Disaster and Earth Science
বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনে বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞান একদিকে যেমন আশীর্বাদ, আবার অপব্যবহারে বিজ্ঞান মানবজাতির জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এর সব থেকে বর উদাহরণ হল ড্রোন এর আবিষ্কার ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা। বর্তমানে Kamikaze Drone নামে ব্যপক আলোচনা হচ্ছে।
কারণ এর বৈশিষ্ট্য হল এটা একেবারে লক্ষবস্তুর ঠিক উপরে গিয়ে নির্দেশমতো সময় নিয়ে হামলা করতে পারে । রাডার প্রযুক্তিও নির্ভুল সনাক্ত করতে পারে না। কাজিকামি ড্রোন হল এমন একটি টেকনোলজি দিয়ে তৈরি যেখানে কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়। এলগরিদম সেট করা থাকে যার কারণে দুর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সহজেই গোলাবারুদ ভর্তি এই সাক্ষাত যমদূত রুপি Kamikaze drone কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ব্যবহারকারীরা।
Kamikaze Drone বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করে লক্ষের দিকে ছুটে যায় এবং কোথায় কোন ইমপ্যাক্ট বা বাধা পেলে বিস্ফোরিত হয়। ড্রোন টি ধ্বংস হয়ে যায়। কাজিকামি ড্রোন টি ইরানের তৈরি, নাম শাহেদ 136 তবে রাশিয়ায় এটাকে ডাকা হয় জেরানিয়াম ২ বলে। এটি একটি উড়ন্ত বোমা যার গতি ১৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
অনেক নিচ দিয়ে উড়ে যায় । ২৫০০ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে। ৮ মিটার দৈর্ঘ্য পাখা ভর্তি গোলাবারুদ থাকে। অনেক কম দাম এগুলোর তুলনামূলক ভাবে। ৩০-৫০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। ২০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েই কেনা যাবে এই কামিকাজি ড্রোন।
ড্রোন সনাক্তকারী প্রযুক্তি কাজিকামি ড্রোন সনাক্ত করতে পারলে সব গুলো একসাথে ধ্বংস করা দুষ্কর। রাশিয়া ইরান যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের ড্রোন এর মালিক।