ও জাগতিক সম্পর্কের সাথে যদি আধ্যাত্মিক সম্পর্ক যুক্ত হয়ে যায় তখন সেই সম্পর্ক হয় মজবুত ও দৃঢ়। নিজেকে প্রমাণ করুন যে আমরা দুটি পাখি স্বর্গ হতে বিচ্ছিন্ন এই ধরাধামে এসে অলৌকিকভাবে মিলিত হয়েছি।
এতে দুজনের মনে একটি আধ্যাত্মিক প্রভাব কাজ করবে এবং অজান্তেই সম্পর্কটি অনেক গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে চলে যাবে। সিডাকশন করার এটা একটি ভালো উপায় আধ্যাত্মিক সম্পর্ককে টেনে আনা। উঁচু ও নিচু স্থানের সমন্বয় করার চেষ্টা আধ্যাত্মিক ও শারীরিক অস্তিত্বের মিলন ঘটানোর চেষ্টা ।
৭। কার্যসম্পাদনঃ
যাদেরকে আপনি সিডাকশন করতে চান পরবর্তীতে একটি বিব্রতকর ও শত্রুতা পূর্ণ অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই সম্পর্কটিকে খুব বেশি দীর্ঘায়িত করবেন না। যত দ্রুত কারণ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। কখনোই কাউকে আপনাকে সস্তা ভাবে পেতে দিবেন না। নিজেকে সস্তা ভাবে উপস্থাপন করবেন না।
সারাংশঃ
আমরা এতক্ষন যে আকর্ষণের গুপ্ত রহস্য সম্বন্ধে জানলাম, এটাকে বলে সিডাকশন বা প্রভাব সৃষ্টি করা এটা নেতিবাচক হতে পারে ইতিবাচক হতে পারে। তবে আমরা চাইবো এটাকে ইতিবাচক ভাবে প্রয়োগ করুন। কোন ধরনের বদ মতলব উদ্দেশ্য অথবা অন্যায় প্রতারিত করার জন্য এই কৌশল কে প্রয়োগ করবেন না এটা শুধুমাত্র একটি কৌশল নিজেকে পরিবর্তন করার। এই কৌশল প্রয়োগ করে আপনি অন্যের কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য হতে পারবেন এটা শতভাগ নিশ্চিত।
More Stories
ধনী হওয়ার উপায় 2024
গল্পঃ অতৃপ্ত জন্মদিনের শুভেচ্ছা
প্রেজেন্টেশন টিপস আমি যা মেনে চলি