করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে যেভাবে রক্ষা করবেন
পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক রোগ মহা মারি রূপ নিয়েছে অতীতে। সে সব থেকে মানুষ শিক্ষা নিয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস একটা মহা মারি রূপ নিয়েছে।১৫৯ টা দেশে এই ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করেছে এবং মানুষ মারা যাচ্ছে। এই মহা দুর্যোগ থেকে বাঁচার জন্য ব্যাক্তিগত সচেতেনতা দরকার। বাংলাদেশ উচ্চ ঝুঁকিতে আছে।
করোনা ভাইরাস কে এড়িয়ে চলার জন্য নিচের পন্থা গুলো মেনে চলুন
১। মাস্ক ব্যবহার করুন, যে কোণ মাস্ক।
২। বাসার বাইরে যাওয়ার সময় হাত মুখ সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আর বাসায় ফিরে আবার ভাল করে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন
৩। জনতার ভিড় এড়িয়ে চলুন।
৪। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে গিয়ে কথা বলবেন না।
৫। একা থাকুন
৬। সব ধরনের নেশা বাদ দিন
৭। বেশি করে পানি খান। সাথে সব সময় পানির বোতল রাখুন। গলাটাকে সর্বদা সিক্ত করে রাখুন।
৮। পুষ্টিকর খাবার খান। ডাবের পানি ও ডাবের শ্বাস/ স্বর/ কচি নারকেল খান।
৯। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন।
১০। যাদের শ্বাস কস্ট বা হাঁপানি আছে তাদের একটু বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ করোনা ভাইরাস মূলত শ্বাস নালি বা ফুসফুসে আক্রমণ করে।
১১। যে কোণ ধরনের স্বপ্নে পাওয়া/ গো মূত্র / কুসংস্কার বিশ্বাস করবেন না।
১২। রোগ দিয়েছেন যিনি নীরোগ করবেন তিনি এসব অতি বিশ্বাস ভাল নয়। সচেতন হন।
১৩। স্বীকৃত গবেষণা বা খবর পড়ুন।
১৪। করোনা ভাইরাস কে নিজে ভাল করে জানুন। অন্যের কোথায় বিশ্বাস নয়। বিজ্ঞান সব জায়গা সমান ফল দেয়।
১৫। বিজ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।
১৬। শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান। একা থাকুন।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি র সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কিভাবে সম্পর্কিত
৩০ বছর বয়স থেকে স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই করনীয় টিপস
সুখী হওয়ার গোপন রহস্য (The secrets of happiness)
কভিড-১৯ এর সাথে যুদ্ধরত এক নারীর গল্প
করোনা ভাইরাস নিয়ে চীনের যে ৮টি পরামর্শ
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মুলত ইতালির প্রবাসী রাই এনেছে। বর্তমান ইতালির অবস্থা দেখে মনে হয় অতি উচ্চ হারে সংক্রমিত হয় এই ভাইরাস। এজন্য বাংলাদেশ অতি উচ্চ ঝুঁকি তে আছে। ইতালি প্রবাসী ছাড়া ও অন্যান্য দেশের প্রবাসী রাও বাংলাদেশ এ করোনা ভাইরাস এর জন্য দায়ী। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ হওয়ার জন্য এখন ই জরুরী অবস্থা জারি করতে হবে।
করোনা ভাইরাস থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে
নিচের ৮টি পরামর্শ দিয়েছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা।
১. কাঁশি, সর্দি হলে তাৎক্ষণিক আপনাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
২. খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যেতে মানা করেছে। সপ্তাহে ১ দিন বাজার করতে বলেছে।
৩. এলাকা ভিত্তিতে লকডাউন করা হয়। যাতে করে করোনায় আক্রান্ত মানুষ এক এলাকা থেকে অন্য কোথাও ঢুকতে না পারে।
৪. বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৫. বাইরে থেকে এসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালভাবে হাত ধুতে বলা হয়েছিল।
৬. অযথা চোখে মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল।
৭. মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে বলা হয়েছিল।
৮. নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম করতে বলা হয়েছে