মেয়ে দুইটা কে পেয়ে যারপরনাই খুশি আমি কারণ, তারা আমাকে অধিক ভাল বাসে। বাইরে যেতে চাইলে পিছু ছাড়ে না। মাত্র ২ বছর বয়স রিঙ্কার । এখনি মটর সাইকেলে বসে দিব্যি দুরে বেড়াতে পারে। মাঝে মাঝে দুই হাত ছেড়ে দিয়ে বেশি আত্মবিশ্বাস দেখানোর চেষ্টা করে। তবে বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর সময় ঘুম আসা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ছোট বাচ্চাদের জন্য। টাই সেও ঘুমিয়ে পড়ে বাইকে সামনে চড়ে। আর আমার খেয়াল রাখতে হয়। অতি সাবধানে চালাতে হয়।
শহরের জীবন বড়ই বেমানান। উঠতি বয়সী শিশুদের জন্য। থাকে কোন নির্মল বাতাস, না থাকে কোন অবারিত মাঠ। দিনের নির্দিষ্ট কোন এক সময়ে বাইরে বের হতে হয়। তবু অফিস যাওয়ার মত আয়জনকরে।
ওদের দরকার ইচ্ছা স্বাধীন খোলা হাওয়া খাওয়া। কিন্তু সেটা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে এখানে, মাগুরাতে।
যখনি বাইরে যাব তাদের জন্য কি কিনে এনেছি কাছে এসে জিজ্ঞাসা করে রিয়ানা। আর ছবি আঁকার আগ্রহ তার ভীষণ। রঙ্গিন পেন্সিল, আর্ট পেপার তার বায়না। এবং ইউটিউব দেখে দেখে শিখেছে নির্দিষ্ট কিছু ডিজাইনের আর্ট পেপার ও পেন্সিল দরকার তার।। মেয়ের আর্টের প্রতি আগ্রহ দেখে আমিও উৎসাহ পাই।
রিঙ্কা ইদানীং কথা বলা শিখেছে কিছু কিছু। মাঝে মাঝে সে কথার অর্থ বোঝে না তবে বাবা মায়ের বলা কথায় সে শিখছে একটু একটু করে। কখনও বলে ‘পা… আ… পা, কোলে আসো’ মানে তাকে কোলে নিতে হবে। ‘কোলে নাও’ না বলে সে বলছে ‘কোলে আসো’>>> বাচ্চাদের কথা শেখার সময়টা খুব মধুর হয়। এসব মুহূর্ত গুলোকে রেকর্ড করে রাখা জরুরী।
More Stories
Bangladesh Genocide became the most heinous crime by Pakistani Army in 1971 documented by World Record
সুন্দরবন কেন এতো উপকারী
ভূমিকম্প প্রতিরোধে করণীয়