লিটন আকন্দ
—————
সব বিষয়ে যে লেটার পেয়েছে
সে নিশ্চয়ই অনেক দামি,
টেনেটুনে যে পাশ করেছে
তারেও স্মরি আমি।
অভিনন্দন জানাই তোমাদের দিয়ে গোলাপ ফুল,
কম বেশি সবাই দামী
মানতে করো না ভুল।
পড়ার ক্ষতি হবে বলে
বাইরে যাওয়া বারণ,
একটা পর্দাই যখন রুমের দেয়াল,
হয় পড়ার ক্ষতির কারণ।
জন পাঁচেক মাস্টার দিত,
ভালো ফল যাতে হয়,
ছোটদের পড়াতে হবে এটাতো পড়ার বাইরে নয়!
ঘুম ভাঙেনি,চোখ কচলে
কারও কোচিংএ হয়েছে যেতে,
বাবা গিয়েছে ইটের ভাটায়, তুই একটু যা ক্ষেতে।
স্কুল শেষ দুপুরে খেয়ে কেউ দিয়েছে ঘুম,
ঘুমাস নে বাবা মাঘ ফাল্গুনে ধান লাগানোর মৌসুম।
বিকালে কারও স্যার এসেছে, মা দিয়েছে চা,
বাজারটা যা করে আন বাবা দেরি হলে কিছু পাবি না।
গোঁধুলি কারও কেটেছে হেঁটে কেউ গিয়েছে ছাদে, দায়িত্বের মাঝে বুঝে নি সে পা দিয়েছে ফাঁদে।
সন্ধ্যায় ও পড়েছে একেলা তার নিজের শান্ত কক্ষে,
এদিকে সাথে বসেছে আরও তিনটা পড়াতে হবে প্রত্যেককে।
“পড়া ছাড়া কিছু করাই নাকি?” মা বলবেন রেগে,
সারাদিন কত কাজ করেছিস আর পড়িস না জেগে।
ভালো ফল করেছো যারা সব সুবিধা পেয়ে,
একটু খারাপ করেছে যারা ক্ষুদ্র নয় তাদের চেয়ে।
অভিনন্দন পাবে সবাই যারাই সফলকাম,
গোবরে পদ্ম হয়েছে যারা তাদের জানাই প্রণাম।
বিফল হয়েছে যারা
ফেলে দেবার তো নয়,
ঘুরে দাঁড়াও, ভুলো নাকো
পরিশ্রমীরাই সফল হয়।
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
রাসেল ভাইপার কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে