পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ
শুধু জলবায়ু গত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ই নয় বর্তমানে জৈবও দুর্যোগ যেমন কভিড-১৯ বর্তমানে খুব বেশি সংশয়ের কারণ। উন্নত বিশ্ব দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হবার পর ও এই জৈবও দুর্যোগ থেকে তারাও রেহাই পাচ্ছে না ।
প্রফেসর মোস্তফা জামান প্রাক্তন ডিন পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ। তিনি বলেন আন্তরিক ভাবে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা এই অনুষদ গঠন করতে ভূমিকা রেখেছেন।
অনেক স্মৃতি রয়েছে ২০০৭ সালে যখন সিডর আঘাত করে এই অঞ্চলে। অভিনন্দন ১২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে। এটা খুব ভাল যে এই অনুষদের প্রাক্তন ছাত্ররাই এখন অনুষদের শিক্ষক। কোন কোন সহকর্মী খুব ভাল করছে।
জাপান থেকে যারা আজ অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের দেশে এখন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করার আছে। আমি গভীর ভাবে বিশ্বাস করি এই অনুষদ এক দিন এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব করবে এবং ভূমিকা রাখবে।
প্রফেসর মোহাম্মদ আলি, ডিন কাউঞ্চিলের কনভেনর, পবিপ্রবি, সবাইকে ধন্যবাদ জানান। আজকের এই অনুষ্ঠানের উপস্থিত সমস্ত সম্মানিত বিশেষ অতিথি ও অন্যান্য প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী সহ সবাইকে ধন্যবাদ।
আগস্ট মাস বাঙালির শোকাবহ মাস। এই আগস্ট মাসেই আমারা হারিয়েছি বাঙালি জাতির অবিসংবিদতি নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এই অনুষদ প্রথম যারা বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছিল।প্রফেসর মোস্তফা জামান ই প্রথম বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। এই অনুষদে ৬০ জন নতুন ছাত্র প্রতি বছর ভর্তি হয়।
এখান থেকে পাশ করে অনেকেই জব করে অনেকই জব খুঁজছে। ছাত্র ছাত্রীরা যাতে ভাল জব পায় বিশেষ করে বিসিএস ক্যাডার। ছাত্রদের কর্ম ক্ষেত্র তৈরি করা দরকার।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ এর কারিকুলাম নিয়ে যারা কাজ করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই।প্রফেসর মাহাবুব, মোকাদ্দেম আলি সহ যারা শ্রম দিয়েছেন । প্রফেসর মোস্তাফা জামান অনেক বড় অবদান রেখেছেন। তিনি ল্যান্ড মেনেজেমেন্ট অনুষদ কে গঠন করেছেন ।
এক্রিডিটেড কারিকুলাম করতে হবে যাতে সহজেই আমরা দেশের বিদেশের উচ্চ শিক্ষার নীতিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারি। অনেকেই অনুষদের শিক্ষা শাখা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আসলে এটা কোন মানবিক শাখার পড়াশুনা নয়। এটা বহুমুখী বিজ্ঞানের পড়াশুনা।
এখানে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ার, ভূতত্ত্ববিদ , ভূগোল ও পরিবেশবিদ, সহ বহুমুখী বিজ্ঞান। এই অনুষদের নতুন একটি ভবন হবে ১০ তলা নতুন ভবনে।।
ডঃ এস এ এম জোবাইদুল নিউ ক্যাসেল থেকে বলে তিনি প্রশিক্ষিত ও পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেন।
আগস্ট মাস শোকের মাস। কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় পরিবেশ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বলা যায় আমি পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ নিয়ে গর্বিত। কারণ দুর্যোগ ও পরিবেশ এক সাথে সম্পর্কিত। আমি পটুয়াখালীর সন্তান। অনুষদের ছাত্র ছাত্রীরা শুধু বাংলাদেশে নয় বহির্বিশ্বে জব খুঁজবে। পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে যেমন সরাসরি বিদেশে দরখাস্ত করতে পারে। এখানেও তেমন শিক্ষার মান বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশের বৃহৎ সমুদ্রও উপকূল রয়েছে। সেখানে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ভাল একটা গবেষণা কেন্দ্র গঠন করা যায়।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসি স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, শুরুতে অনুষদের অনেক সমস্যা ছিল। কোন বিশেষ শিক্ষক ছিল না। বসার জায়গা ছিলনা। এখন নতুন ভবনে স্থানন্তর করা হবে। প্রফেসর মোস্তাফা জামান অনেক পরিশ্রম করেছেন। বহু ওয়ার্কশপ করেছে। নতুন অনুষদ গঠনে ভুমিকা রেখেছেন। ৪র্থ শিল্প বিল্পব ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ
গবেষণার স্থানের কোন অসুবিধা থাকবে না। অনুষদের সাফল্য কামনা করছি। কর্ম ক্ষেত্র সৃষ্টি করার প্রয়াস নিয়ে কাজ করে যেতে হবে বিসিএস ক্যাডার তৈরি করা যায় সে বিষয়ে চেষ্টা থাকতে হবে ছাত্রদের হতাসা দুর করেতে হবে। যে শিক্ষা কাজে লাগে না সে শিক্ষা টিকে থাকে না।
অনুষদের ডিন ডঃ আহমেদ পারভেজ বলেন, বিশ্ব বিদ্যালয়ের বন্ধ থাকার জন্য আমরা আজ শুধু ভার্চুয়াল মিটিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। পরবর্তীতে আমরা একটা স্বরন্বিকা প্রকাশ করা হবে। এবং কিছু গরিব ছাত্রদের সামান্য কিছু নগদ অর্থ সাহায্য করা। সারা বিশ্ব থেকে যারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশেষায়িত আছেন তাদের থেকে অত্যাধুনিক জ্ঞান অর্জনের জন্য আমন্ত্রণ জানান হবে। পবিপ্রবি ভিসি মহোদয় স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত আমাদের সাহায্য করেন সব সময় ও পরামর্শ নেন।
প্রফেসর মাহাবুব স্যার ভিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে এই মাস একটা দুঃখের মাস এবং ক্ষোভ এর মাস ও বলা যায়। এই মাসেই শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যা করা হয় এবং শেখ হাসিনা কে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পবিপ্রবি একটা পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ গঠন করেছে। এটা খুবই ভাল উদ্যোগ।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা রেখেছেন। পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ একটি অগ্রগামী অনুষদ। অতি দ্রুত যদি পিএইচডি ও এম ফিল ডিগ্রি দিতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করবেন। ফলিত বা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এই গবেষণা করা দরকার। গবেষণা আরও বাড়াতে হবে। এখান থেকে এম এস করেছেন অনেকে। কি কি গবেষণা করা দরকার তার একটা লিস্ট করা ভাল। বিশেষ করে এই দক্ষিণ বঙ্গে।
লোকাল নাগরিকদের নিয়ে কিভাবে এডাপ্টেসন করা যায় তার জন্য একটা কেন্দ্র করা যায় কিনা তার ব্যবস্থা করতে হবে।
ভাল মানের মাটি নিয়ে কিভাবে আডাপ্টেসন করে সমন্বিত চাষ করা যায় তার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। এই অঞ্চল আসলে সমন্বিত চাষ করার জন্যই উপযুক্ত। প্রতি বর্গ ইঞ্চি উর্বর । সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে শুধু একটা কারণে যদি পানি দুষিত হয়। লবণাক্ততা এটাও একটি সমস্যা । যত বেশি সজীব পানি র ব্যবস্থা করা যায় তবে তত ভাল হবে।
সিডর এ যে ক্ষতি হয়েছে তার থেক অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে আইলা তে । পল্ডার তৈরি করতে হবে এ অঞ্চলে। পল্ডার হতে হবে আরও বেশি সমন্বিত । তবেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
রাসেল ভাইপার কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে