বাংলা গল্পঃ জল পরি ও কাঠুরে
এক বনে বাস করত এক গরীব কাঠুরে। কাঠ বেঁচে তার সংসার চলত। একদিন কাঠুরের নদীর ধারে কাঠ কাটছিল। হঠাৎ করে কুড়াল টি পড়ে গেল নদীতে। নদীতে ছিল অনেক রকমের ভয়। নদীতে নামতে পারল না। কুড়াল কেনার টাকা ছিল না। তাই মনের দুঃখে সে কাঁদতে লাগল। এভাবে কিছুক্ষন কেটে গেল।
হঠাৎ নদী থেকে উঠে এল এক জলপরী। সে কাঠুরে কে বলল তুমি কাঁদছোকেন? কাঠুরে বলল আমার কুড়াল টি নদীতে পড়ে গেছে। জলপরী বলল তুমি কেদোনা আমি দেখছি। জলপরী নদীতে ডুব দিল একটু পরে একটু পরে উঠে এলো। সোনার কুড়াল হাতে । বলল এটা কি তোমার? কাঠুর ভাল করে দেখে বলল না এটা আমার না। জলপরী আবার ডুব ডুব নিয়ে এলো রুপার কুড়াল। বলল এটা কি তোমার?
কাঠুরে দেখে বলল না এটাও আমার কুড়াল না। জলপরী এবার লোহার কুড়াল নিয়ে এল। বলল এটা কি তোমার? কাঠুরে হেসে বলল হ্যা এটাই আমার কুড়াল। কাঠুরের সততা দেখে খুব খুশী হল। সে তাকে লোহার কুড়ালটা দিল। আর উপহার হিসেবে দিল সোনার ও রুপার কুড়াল তারপর সে পানিতে মিলিয়ে গেল। সোনার কুড়াল বেঁচে অনেক টাকা পেল। তার দিন কাটতে লাগল।
এ ঘটনা শুনে এক লোভী কাঠুরে নদীর ধারে কাঠ কাটতে লাগল। ইচ্ছে করে কুড়াল ফেলে দিল নদীতে। তারপর এবার উঠে এল জলপরী। সব শুনে জলপরী নিয়ে এলো সোনার কুড়াল বলল এটা কি তোমার? লোভী লোকটি বললো এটাই আমার কুড়াল। শুনে জলপরী খুব রাগ হল। টুপ করে নদীতে ডুব দিল আর ফিরে এলোনা। সন্ধ্যা নামল। লোভী কাঠুরে অনেকক্ষণ বসে থাকল। মনের দুঃখে বলতে লাগল লোভ করে নিজের কুড়ালটা ও হারালাম।