Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

Spread the love

প্লেগ রোগের উৎপত্তি কোথায়?

ইউরেশিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারীর একটির নাম Black Death বা কালো মৃত্যু। পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া এই মহামারি ১৩৪৬-১৩৫৩ সালের মধ্যে ইউরোপ এবং এশিয়া মহাদেশের (ইউরেশিয়া) ৭৫ থেকে ২০০ মিলিয়ন মানুষ মৃত্যুর কারণ হয়। ব্লাক ডেথ এর ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও তত্ত্বের চর্চা আছে। তবে ২০১০ এবং ২০১১ সালে বিশেষজ্ঞরা এই মহামারি’র শিকার হওয়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউরোপের অধিবাসীদের ডিএনএন বিশ্লেষণ প্রকাশ করেন।

এতে ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া’র (প্লেগ রোগ বিশেষ) জন্য রোগ সংক্রামক জীবাণু প্যাথোজেন’কে দায়ী করা হয়। মধ্য এশিয়ার সমভূমিতে এই রোগের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়। এরপর এটি সিল্ক রোড হয়ে ১৩৪৩ সালের দিকে এটি ক্রিমিয়া পর্যন্ত পৌছায়। বণিকদের জাহাজে বসবাস করা ‘কালো ইঁদুর’ ও ‘ইঁদুর ফ্লিস’ (উড়ন্ত উকুন বিশেষ) নামক দুইটি প্রজাতির মাধ্যমে এটি ভূমধ্যসাগর এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।

প্লেগ রোগের মূল কারণঃ

ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস , পার্বত্য ইঁদুর সহ এমনি ইঁদুর, বাহিত অসংখ্য ফ্লিসের (fleas) মধ্যে যেটি এঞ্জুটিক (সাধারণভাবে থাকে) দ্বারা সৃষ্ট প্লেগ রোগ যেটি মধ্য এশিয়া, কুর্দিস্তান, পশ্চিম এশিয়া, উত্তর ভারত এবং উগান্ডার বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা দেয়। Oriental rat flea কালো ইঁদুর বা ইদুর উকুন তার রক্তে এই রোগ বহন করেছিল। তাদের রক্তে বাহিত হওয়া Yersinia pestis ইয়েরসেনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া (প্লেগ রোগ বহনকারী জীবাণু) কালো মৃত্যু বা বুবোনিক প্লেগ এর উত্তরসূরি।

বেশিরভাগ নারী ও পুরুষ এই পতঙ্গের কামড়ে বুবোনিক প্লেগে আক্রান্ত হয়েছিল। এশিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, ইঁদুর ঘাস আবৃত জমি, বেশি জনবহুল এলাকায় পালিয়ে যেতে শুরু করে এবং রোগ ছড়াতে থাকে। কিরগিজস্তানের ইশিকি হ্রদের কুলের কাছাকাছি ১৩৩৮-১৩৩৯ খ্রিষ্টাব্দের নেস্টোরিয়ান কবরগুলিতে মহামারীটির উল্লেখ খোদিত আছে এবং বহু মহামারীবিদরা মহামারী প্রাদুর্ভাবের লক্ষ্যে চিন্তিত ছিলেন,  যে এটি সহজেই চীন ও ভারত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অক্টোবর ২০১০ সালে, চিকিৎসকেরা বলেছিলেন যে, এই মহামারীটির তিনটি বড় প্রাদুর্ভাব চীনে সূত্রপাত হয়েছে। চীনে ১৩ তম শতাব্দীতে মঙ্গলদের বিজয়ের ফলে কৃষিখাতের এবং বাণিজ্যের পতন ঘটে। তবে, ১৪ তম শতাব্দীর শুরুতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দেখা যায়। ১৩৩০-এর দশকে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারীর ফলে ১৩৩১ সালে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়, যার পরপরই একটি মারাত্মক মহামারী আসে। ১৫ বছর ধরে ১৩৪৭ সালে কনস্ট্যান্টিনোপেল পৌঁছানোর আগে মহামারীটিতে আনুমানিক ২৫ মিলিয়ন চীনা ও অন্যান্য এশিয়বাসীরা নিহত হয়েছিল। 

এই রোগটি মঙ্গলীয়ান সেনা বাহিনী এবং ব্যবসায়ীদের সাথে সিল্ক রোড পথে আসতে পারে বা এটি জাহাজের মাধ্যমে আসতে পারে।১৩৪৬ সালের শেষ নাগাদ, প্লেগ মহামারীর প্রতিবেদনগুলি ইউরোপের সমুদ্রবন্দরগুলিতে পৌঁছায়: “ভারতের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে, টাটারি, সিরিয়া, আর্মেনিয়া, মেসপটেমিয়াতে  মৃতদেহে ভরে গেছে”।১৩৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ক্রিমিয়ার কফার বন্দর নগরীতে জেনোইসের ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্লেগ বাহিত হয় বলে জানা যায়।

দীর্ঘস্থায়ী অবরোধের পরে, যার সময় জনি বেগের অধীনে মঙ্গোল বাহিনী রোগে ভুগছিল, সেনাবাহিনী কাফার শহরের দেয়ালের উপরে সংক্রমিত মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিল, অধিবাসীদের সংক্রমিত করার জন্য। জেনুইস ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলেন, জাহাজের মাধ্যমে সিসিলিতে এবং ইউরোপের দক্ষিণে সংক্রমণ নিয়ে, উত্তরে এটি কিরূপে ছড়িয়ে পড়েছিল,  আদৌ ছড়িয়েছিল কি না তবে এটা স্পষ্ট যে, যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও আবহাওয়ার মতো বিদ্যমান অবস্থাগুলি কালো মৃত্যুর তীব্রতাতে অবদান রাখে।

ইউরোপে প্লেগ রোগ:


ইউরোপে বেশ কয়েকটি সূত্রপাত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। অক্টোবর ১৩৪৭, এই মহামারী সিসিলিতে পৌঁছায়, বারোটি জেনোজ জাহাজ নিয়ে এবং দ্রুত দ্বীপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ১৩৪৮ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে জাহাজগুলি কফার থেকে জেনোয়া এবং ভেনিস পৌঁছায়, তবে কয়েক সপ্তাহ পরই পিসাতে প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল যেটি উত্তর ইতালির প্রবেশ পথ ছিল। জানুয়ারির শেষে, ইতালি থেকে বহিষ্কৃত একটি জাহাজ মার্সেইলে পৌছায়।এই মহামারী মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল, যার ফলে গুরুতর জনশূণ্যতা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় কাঠামোর মধ্যে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটেছিল। এটি চীন থেকে ক্রিমিয়াতে কফফা নামক একটি ট্রেডিং পোস্টে মঙ্গলদের সাথে ছড়িয়ে পড়ে, যেটি জেনোয়া প্রজাতন্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেখানে থেকে রোগ, সংক্রমিত ইঁদুর থেকে নতুন ইঁদুর সংক্রমিত হয়, দক্ষিণ রাশিয়া থেকে এই অঞ্চলে রোগটি প্রবেশ করে।

১৩৪৭ সালের শরৎকাল অবধি কনস্টান্টিনোপল সাথে বন্দরের বাণিজ্যের মাধ্যমে এবং ব্ল্যাক সি এর মাধ্যমে মহামারীটি মিশরে আলেকজান্দ্রিয়ায় পৌছায়। ১৩৪৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে, পূর্বদিকে গাজা এবং উত্তর বরাবর পূর্ব উপকূলে আশঙ্কন, একর, জেরুজালেম, সিডন, দামাস্কাস, হোমস এবং আলেপ্পো সহ ছড়িয়ে পড়ে লেবানন, সিরিয়া ও প্যালেস্টাইন শহরে। ১৩৪৮-১৩৪৯ সালে, এই রোগটি আন্তিয়খে পৌঁছায়। শহরের বাসিন্দারা উত্তর দিকে পালিয়ে যায়, তবে তাদের বেশির ভাগই পালাবার সময় পথে মারা যায়।

১৩৪৯ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা সংক্রমিত হয়ে ওঠে। একই বছরেই মওসিল (মোসুল) শহরে একটি বৃহৎ মহামারি আকার ধারণ করে, এবং বাগদাদের শহর দ্বিতীয় বারের জন্য আক্রান্ত হয়।রোগের লক্ষণঃকালো মৃত্যুে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত প্রথমে এই রোগে আক্রান্ত নারী ও পুরুষ কবজি বা বগলের কোন স্থানে টিউমারের মত কোন কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করে। ধীরে ধীরে সেটি বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে এটি আপেল বা ডিমের আকৃতির মত ধারণ করে ও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কালো রঙ্গের এই ফোঁড়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়। রোগাক্রান্ত ব্যক্তি তার সারা শরীরে এটি দেখতে পায়। এক পর্যায়ে এগুলো পঁচে যায় ও পুঁজ বের হতে থাকে এবং মাত্র তিন থেকে সাতদিনের মধ্যে মৃত্যু হয় রোগীর।

প্লেগ রোগের উৎপত্তি
শিল্পীর কল্পনায় মহামারী । ফটো ক্রেডিট; Sangbadpratidin


ঐতিহাসিকদের মতে প্লেগ রোগের কারণঃ


মৃতের সংখ্যা তখনকার লিপিবদ্ধ হিসেবে কমপক্ষে সাড়ে সাত কোটি, কোনো কোনো ঐতিহাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা ২০ কোটিও হতে পারে।মধ্যযুগীয় ইতিহাস নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের অন্যতম ফিলিপ ডেইলিভার। তিনি ২০০৭ সালে লিখেছেন:‘সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে চার বছর মেয়াদি প্লেগ মহামারীতে ইউরোপের ৪৫-৫০ ভাগ জনসংখ্যা বিলীন হয়ে যায়। তবে ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় এ হিসাবের তারতম্য দেখা যায়—ভূমধ্যসাগরীয় ইউরোপ যেমন ইতালি, দক্ষিণ ফ্রান্স ও স্পেনে ৭৫-৮০ ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়; কিন্তু জার্মানি ও ইংল্যান্ডে জনসংখ্যার ২০ ভাগ প্লেগের বলি হয়।’

সরকার ও চিকিৎসক এগিয়ে আসার আগে প্লেগ সংক্রমিত হয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ফ্লোরেন্সের এক পর্যবেক্ষক এ ব্যাপারে লিখেছেন:‘মরদেহ কবর দেওয়ার জন্য বহন করা ছাড়া নাগরিকদের আর কিছু করার ছিল না। প্রত্যেক চার্চে তারা গভীর ও বিশাল গর্ত খুঁড়ে প্রায় ভূগর্ভস্থ জলসীমায় পৌঁছে যেত। যেসব হতভাগ্য দরিদ্রজন রাতের বেলা মারা যেত, তাদের জড়ো করে দ্রুত ওই গর্তে ছুড়ে ফেলা হতো। সকালে যখন দেখা যেত গর্তে বহুসংখ্যক মানুষের দেহ জমেছে, তখন কোদাল চালিয়ে তাদের ওপর মাটি ফেলে দৃষ্টির আড়াল করা হতো। কিন্তু গর্ত ভরাট করা হতো না। পরদিন আবার একইভাবে সেই মাটির ওপর ছুড়ে ফেলা হতো আরো মরদেহ, তাদের ওপর আরো লাশ- এভাবে লাশের পর লাশের আর মাটির স্তর তৈরী হতো।’


নরওয়েজিয়ান ঐতিহাসিক ওলে বেনেভিকটাও – এর মতে, প্লেগ ইউরোপের ৬০ ভাগ মানুষের মৃত্যর কারণ হয়েছিল। তিনি মনে করেন, সে সময় মূল ইউরোপীয় ভূখণ্ডে প্রায় ৮ কোটি মানুষ বসবাস করত, তাদের মধ্যে ব্ল্যাক ডেথের শিকার হয় ৫ কোটি মানুষ। তখন প্যারিসে বাস করত ১ লাখ মানুষ। ৪ বছর পর সংখ্যাটি ৫০ হাজারে নেমে এসেছিল।

১৩৩৮ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে জনসংখ্যা ছিল ১ লাখ ২০ হাজার, ১৩৫১ সালে সংখ্যাটি কমে ৫০ হাজার হয়ে যায়। জার্মানির হামবুর্গ ও ব্রেমেনে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ মানুষ প্রাণ হারায়। লন্ডনেও তাই, মৃতের সংখ্যা ৬২ হাজার। ১৩৫০ সালে জার্মানিতে বসতি ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার; শতবর্ষ পরে তা ৪০ হাজারে নেমে আসে।


অ্যাঙ্গোলা দি তুরা নামের একজন তার নিজ শহর তুসকান নিয়ে লিখেছিলেন, সিয়েনার অনেক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে বহু মরদেহ ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মরদেহের ওপর মাটির আস্তরণ তেমন পুরু না হওয়ায় সারা শহরে কুকুর বহু মরদেহ টেনে তুলেছে এবং ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে।তুরা আরও লিখেছেন, ‘আমি নিজের হাতে আমার পাঁচ সন্তানকে সমাহিত করেছি।

’রেনেসাঁ যুগের বিখ্যাত কবি পেত্রার্ক ফ্লোরেন্সে প্লেগের কারণে ভয়াবহ মৃত্যুর মিছিল দেখে উত্তর প্রজন্মের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘হে সুখী আগামী দিনের মানুষ, এমন ভয়াবহ যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা যাদের হয়নি, আমাদের এই সাক্ষ্যকে তারা রূপকথা বলে উড়িয়ে দেবে।’যার প্রেমে পড়ে পেত্রার্ক সনেট লিখতে শুরু করেছেন, সেই লরা (১৩১০-১৩৪৮) প্লেগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পেত্রার্ক ও লরার মিলন ঘটেনি।

বায়রনের স্মরণীয় উক্তি:

Think you, if Laura had been Petrarch’s wife. He would have written sonnets all his life.

প্লেগমৃত্যু মানুষের জীবন ও সংস্কৃতিকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে মধ্যযুগের শেষভাগে ‘কালো মৃত্যু’র কারণে মানুষের অনিত্যতা নিয়ে শিল্পীরা আঁকতে শুরু করেন ‘দ্য ড্যান্স অব ডেথ’—মৃত্যুর নৃত্য ও ‘ড্যান্স ম্যাকাবার’—ভয়ঙ্কর নৃত্য। নোপোলিয়ন রাশিয়া জয় করতে পারেননি, হিটলার দখল করতে পারেননি, কিন্তু ব্ল্যাক ডেথ সফল হয়েছে।


প্লেগের আতঙ্ক ও সংক্রমণের আশঙ্কা আক্রান্ত ইউরোপে পরিবার ও সমাজ কাঠামো অনেকটা ভেঙে দেয়। এ বর্ণনাটি যথার্থ: একজন নাগরিক অন্য একজন নাগরিককে এড়িয়ে বলতে শুরু করে, কোনো প্রতিবেশীও পাশের বাড়ির মানুষের দিকে তাকাতেন না, তারা পরস্পরকে পরিত্যাগ করেছিলেন। এ দূর্যোগ পুরুষ ও নারীর মন যেভাবে সন্ত্রস্ত করেছে, তাতে ভাই ভাইকে, ভাই বোনকে, বোন ভাইকে, চাচা তার ভাস্তেকে, এমনকি স্ত্রী তার প্লেগ আক্রান্ত স্বামীকে পরিত্যাগ করেছে। সবচেয়ে অবিশ্বাস্য মনে হবে, তা হচ্ছে বাবা-মাও একটি পর্যায়ের পর আক্রান্ত সন্তানের ওপর থেকে চোখ সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। 

কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ বা ওষুধ প্লেগ সারাতে পারেনি, রোগের প্রকোপ ও কষ্টও হ্রাস করেনি। প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের পাশে বহুসংখ্যক অজ্ঞ নর-নারীও ডাক্তার সেজে চিকিৎসা দিতে থাকেন, কিন্তু তাদের কেউই জানেন না রোগের কারণ কিংবা প্রতিকার। এ রোগের সহিংসতা এত বেশি—আগুন যেমন তার কাছাকাছি শুকনা কিংবা তেলসিক্ত কোনো দ্রব্যের দিকে ছোটে, এখানেও প্লেগ ছুটে যায় সুস্থ মানুষের কাছে। সংক্রমণের তীব্রতা এমন মাত্রায় যে কেবল রোগীকে স্পর্শ করা নয়, তার পোশাক কিংবা ব্যবহৃত কোনো কিছু ধরলেও রেহাই নেই—নিশ্চিত মৃত্যু ছুটে যাবে সুস্থ মানুষের কাছে। 

এমনই পরিস্থিতিতে ভয় ও অবিশ্বাস রক্তের সম্পর্ক, মানবিক সম্পর্ক, এমনকি সামাজিক সম্পর্কও ভেঙে দেয়। গুঁড়িয়ে যায় সামাজিক ও পারিবারিক কাঠামো।২০১০ সালে এই মহামারীর কিছু চিত্র তুলে ধরতে “The Black Death” চলচ্চিত্র তৈরী করা হয়।

 

প্লেগ রোগের উৎপত্তি
Black Death (film) Poster ফটো কৃতজ্ঞতাঃ মুভি

মহামারী সংকলন- ৫ (খ্রিস্টাব্দ ৫৪১-৫৪৯ জাস্টিনিয়ার প্লেগ মহামারী)


 

মহামারী সংকলন-৪ ( খ্রিস্টাব্দ ২৫০-২৭১ সাইপ্রিয়ান প্লেগ মহামারী )


 

মহামারী সংকলন-৩ খ্রিস্টাব্দ ১৬৫-১৮০ এর অ্যান্টোনিন প্লেগ মহামারী


 

মহামারী সংকলন-২ খৃষ্টপূর্ব ৪৩০ এর এথেন্সের প্লেগ মহামারী