Colorgeo

Classroom of Money and Wisdom for Earth Science

যেসব কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে

Spread the love

যেসব কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে

ছোট ছোট ঘটনা থেকেই ধীরে ধীরে বড় ঘটনার জন্ম নেয়। ঠিক তেমনি ছোট ছোট অবিশ্বাস থেকেই বৃহৎ অবিশ্বাস সম্মুখে আসে এবং তখনই দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি হয়। দাম্পত্য জীবন শুরুর সময় সম্পর্ক অনেক মধুর থাকে এর কারণ দুজন দুজনার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো অজানা থাকে।

যখন একটি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয় তখন দম্পতি একে অপরের পারস্পারিক শারীরিক এবং মানসিক মনস্তাত্ত্বিক বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাশীল ব্যক্তিত্ব ও কৃষ্টি-কালচার আচার-ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ পায় ঠিক তখনই সম্পর্ক গুলো একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে ।

যদি সুসম্পর্ক বজায় থাকে তাহলে চিরজীবন মধুর জীবন অতিবাহিত হয়। ঘটনা ক্রমে ছোট ছোট অবিশ্বাস যখন জন্ম নেয় কোন কিছু গোপন করা এবং তা প্রকাশ পাওয়া । ভালোবাসার গভীরতায় কখনো কখনো সেগুলো উপেক্ষা করা হয় কিন্তু পর্যায়ক্রমে একটি ছোট্ট ঘটনা অবিশ্বাস এর মত বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য প্রশ্রয় দেয়।

তাই জীবনের কোন পর্যায়েই ছোট অবিশ্বাস এর সৃষ্টি হতে দেওয়া উচিত নয়। দাম্পত্য জীবনে দুটি ভিন্ন মানুষ বিভিন্ন পরিবারের ভিন্ন কৃষ্টি-কালচার পরিস্থিতিতে বড় হয়ে একটি পরিবারের জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় পুরনো অভ্যাস গুলো অনেক সময় পরিবর্তন হতে সময় নেয়।



কোন কোন অভ্যাস কোনদিনও পরিবর্তন হয় না কিন্তু দাম্পত্য সম্পর্কে যদি সেই অভ্যাসগুলো সহায়তা করে তাহলে নিজ গুনে ধীরে ধীরে সেগুলো পরিহার করা উচিত। কিন্তু পরিবারের জন্য বাধ্যবাধকতা চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয় । এতে দাম্পত্য কলহে অবিশ্বাস জন্ম নিতে পারে ।



প্রতিটি মানুষ তার স্বতন্ত্র নিয়ে বড় হয় স্বামী-স্ত্রী, নারী পুরুষ গঠনগতভাবে আলাদা হলেও মানসিক এবং চিন্তা মননশীলতায় স্বাধীনতা সম্পূর্ণ অধিকারী তাই দুজনের পারস্পারিক চিন্তা বোধ থাকা দরকার দুটি পরিবার একে অপরের পরিচর্যায় সম্পর্কগুলো চলমান থাকলে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয় না



বর্তমান আধুনিক সময়ে টেকনোলজির কল্যাণে কেউ কারো উপর নির্ভরশীল নেই অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর উপর নির্ভরশীল নয়, স্ত্রী স্বামীর উপর নির্ভরশীল নয়। এটা যদিও অতীতের সময়গুলোতেও নির্ভরশীলতা থাকেনি কারণ জীবন কোন না কোন ভাবে অতিবাহিত হতেই থাকে।



জীবন চলমান কোন কিছুর জন্য জীবন থেমে থাকে না। জীবনের গতি সর্বদা সম্মুখে তাই এই সত্যটি উপলব্ধি করা দরকার ।দাম্পত্য জীবনে সন্তান-সন্ততি একটি মধুর ও আনন্দময় সন্তানের বড় হওয়া সসম্মানে বেড়ে ওঠা ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়া নির্ভর করে। পিতা-মাতার পারস্পরিক সম্পর্ক সন্তানের ঝগড়া বিবাদ পারস্পারিক প্রকাশ করতে দেওয়া উচিত নয়।

স্বামী-স্ত্রীর দুটি পরিবারের সম্পর্কের অবনতি হলেও সন্তানের মুখে বলা উচিত নয়। সন্তানকে সম্পৃক্ত করা উচিত নয় সন্তানের থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় যতদিন না সাবালক হয়ে বড় হয়।

দাম্পত্য
যেসব কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে

 

দাম্পত্য সম্পর্কে অবনতি হয় কয়েকটি বিশেষ কারণেঃ

 

 ছোট ছোট অবিশ্বাসকে প্রশ্রয় দেওয়া



 মিথ্যা বলা, সত্য গোপন করা



 স্বামী স্ত্রীর উপরে অথবা স্ত্রী স্বামীর উপরে প্রাধান্য বিস্তার করার মানসিকতা



 স্বামীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা



 স্ত্রীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা



স্বামীর পরিবার কে প্রাধান্য দেওয়া



 স্ত্রীর পরিবারকে প্রাধান্য দেওয়া



স্বামীর মতামতকে উপেক্ষা করা  



স্ত্রীর মতামতকে উপেক্ষা করা



সন্দেহপ্রবণ মানসিকতা পোষণ করা



ভবিষ্যতের উন্নত জীবনের আশায় বর্তমানের শুভক্ষণ কে বিসর্জন দেওয়া



 অতীতের বিষাদ ময় ঘটনাগুলোকে বর্তমানে আনা 



অতীতের সুখময় ঘটনাগুলোকে ভুলে যাওয়া



 পারস্পারিক অকৃতজ্ঞ হওয়া



 পারস্পরিক সম্মান বোধ না থাকা



 ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিশয় উদ্বিগ্ন থাকা



স্বামীর বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী দের সাথে সু-সম্পর্ক না থাকা



স্ত্রীর বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন শুভাকাঙ্খীদের সাথে সুসম্পর্ক না থাকা



 আয় বুঝে ব্যয় না করা



 আবেগপ্রবণ হওয়া ভুত-প্রেত বিশ্বাস করা ঝাড়ফুঁক



 স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস না করা দুজন ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বসবাস করা



স্বামী স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন নারী বা পুরুষের সাথে গোপন সম্পর্ক বজায় রাখা



 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অতিশয় আসক্তি থাকা



 সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে যেমন ফেসবুক এ, অথবা টিভি সিরিয়াল গুলোর প্রতি আসক্ত থাকা



 পারস্পারিক দায়িত্ববোধ থেকে বিরত থাকা উপেক্ষা করা 



সন্তানের প্রতি প্রতিপালনের দায়িত্ব পালন না করা



 স্বামীর প্রতি দায়িত্ববোধ উপেক্ষা করা



 স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ববোধ উপেক্ষা করা 



অতিশয় কেনাকাটা উচ্চাভিলাষী মনোভাব বজায় রাখা এবং আচরণ করা



যাবতীয় বদ অভ্যাস পরিত্যাগ না করা 



বর্তমান চতুর্থ বিপ্লবের যুগে এখন বিশ্ব অনেক ডিজিটাল হয়েছে ঘরে বসেই এখন সবকিছু হাতের মুঠোয় পাওয়া যাবে। দামি গাড়িতে চড়ার আগ্রহ থাকলে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে সহজেই সেই ইচ্ছা পূরণ করা যাবে। প্রযুক্তির কল্যাণে জীবন এখন অনেক বেশি ব্যস্ততম এবং সহজতর।

এই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে জীবনটাকে উন্নত করা সম্ভব ডিজিটালাইজেশনের যুগে নারীরা এখন অনেক বেশি স্বাবলম্বী হতে পারে বিশেষ করে  উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। স্বভাবতই নারীদের বাইরে চলাফেরা এবং যোগাযোগের প্রয়োজন হতে পারে।

সেইসাথে নারীদের জীবনে একটি বড় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া । ঠিক একইভাবে পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।পারস্পারিক সম্পর্ক একটি পরিবারের মধ্যে অনেক সুখের মুহূর্তগুলো এনে দিতে পারে। সন্তানসন্ততির ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারে । তাই দাম্পত্য সু সম্পর্ক থাকা অতিশয় জরুরী।