colorgeo.com

Disaster and Earth Science

Taka বাংলাতে ও টাকা। বাংলাদেশী মুদ্রা। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ মুদ্রা হিসেবে স্বর্ন মুদ্রা ব্যবহার করত। যদি ও স্বর্ন মুদ্রার প্রচলন তুলনামূলক মধ্য যুগীয় সময় কালের। প্রাগৈতিহাসিক কালে মানুষ মুদ্রার পরিবর্তে বিনিময় প্রথা অনুযায়ী লেনদেন করত। মুদ্রা হিসেবে নোট টাকা বাংলাদেশের ইতিহাসে একেবারেই আধুনিক। স্বাধীনতা র পূর্বেও টাকার পরিবর্তে রূপি ব্যবহার প্রচলন ছিল। Taka শব্দটি ইংরেজিতে লিখলেও বাংলাতে টাকা উচ্চারণ হবে । সংস্কৃত শব্দ টঙ্ক যার অর্থ রৌপ্য মুদ্রা থেকে টাকা শব্দ টি এসেছে।

বাংলাদশের টাকার ইতিহাস খুব বেশিই দিনের নয় । ভারতের পশ্চিম বঙ্গও ও ত্রিপুরায় ভারতীয় মুদ্রা কে টাকা বলা হয়। ১৯৪৭ সালের পরথেকে পাকিস্থান রুপি কে বাংলাদেশে টাকা (Taka) বলা হত। ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধের সময় বাঙালিরা পাকিস্থান এর টাকা তে বাংলাদেশ শব্দটি রাবার স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে ছিল মেরে দেয়। ১৯৭১ সালে ৮ জুনে পাকিস্থান সরকার এই রাবার স্ট্যাম্প যুক্ত টাকাকে অবৈধ ঘোষণা করে। স্বাধীনতার পর ও ১৯৭৩ সালের ৩ মার পর্যন্ত এই রাবার স্ট্যাম্প যুক্ত টাকা চলে ছিল সারা দেশে। বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম নিজেস্ব টাকা প্রচলন শুরু করে। বাংলাদেশ প্রথম ১ টাকা নোট বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে নিজেদের টাকা বাজার জাত করে। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এই এক টাকার নোট বাজারে প্রচলন ছিল। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০ টাকার নোট সহ আরও অনন্য নোট আগেই প্রচলন করে। ২০১২ সালে রাশিয়ার একটি অনলাইন জরিপের মাধ্যমে বাংলাদেশের ২ টাকার নোট বিশ্বের নোট গুলোর মধ্যে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় সেরা নোট বলে প্রতীয়মান হয়।

Taka

২০০০ সালে বাংলাদেশে ১০ একটি নোট (Taka) জনপ্রিয়তা হারিয়ে বাজার থেকে তুলে নেয়া হয়। যা যায় যে এ ১০ টাকার নোট টি অস্ট্রেলিয়ার একটি নোটকে অনুসরণ করে পলিমার নোট হিসাবে প্রথম বাজারে ছাড়া হয়। কিন্তু জন প্রিয়তা পায়নি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম ১০০০ টাকার নোট ছাড়া হয়। বাংলাদেশে ১, ২, ও ৫ টাকা হল সরকারি নোট আর ১০ টাকার উপরে সমস্ত নোটকে বলা হয় ব্যাংক নোট। সরকারি নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে আর ব্যাংক নোটে গভর্নরের স্বাক্ষর থাকে।

২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক পর পর কয়েকটি নোট বাঁজারে ছাড়ে যেখানে জাতির জনক বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুরের প্রতিকৃত ছাপা হয়।