প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় (Disaster Assistance) ছাত্র সমাজের ভূমিকা
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত, 😯আমরা আনিব রাঙা প্রভাত, 😮আমরা টুটাব তিমির রাত, 😮বাঁধার বিন্ধ্যাচল😮😮
কাজী নজরুল ইসলাম যথার্থই বলেছেন, ছাত্ররাই আঁধার রাত কাটিয়ে রাঙ্গা প্রভাতের কর্ণধার। তারাই যেন আগামীর পথ প্রদর্শক। তাদের দিকে তাকিয়ে আছে জাতি ,গোষ্ঠী এবং পুরো পৃথিবী । কেননা তারাই যে আগামী পৃথিবীর কর্ণধার। পৃথিবীর সব সমস্যা দূর করার দায়িত্ব যে তাদেরই হাতে। পৃথিবীর সব জরাজীর্ণ ক্লান্তি সবকিছু তাদেরই পৃথিবী থেকে দূর করতে হবে.
ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রত্যেকটি আন্দোলনে এবং বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সমস্যায় ছাত্রদের সবার সামনে পাওয়া যায় । সবার আগে ছাত্ররাই যে কোন সমস্যা বা বিপদে নির্ভীকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে সচেতনতা এবং নিয়ন্ত্রিত পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্র সমাজের একটি বিশেষ ভূমিকা (Disaster Assistance) এবং দায়িত্ব রয়েছে।
আজ আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্রদের ভূমিকা সম্পর্কিত আলোচনা করব।
পৃথিবীর কোথাও যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে তখন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হন শতকরা ৭৫ শতাংশ শিশু এবং নারীরা। গ্লোবাল হিউম্যানিটারিয়ান ২০০৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়েছিলেন শতকরা ৯০ ভাগ নারী এবং শিশুরা । প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছাত্র সমাজে নিজেদের কিছু দায়বদ্ধতা থেকে তাদের কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্র ছাত্রীরা কিভাবে সাহায্য করতে পারে?
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারকাজে ছাত্ররা অংশগ্রহণ (Disaster assistance Job) করতে পারে।
- সেই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের জন্য তারা নিজেরা চাঁদা তুলে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা এনজিওর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাযর মানুষের সহায়তা বা ত্রাণ প্রদান করতে পারে ।
- তাছাড়া ছাত্ররা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আবাসন তৈরিতেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে ।
- তাদের ঘরবাড়ি তৈরির যাবতীয় উপকরণ নিজেরা চাঁদা তুলে কিংবা অন্যদের থেকেও সাহায্য নিয়ে আবাসন তৈরিতে তাদের সাহায্য করতে পারে।
-
ছাত্ররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকাতেও লেখালেখি করার মাধ্যমে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে পারে ।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য তারা তহবিল গঠন করতে পারে।
-
এছাড়া ছাত্ররা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবার স্যালাইন শুকনা খাবার দিয়ে সহায়তা করতে পারে ।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকাতে বিভিন্ন সভা-সেমিনার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন করণীয় সহ নানাবিধ উপায়ে মানুষকে সচেতনতার মাধ্যমে ছাত্রসমাজ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অবদান রাখতে পারে ।
সর্বোপরি অন্যান্য সমস্যায় যেমন ছাত্রসমাজ সবার আগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ছাত্র সমাজকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে তবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির হার কমিয়ে আসবে ।
বাংলাদেশে বর্তমানে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে। এটা একটা নতুন দুর্যোগ। এবিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা কাজ করতে পারে। নিকট ভবিষ্যতে বজ্রপাত আরও বেশি মানুষ মারা যাবে। কারণ এটা দিন দিন বেশি হচ্ছে।
কি কারনে বজ্রপাত বাড়ছে? কি করনীয়?
More Stories
অলৌকিক ঘটনা: গাছ থেকে রক্ত বের হচ্ছে বিশ্লেষণ চন্দন প্রতাপ মাগুরা
গরিবের স্ট্যাটাসঃ অলীক ধারণা ও গল্প (মুহাম্মদ ইউনুসের বই থেকে)
Russell Viper নিধন কেন সমাধান নয়?