অনেক কিছু ভাবার চেয়ে অল্প কিছু করাই শ্রেয়
যা ভাবা হয় তাকে কাজে রূপদানের উপরই মানব জীবনের প্রচেষ্টার স্বরূপ নির্ণীত হয়। তাই পরিকল্পনার বাগাড়ম্বর তা নয় বরং কর্ম বাহুল্যের প্রতি মনোযোগী হওয়ার প্রকৃত জ্ঞানের কাজ। প্রাচীন শাস্ত্রে আছে কর্মহীন সত্যমেব। জীবন এর মধ্যেই জীবনের সাফল্য বীজ নিহিত তাই কাজের মাধ্যমেই মানব জীবনকে ধন্য করতে হবে। কিন্তু কাজ করার জন্য চাই সুস্থ সুষ্ঠু ও সুবিবেচনা পরিকল্পনা। কারণ বিশৃংখল চিন্তার ফসল যে কাজ মানব কল্যাণ এর পরিবর্তে অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে। তাই প্রথমে পরিকল্পনা গ্রহণ তারপর বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। তবে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে সমন্বয় থাকা আবশ্যক। কেননা অনেক কিছু পরিকল্পনা করা হলো কিন্তু তা আজও বাস্তবায়িত হলো না এতে কোনো লাভ নেই। বাস্তবায়ন হীন পরিকল্পনা মিথ্যা মরীচিকার ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই মরীচিকা সম্বল পরিকল্পনার চেয়ে যতই হোক না কেন কাজের মাঝে নিজেকে নিয়োজিত রাখা জ্ঞানীর পরিচয়। তেমনি বাস্তবায়ন হীন পরিকল্পনা কোন কিছুই নয়। তাই ক্ষুদ্র হোক তবু কাজের মধ্যেই খুঁজে নিতে হবে জীবনের সার্থকতা। তাইতো কণ্ঠে ধ্বনিত হয় আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। কথায় নয় কাজের মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নিহিত তাই কাজের পরিমাণ যাই হোক না কেন এর মাধ্যমে পরিচয় স্পষ্ট করে তোলে আমাদের কত হওয়া উচিত।