রাসেল ভাইপার কেন এতো বিপদজনক
রাসেল ভাইপার (বৈজ্ঞানিক নাম: Daboia russelii), বা চন্দ্রবোড়া নামেও পরিচিত, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম বিষধর সাপ এবং উপমহাদেশের প্রধান চারটি বিষধর সাপের একটি। এটি ভাইপারিডি (Viperidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। রাসেল ভাইপারের আবাসস্থল ধ্বংস এবং শিকারের কারণে এর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এটি আইসিইউএন-এর লাল তালিকায় “ন্যূনতম উদ্বেগের” প্রজাতি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
রাসেল ভাইপার বিস্তৃতি:
রাসেল ভাইপার ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানে পাওয়া যায়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ যা পূর্বে এই প্রজাতির অংশ বলে মনে করা হত, এখন Daboia siamensis নামে একটি আলাদা প্রজাতি হিসাবে বিবেচিত হয়।
বর্ণনা:
চন্দ্রবোড়া সাপ দেখতে কেমন?
- দৈর্ঘ্য: রাসেল ভাইপার ১২০-১৬৬ সেমি (৪৭.২-৬৫.৪ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্যে পৌঁছাতে পারে।
- রঙ: এটির একটি বাদামী বা লালচে বাদামী রঙের শরীর থাকে, যার উপরে কালো দাগযুক্ত ত্রিভুজ আকৃতির স্কেল থাকে। এর পেট হলুদ বা সাদা।
- মাথা: এর একটি চওড়া, ত্রিভুজাকার মাথা থাকে যার ছোট ছোট নাসিকা থাকে।
- চোখ: এর ছোট ছোট চোখ থাকে যার লম্বাটে পুতুল থাকে।
বিষ:
রাসেল ভাইপারের বিষ হিমোটক্সিক, যার অর্থ এটি রক্ত কোষকে ধ্বংস করে। এর বিষের প্রভাবের মধ্যে রয়েছে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব, রক্তপাত, এবং শরীরে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। চিকিৎসা না করা হলে রাসেল ভাইপারের কামড় মারাত্মক হতে পারে।
রাসেল ভাইপার বিষাক্ত হওয়ার কারণ:
শিকার ধরার জন্য:
- রাসেল ভাইপারের বিষ তার শিকারকে দ্রুত পঙ্গু করে দেয় এবং হত্যা করে, যার ফলে এটি সহজেই শিকার গ্রাস করতে পারে।
- বিষ ইঁদুর, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, এবং পাখির মতো শিকারের রক্ত থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে।
আত্মরক্ষার জন্য:
- বিষ রাসেল ভাইপারকে শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- যখন কোনো শিকারী এটিকে আক্রমণ করে, তখন রাসেল ভাইপার বিষ ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করে।
জৈবিক প্রক্রিয়া:
- রাসেল ভাইপারের বিষ বিভিন্ন এনজাইম এবং প্রোটিন দ্বারা গঠিত যা বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পাদন করে।
- এই এনজাইমগুলি শিকারের রক্ত কোষ ভেঙে ফেলে, যার ফলে রক্তপাত এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়।
বিষের উপাদান:
- রাসেল ভাইপারের বিষে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- হিমোটক্সিন: এগুলি রক্ত কোষ ভেঙে ফেলে এবং রক্তপাত ঘটায়।
- নিউরোটক্সিন: এগুলি স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং পक्षाघात এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
- মায়োটক্সিন: এগুলি পেশীবহুল অঙ্গকে প্রভাবিত করে এবং ব্যথা এবং পেশী দুর্বলতার কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য যে রাসেল ভাইপার সাধারণত আক্রমণাত্মক নয় এবং কেবলমাত্র হুমকির সময়ই কামড়ায়।
রাসেল ভাইপারের কামড়ের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনোম প্রয়োজন।
আপনি যদি কোনো রাসেল ভাইপার দেখতে পান, তাহলে এটি থেকে দূরে থাকা এবং এটিকে বিরক্ত না করাই সবচেয়ে ভাল।
আচরণ:
রাসেল ভাইপার সাধারণত রাতের বেলা সক্রিয় থাকে। এটি বিভিন্ন ধরণের আবাসস্থলে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে বন, ক্ষেত, এবং গ্রাম। এটি স্থলচর এবং সাধারণত মাটিতে বা গাছপালার নিচে লুকিয়ে থাকে।
খাদ্য:
রাসেল ভাইপারের খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ইঁদুর, ছোট ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, এবং পাখি।
প্রজনন:
রাসেল ভাইপার স্তন্যপায়ী সাপ। এটি একবারে ৮-২০টি বাচ্চা প্রসব করে।
মানুষের সাথে কি সম্পর্ক:
রাসেল ভাইপার মানুষের জন্য বিপজ্জনক। এটি ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। রাসেল ভাইপারের কামড়ের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনোম প্রয়োজন।
রাসেল ভাইপার দেখলেই কি তাকে মেরে ফেলা উচিত?
না, রাসেল ভাইপার দেখলেই তাকে মেরে ফেলা উচিত নয়।
কারণ:
- প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা: রাসেল ভাইপার প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা ইঁদুর, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, এবং পাখির মতো অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- আইনি নিষেধাজ্ঞা: বেশিরভাগ দেশেই বিষাক্ত সাপ মেরে ফেলা আইনিভাবে নিষিদ্ধ।
- নৈতিকতা: প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধাশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- বিপদ: রাসেল ভাইপার বিষাক্ত এবং এর কামড় মারাত্মক হতে পারে।
রাসেল ভাইপার দেখলে করণীয়:
- শান্ত থাকুন: আতঙ্কিত হবেন না এবং হঠাৎ করে নড়াচড়া করবেন না।
- ধীরে ধীরে সরে যান: সাপের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে সরে যান।
- সাপটিকে বিরক্ত করবেন না: সাপটিকে পাথর ছুঁড়ে মারবেন না বা এটির দিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করবেন না।
- সাহায্য চান: যদি আপনি নিরাপদে এটি করতে পারেন, তাহলে স্থানীয় বন্যপ্রাণী বিভাগ বা সাপ ধরার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সাহায্য চান।
মনে রাখবেন, রাসেল ভাইপার সাধারণত আক্রমণাত্মক নয় এবং কেবলমাত্র হুমকির সময়ই কামড়ায়।
বাংলাদেশে রাসেল ভাইপার বৃদ্ধির কারণ:
বিভিন্ন কারণ রয়েছে যার ফলে বাংলাদেশে রাসেল ভাইপারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:
1. আবাসস্থল ধ্বংস:
- বন, ঝোপঝাড় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংসের ফলে রাসেল ভাইপারের বাসস্থল হ্রাস পেয়েছে।
- ফলে তারা খাদ্য এবং আশ্রয়ের জন্য নতুন এলাকায় স্থানান্তরিত হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে মানব বসতি।
2. ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি:
- রাসেল ভাইপারের প্রধান খাদ্য হল ইঁদুর।
- কৃষি ক্ষেত্রে ইঁদুরের সংখ্যা বৃদ্ধি রাসেল ভাইপারের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করেছে, যা তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
3. জলবায়ু পরিবর্তন:
- জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ পরিবর্তনের ফলে রাসেল ভাইপারের জন্য আরও অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
4. অপ্রত্যাশিত কারণ:
- ভারত থেকে বন্যার পানির সাথে রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে আসতে পারে।
- সীমান্তবর্তী এলাকায় কৃষি জমির বৃদ্ধি রাসেল ভাইপারের জন্য নতুন আবাসস্থল তৈরি করেছে।
- সাপ ধরার সংখ্যা হ্রাস রাসেল ভাইপারের প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করেছে।
রাসেল ভাইপার থেকে নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার উপায়:
প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ:
- আবাসস্থল সম্পর্কে সচেতন থাকুন: রাসেল ভাইপার সাধারণত বন, ঝোপঝাড়, পাথুরে এলাকা, এবং কৃষি জমিতে পাওয়া যায়।
- সাবধানে হাঁটুন: বিশেষ করে রাতের বেলায়, লম্বা ঘাস বা ঝোপের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময় সাবধানে থাকুন।
- উপযুক্ত পোশাক পরুন: লম্বা প্যান্ট এবং জুতা পরুন যা আপনার পা এবং গোড়ালি ঢেকে রাখে।
- প্রकाश ব্যবহার করুন: রাতের বেলায় বাইরে বের হলে টর্চলাইট বা হেডল্যাম্প ব্যবহার করুন।
- গৃহস্থালি পরিষ্কার রাখুন: আপনার বাড়ির চারপাশে খাদ্যের উৎস এবং আশ্রয়স্থল (যেমন: আবর্জনা, লম্বা ঘাস, পাথরের স্তূপ) অপসারণ করুন।
- সাপ ধরার বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করুন: আপনার বাড়িতে বা আশেপাশে যদি রাসেল ভাইপার দেখা যায়, তাহলে স্থানীয় বন্যপ্রাণী বিভাগ বা সাপ ধরার বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সতর্কতা অবলম্বন:
- শান্ত থাকুন: রাসেল ভাইপার দেখলে আতঙ্কিত হবেন না এবং হঠাৎ করে নড়াচড়া করবেন না।
- ধীরে ধীরে সরে যান: সাপের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে সরে যান।
- সাপটিকে বিরক্ত করবেন না: সাপটিকে পাথর ছুঁড়ে মারবেন না বা এটির দিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করবেন না।
- দূরত্ব বজায় রাখুন: রাসেল ভাইপার থেকে কমপক্ষে 2 মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
- সাহায্য চান: যদি আপনি নিরাপদে এটি করতে পারেন, তাহলে স্থানীয় বন্যপ্রাণী বিভাগ বা সাপ ধরার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সাহায্য চান।
মনে রাখবেন:
- রাসেল ভাইপার সাধারণত আক্রমণাত্মক নয় এবং কেবলমাত্র হুমকির সময়ই কামড়ায়।
- রাসেল ভাইপারের কামড় মারাত্মক হতে পারে।
- রাসেল ভাইপারের কামড়ের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনোম প্রয়োজন।
রাসেল ভাইপার কামড়ালে কি করবেন:
প্রাথমিক চিকিৎসা:
1. শান্ত থাকুন: আতঙ্কিত হবেন না কারণ এটি আপনার হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করতে পারে এবং বিষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
2. কামড়ানো স্থান পরিষ্কার করুন: সাবান ও পানি দিয়ে কামড়ানো স্থান পরিষ্কার করুন।
3. কামড়ানো স্থানটি হৃৎপিণ্ডের সমতল বা তার নীচে রাখুন: এটি বিষের প্রবাহকে ধীর করতে সাহায্য করবে।
4. টাইট ব্যান্ডেজ এড়িয়ে চলুন: কামড়ানো স্থানটিকে শক্ত করে বেঁধে রাখবেন না কারণ এটি বিষের প্রবাহ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
5. অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিন: যত দ্রুত সম্ভব নিকটতম হাসপাতালে যান।
চিকিৎসা:
1. অ্যান্টিভেনোম: রাসেল ভাইপারের কামড়ের চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনোম প্রয়োজন। 2. সমর্থনমূলক যত্ন: ডাক্তার আপনার রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রয়োজনে তরল, ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা প্রদান করবেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন:
- কখনই কামড়ানো স্থান কেটে বা চুষে বিষ বের করার চেষ্টা করবেন না। এটি আরও বিষ প্রবেশ করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- কফি, অ্যালকোহল বা প্যারাসিটামল পান করবেন না। এগুলি বিষের প্রভাব আরও খারাপ করতে পারে।
- ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা এড়িয়ে চলুন। এগুলি কার্যকর নাও হতে পারে এবং আপনার সুস্থতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
রাসেল ভাইপার নিয়ে কিছু গুজব এবং ভুল ধারণা:
গুজব:
- সাপ থেকে বাঁচার দোয়া কোন কাজ করে না বরং মৃত্যুকে ডেকে আনে
- সাপ মারার হাদিস যাই থাকুক না কেন সর্বদা ডাক্তারি পরামর্শে চলবেন নিজেকে এবং অন্যকে বাঁচাতে
- রাসেল ভাইপার বাংলাদেশের নতুন প্রজাতি।
- এটি খুবই আক্রমণাত্মক এবং মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
- এর বিষ অত্যন্ত মারাত্মক এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করলে মৃত্যু হতে পারে।
- রাসেল ভাইপার সহজে পাওয়া যায় এবং এটি যেকোনো জায়গায় দেখা যেতে পারে।
- স্থানীয় সাপুড়ে ও ঝাড়ুওয়ালা রাসেল ভাইপার ধরে বিক্রি করে।
বাস্তবতা:
- রাসেল ভাইপার বাংলাদেশের স্থানীয় প্রজাতি। এটি দীর্ঘদিন ধরে এখানে বাস করে আসছে।
- এটি সাধারণত আক্রমণাত্মক নয় এবং কেবল হুমকির সময়ই কামড়ায়।
- রাসেল ভাইপারের বিষ বিষাক্ত, তবে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না করলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী নয়।
- রাসেল ভাইপার সীমিত পরিসরে বাস করে এবং সর্বত্র দেখা যায় না।
- স্থানীয় সাপুড়ে ও ঝাড়ুওয়ালা সাধারণত রাসেল ভাইপার ধরে না।
গুজবগুলি ভয় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে, যা প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় হয়।
চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের লক্ষণ:
চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ের লক্ষণগুলি তীব্রতা এবং ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।
কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
স্থানীয় লক্ষণ:
- কামড়ানো স্থানে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং লালভাব
- কামড়ানো স্থানে জ্বালা ও চুলকানি
- কামড়ানো স্থানে রক্তপাত
সাধারণ লক্ষণ:
- বমি বমি ভাব
- মতবমি
- পেটে ব্যথা
- ডায়রিয়া
- মাথাব্যথা
- জ্বর
- ঠান্ডা লাগা
- পেশীতে দুর্বলতা
- হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি
- শ্বাসকষ্ট
গুরুতর ক্ষেত্রে, নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:
- রক্তচাপ কমে যাওয়া
- চেতনা হারানো
- মৃত্যু
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
বেদ গ্রন্থের রচয়িতা কে? দর্শন কাকে বলে? আমার দর্শন