Colorgeo.com

Disaster and Earth Science

জাপান কাহিনী পর্ব -১

Spread the love

জাপান কাহিনীঃ পর্ব -১

জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের একটি ক্লাস রুমে আমার প্রফেসর এবং বাংলাদেশ থেকে আমি দুজন মিলে ভূতাত্ত্বিক ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য উপস্থিত হলাম আমার দায়িত্ব হল বিদেশি একজন প্রফেসর হিসেবে ভূতাত্ত্বিক ইংরেজি শব্দগুলো জাপানের তৃতীয় বর্ষের ভূতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচিত করানো।  আমরা ক্লাস রুমে প্রবেশ করলাম। দেখি ১৫ জন ছাত্রছাত্রী বসে গল্প করছে। আমি প্রথমে ঢুকলাম। আমার পিছনে প্রফেসর। আমাকে দেখে ছাত্রছাত্রীরা স্বভাবতই অবাক হল এবং অনেকেই এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। আমি যেহেতু প্রফেসর তাই একটু ভাব গাম্ভীর্য নিয়ে থাকলাম তবে পরিবেশ পরিস্থিতি সহজ করে নেওয়ার জন্য মুখে কিছুটা হাসি রাখলাম।

এরপর প্রফেসর আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিয়ম নীতির ধারাবাহিকতায় একটা পর্যায়ে আমি ভূতত্ত্বিক গবেষণার প্রাগৈতিহাসিক কালের প্রথম অনুজীব  আনুমানিক ৩৫০ কোটি বছর আগের প্রথম অণুজীব যা কিনা বর্তমান পৃথিবীতে প্রাণে সৃষ্টির সেই আদিম একটি অনুজীব। তার নাম 

হল সায়ানোব্যাকটেরিয়া ।এই সায়ানব্যাকটেরিয়া যদিও বর্তমান পৃথ্বীতেও পাওয়া যায়। সমুদ্রের এই ক্ষুদ্র ধরনের ফসিল যা স্ট্রোমেটোলাইট নামের একটি পাথরের উপর পাওয়া যায়। আমি সেই নিয়ে স্ট্রোমেটোলাইট ৫ মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিলাম স্লাইড প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে। সেখানে আমি বললাম যে আজকে আমার জন্মদিন। 

আমি লক্ষ্য করলাম ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে আমার প্রফেসর বেশি আগ্রহী যে আজকে আমার জন্মদিন। এই কথাটা শুনে আমরা ক্লাস শেষ করে বের হয়ে আসলাম তারপর প্রফেশর আমাকে বলল যেহেতু আজকে জন্মদিন তাই আজকে পার্টি হবে। আমি বললাম আমার জন্মদিন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিন নয় তাই পার্টি দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তবে প্রফেসর কোন ভাবেই আমার কথায় রাজি হলো না বলল যে আজকে রাত্রে পার্টি হবেই।

আমি কোন উত্তর দিলাম না। আমরা দুপুরে খাবার জন্য বাসায় গেলাম প্রফেসরের বাসায়। আমি প্রফেসরের বাসাতেই থাকি অন্য একটি রুমে যেহেতু প্রফেসরের স্ত্রী এখানে থাকেন না তাই এই সময়টা আমি এখানে থাকি যদিও আমার ছোট্ট একটি ডরমেটরি রয়েছে তবে সেখানে বেশিরভাগ সময়ই থাকা হয় না। আমরা ডরমেটরিটা বরাদ্দ বাতিল করার চিন্তা করছি। প্রফেসরের বাসায় থাকার অন্য একটি কারণ হলো আমার কোন বেতন নেই এখানে। প্রফেসরের সাথে খাই দাই কাজ করি। 

জাপান কাহিনীঃ লাকি সেভেন নাকি লাকি এইট

আমি প্রফেসর কে জিজ্ঞেস করলাম তোমার জন্ম তারিখ কত সে বলল ১৩ই জানুয়ারি । আমি তখন মনে মনে বললাম যে ১৩ সংখ্যাটা হল অশুভ। আমরা এটাকে বলি আনলাকি থার্টিন কিন্তু আমি প্রফেসরকে এই কথাটা বলতে পারলাম না কারণ সে হয়তো পরবর্তী জীবনে কোন ব্যর্থতা আসলে তার জন্মদিনের আনলাকি ১৩ সংখ্যাটাকে দোষ দিবে। তাই আমি আনলাকি এই কথাটা উচ্চারণ করতে পারলাম না। আমার মনের মধ্যেই চিন্তাটা থেকে গেল। 

 

আমি প্রফেসরকে আরো একটি জিনিস জিজ্ঞেস করলাম যে তোমাদের দেশে শুভ সংখ্যা কোনটি প্রফেসর বলল ৭ এবং ৮, আমি বললাম ৭ এবং ৮ দুইটা লাকি সংখা কেন? প্রফেসর বলল ৭ সংখ্যাটা বিদেশ থেকে জাপানে প্রবেশ করেছে শুভ সংখ্যা হিসেবে অর্থাৎ বিদেশীরা বিশেষ করে এমেরিকানরা এই ৭ সংখ্যাটাকে শুভ সংখ্যা মনে করে এবং এটা জাপানে প্রবেশ করে। সবাই এটাকে বিশ্বাস করে।

আমি বললাম ৮ কেন শুভ সংখ্যা?

 

প্রফেসর বলল ৮ সংখ্যাটাকে জাপানিজ ভাষায় কাঞ্জিতে লিখতে গেলে অনেকটা সুচালো মন্দিরের চূড়ার মত শীর্ষবিন্দু থেকে দুই দিকে নিচে নেমে প্রসারিত হয়ে যায় যাকে দেখে মনে হয় ভিত্তি অনেক শক্ত । তাই ৮ সংখ্যাটা একটি শুভ সংখ্যা। আমি বললাম বাংলাদেশেও ৭ সংখ্যাটা শুভ সংখ্যা। হয়তো বিদেশ থেকে এসেছে। তবে আমি প্রফেসরকে বলতে পারলাম না যে আমাদের দেশের নিজস্ব শুভ সংখ্যাটা আসলে কত হতে পারে? তিন? ত্রিফলা? অথবা ১১? যাই হোক আমার জন্ম তারিখ ১২ এপ্রিল এটা কি শুভ না অশুভ সেটা আমি কখনো বিচার করিনি? কারন কোন সংখা শুভ না অশুভ আমরা সংখ্যাগুলোকে বিচার করি আসলে একটি সামাজিক প্রথা হিসেবে এর কোন বৈজ্ঞানিক সুনির্দিষ্ট ভিত্তি নেই। এটা আসলে একটি নিয়ম সবাই মেনে চলে কারণ ৭ সংখ্যাটা লাকি সেভেন যদিও কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই। এটা সম্পূর্ণ কাকতালীয় এবং মানসিক ব্যাপার। 

 

জাপান কাহিনী
জাপান কাহিনী

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি, গবেষণা করার জন্য গবেষণা ফান্ড লাগে বিপুল পরিমাণ অর্থ লাগে। জাপানি প্রফেসরের  সহযোগিতায় আমি একটি গবেষণা প্রকল্পের বৃত্তির জন্য দরখাস্ত করেছিলাম । আমরা আশা করেছিলাম যে আমরা স্কলারশিপটা পাবো এবং আমরা সেই অর্থ দিয়ে গবেষণা এবং জীবন যাত্রার ব্যয় বহন করতে পারব। আমি সেই আশায় পরিবার পরিজন ছেড়ে জাপানের অন্য একটি প্রদেশ থেকে ইয়ামাগুচি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান প্রফেসরের ল্যাবে কাজ শুরু করে দিয়েছি অনেকটা বিনা বেতনে।

 

৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে ডাইনোসর বিলুপ্তির ঘটনা প্রকৃতপক্ষে উদঘাটত হয়নি! কেউ বলে ৬ কোটি বছর আগে একটি উলকা আঘাত হেনেছিল বর্তমান মেক্সিকোর সিক্সচুলাভ নামক জায়গাতে। তার ফলশ্রুতিতে ডাইনোসর গুলো বিলুপ্ত হয়ে যায় আবার কেউ বলে ভারতের মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তর প্রদেশ মহারাষ্ট্রের কাছাকাছি ডেকান ট্রাপ নামক জায়গায় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে যার অগ্নুৎপাতের ফলশ্রুতিতে আবহাওয়া গত পরিবর্তনের জন্য ডাইনোসর গুলো বিলুপ্ত হয়ে থাকতে পারে । এরকম একটি বিতর্ক গত ৪০ বছর ধরে চলছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। 

 

এই বিতর্কের সমাধান করার জন্য আমরা একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেই। তার জন্য ইন্ডিয়া মেঘালয় রাজ্য থেকে পাথর সংগ্রহ করতে হবে কিন্তু যেহেতু আমাদের প্রকল্প এখনো পাস হয়নি তাই আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাথর সংগ্রহের কাজ এবং ইন্ডিয়া ভ্রমণের কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিলাম। অর্থাৎ ব্যক্তিগত টাকা পয়সা খরচ করে সব কাজ করতে হবে । আমার প্রফেসরযেহেতু অতি মাত্রায় গবেষণা উৎসাহী। তার জীবনের লক্ষ্যই হল বিজ্ঞানী হওয়া। 

আমার নিজস্ব কোন ফান্ডিং নাই তাই প্রফেসর নিজেই অন্য একজন জাপানের ছাত্রকে নিয়ে পাথর সংগ্রহ করে নিয়ে আসলো ভারতের মেঘালয় রাজ্যে গিয়ে। 

আমরা যে প্রকল্পের আবেদন করেছিলাম সেই প্রকল্প নিয়ে আমরা অনেক বেশি আশাবাদী এবং আমরা অবশ্যই প্রকল্পের অর্থ দিয়ে আমাদের গবেষণা টি করতে পারবো। 

আজ এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ প্রফেসর বলল আমাদের গবেষণা প্রকল্পের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে এবং এর জন্য একটি মেইল পাঠিয়েছে।  চলো আমরা দুজনে দেখি স্বচক্ষে  প্রফেসর আমাকে কাছে ডেকে নিল এবং অনেক বেশি উৎফুল্ল , উদ্বেলিত এবং আশাবাদী যে আমরা গবেষণা প্রকল্পটি পেয়ে যাব।  আমরা যেহেতু রাতে আমার জন্মদিনের জন্য পার্টি করব তাই এই গবেষণা প্রকল্পের রেজাল্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে । সেই আশা নিয়ে আমরা কম্পিউটার থেকে পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড করে ওপেন করলাম। 

যেহেতু আমি জাপানিজ ভাষা বুঝতে পারি না। তাই আমার মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই কিন্তু প্রফেসর হটাৎ নিস্তব্ধ। দুইটা ঠোঁট চেপে ধরে বলল ব্যাডলাক ! উই হ্যাভ নট পাসড! 

 

আমি ইংরেজিতে বললে ভালো বুঝতে পারবো যে আমরা পাশ করিনি । ফাইলটার দিকে আমি তাকিয়ে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই প্রফেসরকে বললাম যে কোথায় লেখা রয়েছে যে আমরা পাশ করিনি? প্রফেসর হাত দিয়ে দেখিয়ে কম্পিউটারের স্ক্রিন দেখিয়ে দিল। বলল যে এখানে লেখা রয়েছে যে আমরা অকৃতকার্য।

 

জাপানিজ ভাষায় লেখা। আমি জাপানিজ বুঝতে পারছি না। তবে মনকে সান্ত্বনা দিলাম যে কিছু তো করার নাই! 

 

প্রফেসর বলল যে সেও বিশ্বাস করতে পারছে না যে আমরা আমাদের প্রজেক্ট এ পাশ করিনি। সে আরো অনেক যুক্তি উপস্থাপন করার চেষ্টা করল যে এমন কোন কারণ খুঁজে পায়নি যাতে আমরা অকৃতকার্য হব। 

 

গাড়ি চালাতে চালাতে প্রফেসর বলল আজকের পার্টিটা খুব বেশি রোমাঞ্চিত হতে পারতো যদি আমরা প্রজেক্ট টা পেয়ে যেতাম!

 

আমি নিজেই প্রফেসরকে সান্তনা দিলাম যে এটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই, যদিও অনেক বেশি অস্তিত্বহীন মনে হচ্ছিল নিজেকে কিভাবে চলবে আমার সামনের দিনগুলো এই প্রজেক্ট ছাড়া? স্কলারশিপ ছাড়া? 

 

আমার জন্মদিনে এটা একটি অশুভ খবর। 

জাপান কাহিনীঃ ইন্টারভিউ

আমার জন্মদিনের আগের দিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার্শিপ প্রাপ্ত বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের ফরম পূরণ করা থেকে শুরু করে নতুন আগত ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য একটি অফিসিয়াল পার্ট টাইম কাজের জন্য আমি দরখাস্ত করি এবং তারা আমাকে প্রথম সারিতে রাখে আমি ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে মনে হল আমি বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষার সময় যে ধরনের পরিবেশ থাকে অনেকটা সেরকম। খুব পরিপাটি। খুব গোছানো এবং একটি সুপরিকল্পিত আনুষ্ঠানিকতা । চারিদিকে প্রফেসর এবং কর্মকর্তারা বসে রয়েছেন। সবার মাঝখানে একটি খালি চেয়ার রাখা।

আমি রুমে প্রবেশ করতেই তারা আমাকে খালি চেয়ারটেতে বসতে বলল। 

 

আমি চেয়ারে বসে ইন্টারভিউয়ের ধারাবাহিকতায় প্রবেশ করলাম। সমস্ত কথোপকথন হচ্ছে জাপানিজ ভাষায়। আমি কিছুটা ইংরেজি শব্দ মিশ্রণ ঘটিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি। একজন একজন করে দুইটা করে প্রশ্ন করছে। শুরুতেই তারা বলছে যে আমরা প্রত্যেকেই দুইটা করে প্রশ্ন করব এবং তাদের প্রশ্নগুলো আগে থেকেই লিখে রাখা ছিল। 

প্রথম প্রশ্ন ছিল তোমার নাম বলো? এর পরের প্রশ্ন, কেন তোমাকে আমরা এই চাকরি টা দিব? তোমার শক্তিশালী এবং দুর্বলতা কি কি? তোমার সেরা যোগ্যতা কি? তোমার যোগাযোগ করার ক্ষমতা কতটুকু? তুমি কি জাপানি ভাষায় লিখতে পড়তে পারো ? জাপানিজ বন্ধু আছে কিনা? তাদের সাথে জাপানি ভাষায় কথা বলো কিনা?

ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় আমি অনেকটা আশাবাদী ছিলাম যে চাকরিটা হয়ে যাবে হয়তো। ইন্টারভিউ শেষে তারা বলল তোমাকে আমরা মেইল করে জানিয়ে দিব অথবা তোমার ঠিকানায় কাগজ পাঠিয়ে দিব। 

চার ঘণ্টার মধ্যেই আমি একটা ইমেইল পেলাম তাতে লেখা রয়েছে আমি ইন্টারভিউতে পাস করতে পারিনি। 

এটা আমার জন্মদিনের আগের দিনের ঘটনা। 

 

পরপর দুদিন এমন ব্যর্থতা আমার জন্ম তারিখ ১২ সংখ্যাটা কি এর জন্য দায়ী যদিও আমি কখনো এটা নিয়ে ভাবিনি। 

 

আমি বিশ্বাস করি সংখ্যার সাথে অকৃতকার্য হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই।

এখন এটা কি আমি দুর্ভাগ্য বলব অর্থাৎ মন্দ কপাল? আমি কি ভাগ্যে বিশ্বাস করব নাকি একটি কর্মফল? 

হয়তো কেউ বলবে ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন। আবার কেউ বলবে আমাদের সফলতা নির্ভর করে আমাদের ইচ্ছা শক্তির উপরে। তাই ইচ্ছা শক্তি জিয়িয়ে রেখে কর্ম করে যাওয়াটাই সফলতা। অনেকেই ভাগ্যের উপর বিশ্বাস করতে চায় না কারণ কিছুদিন আগেই আমাদের এক ভাই যে নিজেকে চরম দুর্ভাগা মনে করত। ভাগ্যের উপর সমস্ত দোষ চাপিয়ে দিয়েছিল। গত পাঁচটি বছর সে কোন চাকরি পায়নি বহুবার পরীক্ষা দিয়েছে এবং সবই ভাগ্যের লিখন বলে নিজের মন্দ কপাল বলে অভিযোগ করেছে। কিন্তু আজ যখন চাকুরী পেলো তখন সেকি বলবে যে সে এখন সৌভাগ্যবান নাকি এটা তার কর্মফল? সে ভাল কাজ করেছে তাই সে এই ফল পেয়েছে?