যত বড় হোক ইন্দ্রধনু সে সুদূর আকাশে আঁকা
আমি ভালোবাসি মোর ধরনীর প্রজাপতির পাখা
সুদূরের অনাবিল সৌন্দর্যের চেয়ে ধারে কাছে ক্ষুদ্র সৌন্দর্য অধিকতর সুখকর ও উপভোগ্য। মানুষের সাধ ও সাধ্যের অধীন যে কোন জিনিসের মূল্য অপরিসীম সাধ্যাতীত। সূদুরের জিনিসটি মহামূল্যবান হলেও তা থেকে কোনো সুফল আশা করা যায় না। কারণ বহুদূরের যাকিছু তা দূরেই থাকে থাকে নাগালের বাইরে অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা। চোরাবালির ফাঁদে পা দিলে জীবনে শুধু ব্যর্থতা আর হতাশার গ্লানি সঞ্চিত হবে। অপূর্ব সৌন্দর্য মন্ডিত সাতরঙের ইন্দ্রধনু মানুষের চোখ ধাদা তে পারে। সোনার সংসার করতে মিথ্যে হাসি দিতে পারে নান্দনিকতার ভুবনে পক্ষান্তরে প্রজাপতি ক্ষুদ্র হলেও তার পাখার বর্ণিল ছোঁয়া মানুষের মনকে রাঙ্গিয়ে দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত এর পিছনে না ছুটে ধারেকাছে সৌন্দর্য উপভোগ করে জীবনকে সুন্দর্যমন্ডিত করে তোলা। শুধু শুধু কল্পনার জগতের ও পার্থিব জিনিসের মগ্ন থাকার কোন সার্থকতা নেই। তাতে কেবল দুঃখ বাড়ে প্রাত্যহিক উপভোগের জিনিসের মূল্যায়ন করতে পারলে জীবন সার্থক হয়ে ওঠে। পক্ষান্তরে নাগালের বাইরে বস্তু আকাঙ্ক্ষা হতাশাযর জন্ম দেয়।