Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

Spread the love

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধঃ যে সব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যে সব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তার মধ্যে AK 47, Sten Gun, SLR, Mortar, Artillery, Indian SLR, Chinese Sub machine-gun ইত্যাদি। রাইফেল এর মধ্যে জি ৩। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল মূলত একটা গনযুদ্ধ নারী পুরুষ সবাই অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এর স্বাধীনতা। ৩০৩ রাইফেল ছিল সব থেকে ভাল গেরিলা যুদ্ধের জন্য।


https://www.youtube.com/watch?v=Y9iXlBoAasQ


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিল পত্র (১ম খণ্ড- ১৫তম খণ্ড) সমস্ত ইতিহাস একসাথে


 

১৪-১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ; নেপথ্যে মর্মান্তিক ঐতিহাসিক সত্য


 

মুক্তিযুদ্ধের একটি সোনালী পাতা


 

Genocide ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ – ধারাবাহিক পর্ব -২


মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা লড়াই, যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সাধারণতঃ অনুস্থিত হয়ে ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অপক্ষম শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার অর্জন।

মুক্তিযুদ্ধের সন্ধানে অনেকগুলো ঘটনা এবং অন্যতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। এরপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতার অর্জনের জন্য মুক্তিবাহিনীগুলি, যার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (বাংলাদেশ আর্মি), বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, মুক্তিযোদ্ধারা ও বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাহিনী (রেজিস্টার্ড জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দল) অংশ নিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ বা শহীদ মিনার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত, যেমন ধাকা উত্তরা, সাভার, জাতীয় শ্মশানঘাট, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী ইত্যাদি।

মুক্তিযুদ্ধের পরিণামে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এবং সাবেক পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশের জন্য অন্যতম আইনগোপন একটি দেশ হয়ে উঠেছে। এটি স্বাধীনতার একটি মানবিক উদাহরণ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকে এবং বাংলাদেশের মানুষের বীরত্ব, সমর্পণ ও পরিশ্রমশীলতার প্রতীক।

মুক্তিযুদ্ধের   সম্পর্কে ১০টি বাক্য:

  1. মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার লড়াই, যা দীর্ঘ ৯ মাস চলে।

  2. মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করতে।

  3. ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশের মানুষ সমস্যা ও অত্যাচারের শিকার হয়েছে।

  4. মুক্তিযুদ্ধের শুরু হয় ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণায়।

  5. মুক্তিযুদ্ধের পরিচালনা করেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পর্যায়ক্রমে গঠিত মুক্তিবাহিনী, যার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মুক্তিযোদ্ধারা ও অন্যান্য সংগঠন অংশগ্রহণ করে।

  6. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ স্থাপিত হয়।

  7. ভারত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে সমর্থন প্রদান করে।

  8. মুক্তিযুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ পরাজিত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আবশ্যকভাবে হার মানায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

  9. মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হয়ে উঠে, যা গণতান্ত্রিক ও সামাজিক উন্নয়নে পরিণত হয়।

  10. মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি ঘটনা, যা জাতীয় স্মৃতিস্থল হিসাবে সংরক্ষিত থাকে এবং বাংলাদেশের মানুষের গর্ব এবং জাতীয় চেতনার অংশ হয়ে থাকে

মুক্তিযুদ্ধের সারসংক্ষেপঃ

 
মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার লড়াই ছিল। এটি দীর্ঘ ৯ মাস চলে। মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল পূর্ব পাকিস্তানের দাসত্ব থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করতে। মুক্তিযুদ্ধের পরিচালনা করেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পর্যায়ক্রমে গঠিত মুক্তিবাহিনী, যার সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মুক্তিযোদ্ধারা ও অন্যান্য সংগঠন অংশগ্রহণ করে। ভারত মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে সমর্থন প্রদান করে। মুক্তিযুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পরাজিত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আবশ্যকভাবে হার মানায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হয়ে উঠে।

মুক্তিযুদ্ধের কারণ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিগুলির সংমিশ্রণ থেকে উত্পন্ন হয়েছে। নিম্নলিখিত কিছু মুখ্য কারণগুলি মুক্তিযুদ্ধের পেছনের অটুট অংশ ছিল:

  1. পাকিস্তান একক দেশের অধীনে বাংলাদেশের মানুষের মাধ্যমে নির্মাণ হয়েছিল বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানত পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নত করেছে বাংলাদেশের উপর অত্যাচার, সংকীর্ণতা এবং সমাজের বাংলাদেশি অংশের প্রতি সমান অধিকারের অবমাননা।

  2. ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক অসমতার কারণে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশের উন্নতি ও উন্নয়ন বিষয়ে সরকারী উদ্যেগ অপর্যাপ্ত ছিল। উদ্যোগ কমে সমাজের মধ্যে ন্যায্যতা, সমতা এবং বরাবরতা বৃদ্ধি করার জন্য।

  3. রাজনৈতিক মৌলভূত অধিকারের উপর ভিত্তি করে পাকিস্তানের সামরিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তান বাংলাদেশের সংরক্ষণ ও প্রতিরক্ষা ও তুলনামূলক সুবিধা সরবরাহ করত। এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সুশাসনের বিরুদ্ধে অসংগতিকর ছিল।

  4. সমাজের নেতৃত্বের মধ্যে সমানুপাতিকতা নেই বলে বাংলাদেশের অভিবাসগুলি পশ্চিম পাকিস্তান দ্বারা বুড়ানো হয়েছিল। মাসসময়ের আন্দোলন, ছাত্র এবং শিক্ষার্থী আন্দোলন এবং গুলির নিয়ন্ত্রণে সমাজের তলনামূলক পরিবর্তন ঘটেছিল।

  5. পশ্চিম পাকিস্তান শক্তিশালী সংস্থার মাধ্যমে তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রদেশ বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য হতাশাকর এবং আত্মপ্রবণতা হতাশা সৃষ্টি করেছিল।

  6. ভৌগোলিক পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নের সীমাবদ্ধতা ছিল, যা মানুষের জীবনযাপন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। মানুষের কেন্দ্রভূত অধিকার ও সম্পদ দ্বারা পাকিস্তান বাংলাদেশের মাধ্যমে উপভোগ করা হয়নি।

  7. ভারতের কয়েকটি সীমান্ত রাজ্যে অস্থায়ী শর্তাবলীর সৃষ্টি ও নীতি উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সমস্যাগুলির জন্য প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। এটি বাংলাদেশের জনগণের মাঝে ব্যক্তিগত ও সামাজিক অস্থিরতার উপজেল হয়েছিল।

  8. বাংলাদেশের জন্য সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের মানবতান্ত্রিক মূল্যায়নের অভাবে অবনতির আমল হয়েছিল। তার ফলে বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের পরিচয় এবং সংস্কৃতি নিয়ে প্রতিষ্ঠান করতে পারেননি।

  9. রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ন্যায্যতা সংকটের কারণে বাংলাদেশের জনগণের মাঝে নৈতিক ও রাষ্ট্রীয় একতার অভাব ছিল। এটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের বিশ্বাসঘাতক প্রভাব প্রদান করেছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ও মহান ঘটনা, যা ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের ভাগবিভাগের সময় শুরু হয় এবং ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করে। এই অবধি ধীরে ধীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিম্নলিখিত মুখ্যতম ঘটনাদির চার্টে নিয়েছে:

  • ১৯৪৭: ভারতের পার্টিশন এবং ভারতীয় অবস্থান সংকটের সময় বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হিসাবে বিভক্ত হয়। বিভাগ পরিষ্কার রক্ষা করা হয় না এবং বাংলাদেশের মানুষের উপর অত্যাচার, নিষ্ঠাহীনতা এবং সংকীর্ণতা শুরু হয়ে যায়।

  • ১৯৫২: ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন বলে পরিচিত। এই আন্দোলনের সময় বাংলাদেশি ভাষা বাংলা পরিষ্কার ভাষা হিসাবে গ্রহণ করার দাবি করে। আন্দোলনে শফিক, আবদুল জব্বার এবং রফিক শহাদাত হয়।

  • ১৯৫৪: জাতীয় শিক্ষাক্রম পরিষদ বাংলা ভাষায় শিক্ষাদান দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এটি বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য হয়।

  • ১৯৭১: মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লড়াই শুরু হয়। ২৬ মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের অবধি বাংলাদেশ জনগণ পাকিস্তানের সামরিক আক্রমণ এবং অধীনতার বিরুদ্ধে লড়াই করে।

  • ১৯৭১: ১৬ ডিসেম্বরে ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশের সামরিক জয় লাভ হয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আহমদ নিয়েজ বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়।

 
 

মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সাম্রাজ্যবাদী পাকিস্তান থেকে মুক্তি অর্জন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ফলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে শুরু হয় একটি সম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধ, যা বিশ্বের মধ্যেও গণ্য হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল হিসাবে বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রসভ্যতা উন্নতি লাভ করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বে গণ্য হয়েছে এবং এর জন্য বাংলাদেশি জনগণ প্রশংসা ও সম্মান পায়। মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ জাতীয় স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার সম্পূর্ণ সুত্রে পুনর্গঠন করতে পারে।

অত্র সাথে, মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার ও ন্যায্যতা সংরক্ষণ পায়। এটি জনগণের অধিকার এবং স্বাধীনতার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের সামরিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সমর্থ হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ফলে একটি মহান ঐতিহাসিক অধ্যায় যোগ হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় চরিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের যোগদান করে প্রাণ গভীর করেন বাংলাদেশি জনগণ এবং এটি একটি গর্বের বিষয় হিসাবে পরিবেশিত হয়।