স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে
স্বার্থপরতা ও আত্মসুখ লাভের ইচ্ছা পোষণ করি মানুষের মনুষ্যত্বের পরিপন্থী। জীবনের সার্থকতা লাভের জন্য নিজের সুখ দুঃখ কে মিথ্যা বলে বিবেচনা করতে হয়। স্বার্থপর ব্যক্তি বৃহত্তর জীবন থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত হয়। পৃথিবীর ভালো-মন্দ সুখ-দুঃখ মঙ্গল-অমঙ্গল তার হৃদয় স্পর্শ করে না তারা আপনাকে নিয়েই বিব্রত থাকে। মানব ধর্মের অবমাননাকারী এসব ব্যক্তি পৃথিবীর জঞ্জাল তাদের বাঁচা-মরা সমার্থক জীবন মানে বাইরের জগতের সাথে ভাব বিনিময় বেঁচে থাকা দুই ধরনের, মন ভরে বেঁচে থাকা এবং পেট ভরে বেঁচে থাকা। মন ভরে বাঁচতে হল, জীব ধর্মে এবং মানব কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করতে হয়। পরের জন্য জীবন উৎসর্গ করার মাধ্যমে মানব জীবন সার্থক হয়ে ওঠে। নিজের দুঃখকে তুচ্ছ মনে করে অপরের কল্যাণে নিয়োজিত করতে পারলেই জীবন সুখময় ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। তাই কবি ভাষায় সবারে বাসরে ভালো নইলে মনের কালি ঘুচবে না।