Colorgeo.com

Disaster and Earth Science

কি কি আনপ্রডাক্টিভ কাজ করেন জেনে নিন

Spread the love

আমরা সারা দিনে অনেক আনপ্রডাক্টিভ কাজ করি

যেমনঃ

ফেসবুকে সময় কাটানো

বাসন মাজা

কাপড় কাঁচা
শপিং এ যাওয়া আয়োজন করে
ক্রিকেট ম্যাচ দেখা
অন্যের সমালোচনা করা বসে বসে
ফেসবুকে অন্যের পোষ্ট এ কমেন্ট করা এবং আলোচনা চালিয়ে যাওয়া
রান্না করা
আমার দৃষ্টিতে এগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ কিন্তু উৎপাদন শীল কাজ নয় । কারণ যে কাজ ভালু তৈরি করে তাই উৎপাদনশীল কাজ। তবে কারো পেশা যদি হয় রান্না করা বা সেফ তবে নতুন নতুন রান্নার রেসিপি তৈরি করা তার জন্য প্রডাক্টিভ কাজ । যেমন বই লেখা…।। গবেষণা করা…।। নতুন গান লেখা কবিতা লেখা … ইত্যাদি সহ সন্তান লালন পালন করা প্রডাক্টিভ কাজ মনে করি।

আনপ্রডাক্টিভ কাজ এর কিছু উদাহরণঃ

১. সামাজিক মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা: নিউজ ফিড স্ক্রোল করা, অপ্রয়োজনীয় পোস্টে অংশগ্রহণ করা, বা অন্যদের জীবন সম্পর্কে ঈর্ষান্বিত বোধ করা সময় নষ্ট করে।

২. অপ্রয়োজনীয় ইমেইল এবং বার্তাগুলিতে জড়িয়ে পড়া: প্রতিটি ইমেইল বা বার্তা তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করা এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই।

৩. অপ্রয়োজনীয় মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা: যে মিটিংগুলির কোনো স্পষ্ট উদ্দেশ্য বা ফলাফল নেই সেগুলি এড়িয়ে চলুন।

৪. অপরিণত কাজগুলিতে বিলম্ব করা: গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি পিছিয়ে রাখলে চাপ এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়।

৫. অপ্রয়োজনীয় বিরতি নেওয়া: বারবার ছোট ছোট বিরতি কাজের প্রবাহ ব্যাহত করে।

৬. গুগলিংয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা: অপ্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানে সময় নষ্ট করা উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়।

৭. অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে পড়া: ফোন করা, ইমেইল পাঠানো, বা সহকর্মীদের সাথে গল্প করা ইত্যাদির মতো অপ্রয়োজনীয় কাজ এড়িয়ে চলুন।

৮. অগোছালো এবং অপরিষ্কার কর্মক্ষেত্র: অগোছালো পরিবেশ মনোযোগ বিভ্রান্ত করে এবং কাজের গতি কমিয়ে দেয়।

৯. অপ্রয়োজনীয় মাল্টিটাস্কিং: একই সময়ে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করলে মনোযোগ বিভ্রান্ত হয় এবং ভুলের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

১০. অস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করা: স্পষ্ট এবং পরিমাপযোগ্য লক্ষ্য না থাকলে অগ্রগতি ট্র্যাক করা কঠিন হয়।

১১. অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা: অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করার চেয়ে নিজের উন্নতিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

১২. অপ্রয়োজনীয় চিন্তাভাবনা: ভূতকালের ভুল বা ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তা করার পরিবর্তে বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

১৩. অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা: নিজের এবং অন্যদের সমালোচনা করার পরিবর্তে ইতিবাচক দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

১৪. নেতিবাচকতা: নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং মনোভাব উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে।

১৫. অপ্রয়োজনীয় তুলনা: নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করার পরিবর্তে নিজের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

১৬. অপ্রয়োজনীয় অভিযোগ: পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করার পরিবর্তে সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।

18. অপ্রয়োজনীয় অজুহাত: কাজ এড়াতে অজুহাত তৈরি করা অনুৎপাদনশীল।

19. অনেক কথায় নাক গলানোঃ

20. কাজের চেয়ে কাজ করার চিন্তা বেশি করা ঃ

21. অপ্রয়োজনীয় অপেক্ষা: কাজ শুরু করার আগে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অপেক্ষা করা সময় নষ্ট করে।

22. অধৈর্য মানুষ গুলোকে শেখাতে যাওয়া

23. অপ্রয়োজনীয় নিয়মকানুন: অপ্রয়োজনীয় নিয়মকানুন প্রক্রিয়াটিকে ধীর করে তোলে এবং উদ্ভাবনকে বাধা দেয়।

24. অপ্রয়োজনীয় মিছিল : প্রতিটি মিছিল বা মিটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং উদ্দেশ্য মূল্যায়ন করুন।

25. অপাত্রে প্রতিবেদন তৈরি করে দেয়া: অপ্রয়োজনীয় তথ্য বাদ দিয়ে সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট প্রতিবেদন তৈরি করুন।

26. অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি:

27. অপ্রয়োজনীয় ফোন কল: যখন সম্ভব, ইমেইল বা মেসেজিং ব্যবহার করুন।

28. আগ বাড়িয়ে উপকার করতে যাওয়াঃ

29. অপ্রয়োজনীয় শপিং: সহজ এবং সরল সমাধান খুঁজুন।

30. অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তাঃ

31. অপ্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ: অন্যদের উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করা উচিত নয়।

32. অপ্রয়োজনীয় নেতিবাচক মনোভাব: ইতিবাচক দিকে মনোযোগ দিন এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এড়িয়ে চলুন।

33. অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি এড়ানো: যুক্তিসঙ্গত ঝুঁকি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

34. অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তহীনতা: সময়মত সিদ্ধান্ত নিন এবং অগ্রসর হন।

35. অনিশ্চয়তা নিয়ে কাজ শুরু করা স্পষ্টতা এবং নিশ্চয়তার জন্য চেষ্টা করুন।

36. অস্পষ্টতা নিয়ে কাজ করা: স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে যোগাযোগ করুন।

37. অকৃতজ্ঞকে সহযোগিতা: অন্যদের সাথে সহযোগিতা করুন এবং জ্ঞান শেয়ার করুন।

38. অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা: সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহায়তার উপর মনোযোগ দিন।

কাজ

এই তালিকা কেবল একটি নির্দেশিকা। আপনার নিজস্ব অনুভূতি এবং পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে আপনার জন্য কোন কাজগুলি অনুৎপাদনশীল তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার টিপস:

  • আপনার লক্ষ্যগুলি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করুন। আপনি কী অর্জন করতে চান তা জানলে আপনি আপনার সময় এবং শক্তি কীভাবে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণ করতে পারেন।
  • একটি সময়সূচী তৈরি করুন এবং এটি মেনে চলুন। আপনার দিন কীভাবে কাটাবেন তা পরিকল্পনা করলে আপনি ফোকাস করতে এবং অনুশাসিত থাকতে সাহায্য করবে।
  • অগ্রাধিকার দিন কাজেঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিতে প্রথমে মনোযোগ দিন এবং কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে পরে স্থগিত করুন বা বাদ দিন।
  • বিরতি নিন। লম্বা সময় ধরে কাজ করার পরিবর্তে নিয়মিত বিরতি নিন। এটি আপনাকে রিফ্রেশ করতে এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করবে।
  • “না” বলতে শিখুন। আপনার সময় এবং শক্তি নষ্ট করবে এম