হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত কোনো ব্যাক্তি কভিড নাইনটিন রোগের রেজাল্ট নেগেটিভ হলেও সে পুনরায় করোনা ভাইরাস কর্তৃক আক্রান্ত হতে পারে। উক্ত গবেষণায় 33 বছর বয়সের এক ব্যক্তির উপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় করোনা ভাইরাস নেগেটিভ হওয়ার এক মাস পর তার শরীরে পুনরায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং সে করোনা ভাইরাস পজিটিভ হয়ে যায়।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা করোনাভইরাস আক্রান্ত রোগীদের এবং যারা ইতিমধ্যেই কভিড-১৯ নেগেটিভ হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে সতর্ক করে দিয়েছেন যে নতুন করে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। এজন্য করোনাভাইরাস নির্মূলে সমস্ত আক্রান্ত ব্যক্তি ও সুস্থ ব্যাক্তিদের করোনা ভাইরাস থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন এবং পূর্বের মতোই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
পৃথিবী থেকে করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণভাবে নির্মূলে সদা গবেষণারত বিজ্ঞানীদের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। করোনা ভাইরাস নেগেটিভ হওয়া রোগীদের জন্য এটা কোন সুখবর নয় যেহেতু তারা নতুন করে আবার আক্রান্ত হতে পারেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় কোন রোগ একবার হলে শরীরে তার জীবাণুর বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় যা কিনা ওই একই জীবাণুর আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করে দেয়। কভিড নাইনটিন রোগের ক্ষেত্রেও এমনটি হওয়ার কথা কিন্তু উচ্চমাত্রায় সংবেদনশীল সংক্রমিত ও বহুমাত্রিক জেনেটিক মডিফিকেশন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন করোনাভাইরাস এর ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা পরিলক্ষিত হয় যা কিনা হংকংভিত্তিক গবেষণায় চিকিৎসকদের ভাবিয়ে তুলেছে।
একটি সম্পূর্ণ সুস্থ শরীরের দেহে করুণা ভাইরাসের দ্বিতীয়বার উপস্থিতি সত্যিই চিন্তার বিষয়।
এহেন অবস্থায় করুণা ভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন এমন ব্যক্তি অথবা কখনো করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হননি এমন ব্যক্তি কারো জন্যই করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ করার জন্য অবহেলা করার সুযোগ নেই। সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব এবং সঠিক সময় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে যতদিন পৃথিবীতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় ততদিন । সমস্ত মানব জাতিকে সতর্ক এবং সাবধান থাকতে হবে।
More Stories
গণিতের সকল সূত্র একসাথে
কয়লা ও কালো শেলের মধ্যে 2 টি প্রধান পার্থক্য জানেন কি?
প্রফেসর মদন মোহন দে যে 4 টি কারনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ছিলেন