চেরনোবিল Chernobyl disaster নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট দুর্যোগ
চেরনোবিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট দুর্যোগ Chernobyl disaster 1986 সালের ইউক্রেন সংঘটিত হয়। এটা বিংশ শতাব্দীর মানবসৃষ্ট সর্ববৃহৎ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট বিপর্যয় Chernobyl disaster। সর্ব বৃহৎ সংখ্যক মানুষ মারা যায়।
চেরনোবিল দুর্যোগ Chernobyl disaster হয়েছিল ইউক্রেনে 1986 সালের 26 এপ্রিল
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্যান্টের 4 নম্বর ইউনিট এর দুর্যোগের মধ্য দিয়ে এই বিপর্যয় সংগঠিত হয়। এটা মানব সৃষ্ট এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ দুর্যোগ। সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই দুর্যোগে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে স্থান চ্যুত করা হয়েছিল।
পাওয়ার প্লান্ট অবস্থিত বর্তমানে ইউক্রেনের ওব্লাস্ট নামক শহরের। খুব দ্রুত বাতাসে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে এবং দ্রুত বিভিন্ন প্রদেশের অঞ্চলে। এটা ছড়িয়ে পড়তে থাকে নিকটেই সোভিয়েত শহরেও এর মাত্রা সনাক্ত করা হয়।
এটা ইউক্রেন সহ বেলারুশ এবং পশ্চিম রাশিয়াতেও তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিলক্ষিত হয় এই তেজস্ক্রিয় পদার্থ এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ বাতাসে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নির্ধারিত হয় পরবর্তী 10 দিন পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাসে শনাক্ত করা যায়। এই তেজস্ক্রিয় পদার্থ শুধু ইউক্রেন রাশিয়া বেলারুশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না ইউরোপের আরো অন্তত 20 হাজার স্কয়ার কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসকে দূষিত করে।
যদিও এই তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর নিকটেই ঘনীভূত হয় কিন্তু তুলনামূলক হালকা কণাগুলো অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে থাকে এই দুর্যোগের কারনে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গুলো শুধু মানুষের জন্যই ক্ষতিকর ছিল না অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়.
এই দুর্যোগ সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক চিকিৎসা এমনকি বাস্তু তন্ত্র এবং মনোজগতেও একটা প্রভাব বিস্তার করে। দুর্যোগের পরে বৃহৎ পরিসরে মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয় এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হয় যা ছিল একটি সময় এবং ব্যয়বহুল। এখন পর্যন্ত দীর্ঘদিন সেই তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের অঞ্চলটি পরিত্যক্ত ছিল। শুধুমাত্র কিছু বিজ্ঞানীদের পর্যাপ্ত তেজস্ক্রিয় নিরোধক পোশাক পরিধান পূর্বক প্রবেশের অনুমতি ছিল দীর্ঘদিন যাবৎ একটি নিষিদ্ধ শহর বলে বিবেচিত হতো।
বিজ্ঞানীদের মধ্যে চিকিৎসাবিজ্ঞানে পদার্থবিজ্ঞানে জীববিজ্ঞানী এবং বাস্তুতন্ত্র নিয়ে যারা কাজ করে তাদের কে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হতো সেখানে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ক্ষয়ক্ষতি এবং অন্যান্য বিষয় গুলোকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিস্ফোরিত অঞ্চল থেকে 30 কিলোমিটার পর্যন্ত রেড জোন হিসেবে পরিলক্ষিত হতো এবং সব থেকে বেশি তেজস্ক্রিয় দূষিত বলে চিহ্নিত করা হয়।
বিস্ফোরণের পর খুব দ্রুতই জায়গাটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় বিস্ফোরণের পরে ইউক্রেন বাসির নবীন কিশোর কিশোরীদের মধ্যে মানসিক বিপর্যয় পরিলক্ষিত হয়। অধিক সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর কারণে বিষন্নতা এবং মানসিক পীড়া গ্রস্ত হয় মানুষ। এখন পর্যন্ত এই নিউক্লিয়ার প্লান্ট বিস্ফোরণ কে মানব সৃষ্টি বৃহৎ দুর্যোগ হিসাবে মানুষ মনে রাখে।
More Stories
Russell Viper নিধন কেন সমাধান নয়?
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪