জাদুঘর (museum) এর ছবি তুলতে নিষেধ করা হয় কারণ দেখার চেয়ে ছবি তোলার উপর সকলের আগ্রহ তৈরি হবে। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের ছবি তুলতে গিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর ক্ষতি করে বসে এ কারণে তারা ফটোগ্রাফারদের ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়। তাছাড়া প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার স্বাভাবিকভাবেই নেড়েচেড়ে ছবি তুলবেন এতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর ক্ষতি হবে। ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ইনটেন্স অনেক বেশি হওয়ায় প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুগুলোর ক্ষতি হতে পারে ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ইনটেন্স বেশি হওয়ার বিষয় এর সাথে সাথে যারা দেশের নামকরা ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে থাকেন তাদেরকে বলা হয় ব্লগার । জাদুঘরে গিয়ে ব্লক ভিডিও বানাবেন এই ভিডিওগুলো দেখে সাধারণ আমজনতারা তাদের পিপাসা মিটে ফেলবেন। বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন আর সম্ভব হয়ে উঠবে না। জাদুঘর (museum) কর্তৃপক্ষ পর্যটন হারাবে।
চোরাকারবারীরা ছবি তুলতে গিয়ে সেম টু সেম জিনিসপত্র বানাতে পর্যটন করপোরেশনের অনেক ক্ষতি হবে। চোর-ডাকাতেরা অনেক সময় ভবনের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে চুরি অথবা ডাকাতির মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে বসবে তাই অনেক সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ছবি তুলতে দেয়া হয়না।
তাছাড়া বিভিন্ন জাদুঘরে (museum) অনেক মূল্যবান সামগ্রী এবং প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক জিনিসপত্র থাকে এগুলো নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ছবি তোলার মতো ব্যস্ততম কাজ থেকে বিরত রাখা হয়।
শুধু ছবি নয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোকে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে নিষেধ করা হয় শুধু চোখের দেখা দেখে এবং সেখানে নির্দেশিত বর্ণনা অথবা ব্যাখ্যা করে সেগুলো সম্বন্ধে বাস্তব ঐতিহাসিক সত্যতা উপলব্ধি করার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
কোন জিনিস বাস্তবে দেখে অথবা ছবি তুলে ছবি দেখে এই দুইয়ের মধ্যে অনেক ব্যবধান থাকে তাই ছবি তুলে এর মূল্যবান গ্রহণযোগ্যতাকে মূল্য হারানোর ছবি তুলতে নিষেধ করা হয়।
তাছাড়া ছবি তুললে অনেক মানুষের ভীড় হতে পারে যেখানে একটা স্বাভাবিক শৃঙ্খলা নষ্ট হতে পারে। এজন্যই পৃথিবীর যেকোন জাদুঘরের (museum) ছবি তুলতে নিষেধ করা হয় ।
মিউজিয়াম (museum) অর্থাৎ জাদুঘর ধারণাটি প্রথম ব্যাপক অর্থ নিয়ে সামনে আসে খ্রিস্টপূর্ব 313 অব্দে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া। আলেকজান্ডার সেখানে মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। সেসময় এর ধারণা ছিল জাদুঘরে অবশ্যই লাইব্রেরী থাকতে হবে আর অবধারিত করে দিতে হবে গবেষকদের তথ্য সংগ্রহের দরজা-জানালা। এখানে বসেই হবে বড় বড় গবেষণা।
বর্তমানে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে পেশাদার আলোকচিত্রীরা জাদুঘরের ছবি তোলার জন্য যা খুশি সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু এর ফলে জাদুঘরের সামগ্রিক ক্ষতি হতে পারে বিশেষত অনুমতি ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জাদুঘরের পেশাদার আলোকচিত্রীদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
বেশিরভাগ জাদুঘরে (museum) থাকে মূল্যবান ছবি যেটা আগেই বলেছি ক্যামেরার ফ্লাশ আলো বেশ ইনটেন্স যাকে বলে ছবি তুলতে দিলেই সেখানে ছবি দেখার চেয়ে তুলার ভিড় বাড়বে ।
জাদুঘরে (museum) গিয়ে ছবি তুলে সেটা যদি বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হয় তাহলে সেই জাদুঘরে যাওয়ার জন্য মানুষের আগ্রহ কমে যাবে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেমন ইউরোপের বিভিন্ন জাদুঘরের (museum) ছবি তোলার কথা যদিও কোনো বিধিনিষেধ সেই অর্থে নেই। তবে প্যারিসের বিখ্যাত মিউজিয়াম এ কেউ বাধা দেয় না । ইতালির একটি মিউজিয়াম ফ্লাশ ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। কারণ আলো স্পর্শকাতর’ প্রত্নবস্তুর ক্ষতি হতে পারে।
- What is Chat GPT? The Ultimate Solution Of Everything
- সুন্দরবন কেন এতো উপকারী
- ভূমিকম্প প্রতিরোধে করণীয়
- Shahabuddin Chuppu the 22th President of Bangladesh
- প্লেগ রোগের উৎপত্তি কোথায়: ইতিহাসের ভয়াবহ ব্লাক ডেথ প্লেগ মহামারী
More Stories
সুন্দরবন কেন এতো উপকারী
ভূমিকম্প প্রতিরোধে করণীয়
প্লেগ রোগের উৎপত্তি কোথায়: ইতিহাসের ভয়াবহ ব্লাক ডেথ প্লেগ মহামারী