পিপিইর (PPE) অর্থ হল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য মাস্ক বা অন্যান্য নিরাপদ পোশাক পরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন সবাইকে পিপিই করার দরকার নাই। আবার আইসিডিডিরবি থেকে বলা হয়েছে যে পৃথিবী ব্যাপী পিপিইর সংকট এজন্য বাংলাদেশেও প্রয়োজনীয় মাস্ক বা অন্যান্য নিরাপদ পোশাক নাই।করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এটা খুব হতাশাজনক ও বিপদাপন্নও বটে। স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সমস্ত ব্যক্তিদের মাস্ক বা অন্যান্য নিরাপদ পোশাক নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মহান পেশায় নিয়োজিত ডাক্তার বা করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের কে সর্বচচ নিরাপত্তা দিতে হবে। সঠিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা না থাকলে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ব্যর্থতা আসবে। দেশের বিপুল পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হবে।
- রোগীর কক্ষেঃ
- স্বাস্থ্য কর্মী; যারা সরাসরি রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করছেন। মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে
- পরিচ্ছন্ন কর্মী; যারা রোগীর কক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে নিয়োজিত। দুষিত শ্বাস প্রশ্বাস প্রতিরোধী মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে
- দর্শনার্থী; যারা রোগীর সাথে দেখা করতে আসবে। মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস পরতে হবে
- রোগী বহনকারী কর্মীঃ
- সমস্থ স্বাস্থ্য কর্মী; যারা রোগীকে হাসপাতালের ওয়ার্ড বা বারান্দায় আনা নেয়ার কাজে সাহায্য করবে তাদের কোন কিছু পরার দরকার নাই তবে মাস্ক পরা যেতে পারে।
- করোনা ভাইরাস সংক্রমিত জরুরি চিকিৎসার জন্য রোগীদের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিঃ
- স্বাস্থ্য কর্মী; যারা সরাসরি রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ১ মিটার, মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে
- শ্বাসকষ্ট আছে এমন রোগী; সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ১ মিটার, মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে
- শ্বাসকষ্ট নেই এমন রোগী; মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে
- ল্যাবঃ
- ল্যাব টেকনিশিয়ান; যারা করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত রোগীদের নমুনা নিয়ে কাজ করছেন তাদের মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে।
- অফিস কক্ষঃ
- সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী, শুধু মাস্ক পরলেই হবে।
- হোম কোয়ারেন্টাইনঃ
- শ্বাসকষ্ট আছে এমন রোগী; সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ১ মিটার, মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে
- বাড়িতে রোগীকে সাহায্যকারী ব্যক্তি; যিনি শুধু রোগীর কক্ষে প্রবেশ করবেন কিন্তু রোগীর প্রসাব, পায়খানা ধরবেন না বা ছুবেন না তাকে শুধু মেডিকেল মাস্ক পরলেই হবে।
- বাড়িতে রোগীকে সাহায্যকারী ব্যক্তি; যিনি শুধু রোগীর কক্ষে প্রবেশ করবেন এবং রোগীর প্রসাব, পায়খানা ধরবেন বা ছুবেন তাকে মেডিকেল মাস্ক গ্লোভস, এপ্রন, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে।
- স্বাস্থ্য কর্মী; যারা সরাসরি রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ১ মিটার, মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে
- প্রকাশ্য ও জনবহুল এলাকায় (স্কুল কলেজ বিপণি বিতান, বাস ও ট্রেন স্টেশান)ঃ
- শ্বাসকষ্ট নেই এমন ব্যক্তি; বাইরে শুধু মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।
- অফিস আদালত; মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।
- যেখানে রোগী সনাক্ত কার্যক্রম চলে এমন জায়গাঃ (যেমন বিমান বন্দর)
- স্বাস্থ্য কর্মী; যারা প্রথমবার স্ক্রিনিং করছেন যেখানে শুধু শরীরের তাপমাত্রা দেখা হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ১ মিটার, মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।
- স্বাস্থ্য কর্মী; যারা দ্বিতীয়বার স্ক্রিনিং করছেন যেখানে যেখানে রোগীর সাক্ষাতকার নেয়া হয় ও রোগের পূর্বের তথ্যও যাচাই করা হয়। মেডিকেল মাস্ক ও গ্লোভস পরতে হবে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী; যে সব যাত্রীদের জ্বর আছে এমন যাত্রীদের কক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে নিয়োজিত। মেডিকেল মাস্ক, গাউন, ভারি গ্লোভস, বুট বা জুতা, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে
- অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনঃ
- কর্মী; যারা সরাসরি অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন এ থাকা রোগীর কক্ষে প্রবেশ করছেন কিন্তু চিকিৎসা প্রদান করছেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ১ মিটার, মেডিকেল মাস্ক, গ্লোভস পরতে হবে।
- স্টাফ ও স্বাস্থ্য কর্মী; যারা অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন এ থাকা রোগীদের আনা নেয়ার কাজে নিয়োজিত। মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী; যারা অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন এ থাকা রোগীর কক্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত; মেডিকেল মাস্ক, গাউন, ভারি গ্লোভস, বুট বা জুতা, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে।
- এম্বুলেঞ্চ ও রোগী বহনকারী কর্মীঃ
- স্বাস্থ্য কর্মীঃ করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ পূর্ণ রোগীদের বহনকারী স্বাস্থ্য কর্মী; মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে।
- ড্রাইভারঃ শুধুমাত্র বহন কাজে নিয়োজিত; মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।
- ড্রাইভারঃ রোগী গাড়িতে উঠানো ও নামানো কাজে নিয়োজিত; মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে।
- ড্রাইভারঃ সরাসরি রোগীকে সেবা প্রদান করছেন না। কিন্তু সাহায্য করছেন। মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।
- করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ পূর্ণ রোগীঃ Covid-19 আক্রান্ত রোগীকে মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী; Covid-19 আক্রান্ত রোগীকে এম্বুলেঞ্চে উঠানো ও নামানোর সময় ও পর । মেডিকেল মাস্ক, গাউন, ভারি গ্লোভস, বুট বা জুতা, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে
- আকস্মিক COVID-19 রোগী সনাক্তকারী দলঃ
- সন্দেহপূর্ণ COVID-19 রোগীর দুর -সাক্ষাতকার নেয়ার সময় কোন নিরাপত্তা পোশাক বা পিপিই (PPE) করা লাগবে না এক্ষেত্রে ভিডিও ও ফোন কল হল উত্তম পন্থা।
- সন্দেহপূর্ণ COVID-19 রোগীর সাক্ষাতকার নেয়ার সময়; সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে হবে কমপক্ষে ১ মিটার, মেডিকেল মাস্ক পরতে হবে।
- সন্দেহপূর্ণ COVID-19 রোগীর সরাসরি সাক্ষাতকার নেয়ার সময়; মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গ্লোভস, চোখের সুরক্ষা চশমা পরতে হবে।
More Stories
Monkey to Human Evolution Facts
Causes of Permian Mass extinction
Japan Scholarship Brochure and the total Guide