Colorgeo.com

Disaster and Earth Science

প্রেজেন্টেশন টিপস আমি যা মেনে চলি

Spread the love

প্রেজেন্টেশন টিপস আমি যা মেনে চলি

দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে রাখা এবং সেই পরিকল্পনা মাফিক সারাক্ষণ ব্যস্ত থেকে প্রস্তুতি নিয়ে কোন একটি বিষয় উপস্থাপনায় যদি আশানুরূপ উপস্থাপন করা না যায় তবে সারাদিন নতুন এক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে পার করতে হয় । কেন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলাম না ।

মনে উদয় হয় ইস যদি ওই ভুলটা না করতাম তবে উপস্থাপনটা কতই না সুন্দর হতো হতে পারে এটা গান আবৃত্তি বক্তৃতা অথবা কোন ব্যবসায়িক প্রকল্প, গবেষণা প্রেজেন্টেশান ইত্যাদি। ছাত্র-ছাত্রীদের এই সমস্যাটি প্রায়ই দেখা যায়। প্রেজেন্টেশন করতে গিয়ে যদি সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া না যায় সাজানো পরিকল্পনা মাফিক সবকিছু না চলে তবে বিষন্নতা চলে আসে এটা পর্যায়ে ।

এই ধরনের সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার কি কোন উপায়ে রয়েছে? বর্তমান সময়ে আমরা শুধু শারীরিকভাবেই উপস্থিত থাকি না আমাদের মানসিক উপস্থিতি ও থাকতে হয় শারীরিক উপস্থিতির সাথে যে কোন স্থানে যেকোনো সময়ে । কথাটা একটু জটিল মনে হতে পারে। আমি বুঝিয়ে বলছি ।

ধরা যাক একটি প্রেজেন্টেশন দিচ্ছি। আমার সম্মুখে অনেক দর্শক শ্রোতা রয়েছে। প্রেজেন্টেশন করার সময়ে শারীরিক কিভাবে আমি উপস্থিত সবার সামনে এবং কথা বলছি কিন্তু মানসিকভাবে আমি যদি প্রেজেন্টেশনের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারি তাহলে আমার উপস্থাপনটা একটি হালকা ভাবে উপস্থাপিত হবে এবং ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে অনেক সময় আমরা শব্দ খুঁজে পাবো না ।

কিন্তু যদি আমি প্রেজেন্টেশন এর বিষয়টির ভিতরে নিবিড় ভাবে মনোনিবেশ করতে পারি তাহলে সুন্দর সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে ।

 

প্রেজেন্টেশন টিপস: মানসিক ও শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে যে বিষয়গুলোর সুন্দর সমন্বয়ে ঘটে তা হল;

 

১। আপনার যোগ্যতা অনুসারে আপনার চিন্তা ও আবেগের সমন্বয়ে ঘটে

২। নিজের মধ্যে থাকলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়া ও মিশে যাওয়ার একটা যোগ্যতা তৈরি হয়।

৩। সঠিকভাবে অন্যদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে শেখা যায় 

প্রেজেন্টেশন

যদি আপনাকে চিনতে না পারেন তবে যে কোন বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন না। সদা সংশয় থাকবে মনে। আমরা আমাদেরকে প্রকৃতভাবে চিনতে পারিনা আর এর থেকে সমস্ত সংশয় অবিশ্বাস ও পরাজয়ের শুরু ।তিনটা জিনিসকে আমরা সম্মুখে রেখে জীবনকে আরো সুন্দর করতে পারি ।

১। আমাদের অভিজ্ঞতা

২। আমাদের চিন্তার দর্শন

৩। যেকোনো সমস্যাকে মোকাবেলা করার প্রক্রিয়া 

 এই তিনটি বিষয়কে যদি আমরা আরো বিস্তারিতভাবে চিন্তা করি এবং এর ভিত্তিতেই জীবনকে চালনা করি তবে জীবন পথ আরো সহজ হয়ে যায়।আমরা ভুল থেকে শিখতে পারি। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগাতে পারি।

আমাদের কখনোই অতীতের ব্যর্থতা কে নিয়ে অনু শোচণা বা বারবার সম্মুখে আনা উচিত নয়। বরং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হয়। যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হলে তা মনে রাখতে পারেন যাতে পরবর্তী ধাপে তার পুনরাবৃত্তি না করা লাগে ।

সর্বদা ইতিবাচক থাকতে হয়। আমরা অনেকেই এই ইতিবাচক থাকার অর্থ বুঝতে পারিনা।

যেমন ধরুন আপনার স্ত্রী আপনাকে এক কাপ কফি বানিয়ে এনে দিল আপনি বললেন যে চিনি কম হয়েছে। উত্তরে আপনার স্ত্রী বলল যে চিনি কম হয়েছে তার মানে আমি কফি বানাতে পারি না? আমি ব্যর্থ আমি সবসময় খারাপ কফি বানাই? চিন্তা করা নিশ্চয়ই আপনার স্ত্রীর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির উদাহরণ।

চিনি কম হয়ে যাওয়া কথাটা যে কেউ বলতেই পারে কারণ প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে সাধের তারতম্য হতে পারে তাই এই চিনি কম হওয়ার কথাটাকে ইতিবাচক ভাবে দেখা যেতে পারতো এভাবে যে ঠিক আছে আমি আরো চিনি দিচ্ছি অথবা এটাকে মেনে নেওয়া । কেউ আপনাকে খারাপ ভাবে উপস্থাপন করা অথবা দোষের হিংসার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলবে না যে কোন কথাকে সাধারণত ইতিবাচক দৃষ্টিতেই ভাবতে হয়।

শ্রদ্ধাশীল দৃষ্টিভঙ্গিতে মানুষের সাথে কথা বলা উচিত। নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণত উত্থিত হয় অবজ্ঞা হিংসা এবং নিচু মানসিকতা থেকে। সর্বদা সংশয়াপূর্ণ মন ও সর্বদা নেতিবাচক কথা বলে থাকে । কেউ যদি আপনার প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে থাকে কিন্তু বিপরীতে আপনি কি বাচক হতে চান একসময় সে তার ভুল বুঝতে পেরে আপনার সাথে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে আসতে পারে। ইতিবাচক থাকলে বিশ্বাসী হওয়া যায় সম্মান ও সবাইকে আপন করে নেয়া যায় ।

 

সবাই কথা বলতে চায় কেউ শুনতে চায় না কথা বলার থেকে শোনা একটি ভালো অভ্যাস। অন্যের কথা আগে শুনুন তারপর নিজের কথা বলুন এই অভ্যাসটি আপনাকে সবার মধ্যে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।

কামিনী রায়ের একটি কবিতা আছে পাছে লোকে কিছু বলে সদালাজ সদা টলে। আমাদের সমস্ত গুণগুলো আমরা ফুটিয়ে তুলতে পারি না শুধুমাত্র একটি কারণে তা হলো আমাদের লজ্জা।এর থেকে মুক্তির উপায় হল 

১। কর্মটাকে গুরুত্ব দেয়া পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে নয়ঃ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় যাই থাকুক না কেন খেয়াল করা যাবে না।

২। কর্মটাকে শতভাগ মন দিয়ে করতে হবে।

৩। ফলাফল বিচার করে কাজ করা যাবে না নিষ্কর্মভাবে কাজ করতে হবে ফলের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে কর্মটাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ফলাফল আসুক না কেন উল্লেখ্য এহেনও কর্মে ফলাফল সর্বদা ভালো হয়।

৪। কাজে লেগে পড়ুন আজি যে অবস্থায় আছেন এখন থেকেই।

 

নিজেকে ক্ষমতাবান বা যোগ্য ভাবা একটা অসাধারণ ব্যাপার আপনার জন্য যদি আপনি নিজেকে এমনটা ভাবতে পারেন তবে যে কোন কাজে আপনার উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে কর্মস্থৃহা বৃদ্ধি পাবে আপনার কাজে নিজেকে যোগ্য মনে হবে। নিজেকে যোগ্য বলে মনে না হলেও অযোগ্যতা দিয়েই শুরু করুন যদিও সংশয় থাকবে শুরুতে তবুও শুরু করুন। শুরু করাটাই গুরুত্বপূর্ণ।

 মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বিধি মেনে চলুন । নিজের ক্ষমতা ও দুর্বলতা জানুন এবং কাজ শুরু করে দিন।