বিশ্ববিদ্যালয় নাকি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে হবে সর্বাগ্রে
দেশের বর্তমানে সাড়ে ষোল কোটি জনসংখ্যা এর মধ্যে তরুণরা রয়েছে যারা বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। ২০২০ সালের মার্চের মধ্য ভাগ থেকে বাংলাদেশে কোডিড-১৯ এর প্রার্দুভাব ৷ তারপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে।
যারা অতি সচেতন তারা কেউ কেউ বিসিএস চাকুরীর পড়া চালিয়ে গেছে স্ব উদ্দোগ্যে ৷ কিন্ত তারা এখন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রছাত্রী একাডেমিক বা গবেষণা করা তাদের প্রথম ও প্রধান কাজ ৷ আগে স্নাতক পাশ তার পর বিসিএস ৷ কেউ কেউ বিভিন্ন কারনে মানসিক সমস্যা ও হতাশায় ভূগছে ৷
একজন শিক্ষক হিসাবে ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে এসব জানা যায়। আমরা এই তরুণ সমাজকে হতাশায় ডুবিয়ে কি দেশের ক্ষতি করছি না? আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ? প্রায় দুই বছরে ছাত্র শিক্ষক সহ দেশের ক্ষতি বেশি হয়েছে। কারণ বিজ্ঞান একটি দেশের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। যার কেন্দ্রে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রছাত্রী ৷
বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই খুলে দেয়া দরকার। যাতে ছাত্র শিক্ষক আবার জ্ঞান চর্চা ও গবেষণায় মন দিতে পারে।
কোডিড-১৯ এর এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে হোক আর প্রাথমিক পর্যাযে হোক ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা কেই বেশি গুরুত্ত্ব দিয়েছে। এটাই স্বাভাবিক ৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে ক্ষতি কমানো যাবে ৷
কোন দেশের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকা কখনোই কাম্য নয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মনেও বিরূপ প্রভাব পড়ে। পড়াশুনা করার অভ্যাস পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান ডিজিটাল যুগে ভিডিও গেম ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি আসক্তি আসে।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে দেয়া দরকার ৷
More Stories
ধনী হওয়ার উপায় 2024
গল্পঃ অতৃপ্ত জন্মদিনের শুভেচ্ছা
প্রেজেন্টেশন টিপস আমি যা মেনে চলি