আব্দুল কাইয়ুম, মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক এর মতে, যে সব রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের রক্তের প্লাজমা অন্য রোগীদের শরীরে ব্যবহার করে তাঁদের করোনা রোগ থেকে সুস্থ করে তোলা যেতে পারে। কারণ সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের শরীরে করোনা রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। সেটা অন্যের শরীরে স্থানান্তর করলে সুফল পাওয়া যাবে।
যদিও এই পদ্ধতিটির কথা মানুষ ভাবছে কারণ করোনা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোন ওষুধ নাই। তবে এই পদ্ধতিটি আধুনিক কৃষি কাজে কলের লাঙ্গল ছেড়ে গরু দিয়ে হাল চাষ করার মত।
অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর এভাবেই চিকিৎসা করা হতো। যদি এটা কাজে দেয়, তাহলে এই দফায় হয়তো পৃথিবী করোনার আগ্রাসন থেকে এ বছরের জন্য হলেও মুক্ত হতে পারবে।
ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে প্রায় লাখেরও বেশি ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁদের প্লাজমা পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে সামাল দেওয়া সহজ হবে।
তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, বিষয়টি খুব সহজ নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই আমরা প্রতিকারের ব্যবস্থাগুলো কাজে লাগাতে পারব।
অনেকে ১৯৫০ সালে আবিষ্কৃত কলেরার ওষুধ কে করোনা ভাইরাসের কভিড-১৯ রোগের জন্য ব্যাবহার করছে বলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে।
এর আগে রোগটি দেশে নিয়ন্ত্রণের জন্য লকডাউন, কোয়ারেন্টিন ও বহুল প্রচারিত স্বাস্থ্যবিধিগুলো সবাইকে মেনে চলতে হবে। আপাতত দু-তিন সপ্তাহ ঘরে থাকুন। যারা ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত তাদের জন্য সদয় হন। আর নিজে হাঁচি কাশি থেকে কম পক্ষে ১ মিটার দুরে থাকুন।
জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাইরে যাবেন না। সামাজিক মেলামেশা আপাতত বন্ধ রাখুন। সামান্য অসুস্থতা বোধ করলে স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি সেবার জন্য যোগাযোগ করুন। নিজে বাঁচুন। আশপাশের দশজনকে বাঁচান। সবাইকে সঠিক তথ্য দিন। করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে জানুন।
More Stories
স্মার্টফোন ও কম্পিউটার আসক্তি আপনার ক্ষতি করছে না তো?
How to convert mg/l to meq/l simply
My Own Life Story: The Real Kindness of Japanese People