Colorgeo

Classroom for Geology and Disaster

Spread the love

স্মার্টফোন ও কম্পিউটার আসক্তি আপনার ক্ষতি করছে না তো?

বর্তমান ডিজিটাল যুগে এসে আমরা আমাদের চিন্তা শক্তি ধীরে ধীরে কমে আসছে (ব্যবহার না করার কারণে অকেজো হচ্ছে)। কারণ বর্তমানে স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে বর্তমানে সব কিছু সহজেই পাওয়া যায়। যেমন ৮৯ এর ৭৯ যোগ করতে বললে আমরা হাতের কাছের স্মার্টফোন খুঁজতে থাকি। যদিও আই সহজ যোগ আমরা নিমিষেই করতে পারি যেমন ৮৯ কে ৯০ ধরে ৭৯ কে ৮০ ধরে ৯০+৮০=১৭০ থেকে ২ বাদ মানে ১৬৮ উত্তর ।

অতি সহজ তাই না কিন্তু আমরা  কি কখন এমন ভেবেছি। আমরা আমাদের ব্রেন তাকে কাজে লাগাই না । বরং স্মার্টফোন খুঁজতে থাকি এবং কখন কখন সংসারে অশান্তি ও দেখা দেয় এই সব পরিস্থিতিতে । যেমন দ্রুত হাতের কাছে মোবাইল টা নাই এখন যোগ করতে হবে। তাই উচ্চ স্বরে ডাকলাম আমার মোবাইলটা কোথায় ?

স্মার্টফোন

এভাবে আমরা কত না নিজেদের ক্ষতি করছি। প্রযুক্তির আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের মেধা শক্তি কেড়ে নিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা কিন্তু তাদের নিয়োজিত রেখেছে তাদের কাজে । কিন্তু আমরা তো সাধারণ মানুষ আমারও বিজ্ঞানী হতে পারতাম দার্শনিক হতে পারতাম ? কিন্তু আমাদের চিন্তা না  করার  মানসিকতা আমাদের অজান্তেই ক্ষতি করছে।

কখন কি আপনি ভেবেছেন?

স্মার্টফোন ক্ষতি করছে, এখন কি করবেন ? সমাধান কি?

সমাধান হল,  আজই স্মার্টফোন তা দুরে রাখুন । প্রয়োজনে অন্য ফোন ব্যবহার করুন। যাতে আপনি আসক্তি থেকে মুক্তি পান। যাতে নিজের বুদ্ধি, চিন্তা শক্তি আবার আপনার নিজের মধ্যে ফিরে আসে।  অবশ্যই আপনি স্মার্ট ফোন বা প্রযুক্তির সাহায্য নিবেন তাই বলে অতি সহজ কোন বিষয়ে নয়.

প্রযুক্তি ছাড়া আমরা একদিন ও চলতে পারব না। কারণ প্রযুক্তি এখন আমাদের পুরনো সব কিছুকে অকেজো করে দিচ্ছে। একটা সময় আসবে যখন মলাটের বই পত্র কিছু থাকবে  না । খাতা পত্র সব হবে ডিজিটাল। কম্পিউটারের সাহায্যে অনলাইনে করতে হবে। ভারী বই পত্র বয়ে নিয়ে বেড়ানো লাগবে না। সবকিছুই আপনার ব্যক্তি গত অনলাইন আকাউন্টে থাকবে। যখন খুশি পড়তে পারবেন যা ইতি মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। গুগল ড্রাইভে থাকবে সব। তাই প্রযুক্তির ব্যবহার আপনাকে জানতে হবে। তা না হবে আপনি পিছিয়ে পড়বেন । সবাই যখন ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মেলাবে আপনি পড়বেন বিপদে। তাই প্রযুক্তি র ব্যবহার ও শিখতে হবে। এটা যুগের চাহিদা।

আপনি প্রস্তুত আছেন তো?

তবে প্রযুক্তি আমাদের ক্ষতিও করবে যেমন আপনার চিন্তা শক্তি কমাতে পারে। আপনার ব্রেন টাকে কাজে না লাগানর জন্য এমন টা হবে। যেমন অনলাইনে সহজেই সব কিছু পেয়ে যাবেন । নতুন কিছু সৃষ্টি করার মানসিকতা আপনার চলে যাবে। যদি আপনি জ্ঞান  সৃষ্টিতে দায়িত্বশীল ব্যক্তি না হন। এতে আপনি অন্যের সৃষ্টি করা জ্ঞান বিজ্ঞান ধার করে নিয়ে চালিয়ে দিবেন। নিজে কিছু সৃষ্টি করার ইচ্ছা থাকবে না। তাই সাবধান হন। প্রযুক্তি যেন আপনাকে পেয়ে না বসে। প্রযুক্তি একটা নেশা। যেমন কম্পুইটারে বা স্মার্ট ফোনের স্ক্রিন আসক্তি। এটা আপনাকে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা সুময় নষ্টও করতে ক্ষমতা রাখে। ফেসবুক সহ যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে সাবধান হন।

 

আপনার পরিবারের সন্তান স্ত্রী র মানসিক ও শরীরের প্রতি প্রভাব ফেলতে পারে। অতি প্রযুক্তির ব্যবহারে চোখের ক্ষতি হতে পারে। মন মানসিকতার পরিবর্তন হতে পারে। নিজের দায় দায়িত্ব সম্বন্ধে উদাসীন করে ফেলতে পারে অজান্তে।

বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত উপন্যাসিক ও বিজ্ঞান লেখক ড. জাফর ইকবাল তার বিভিন্ন বক্তৃতায় প্রযুক্তির অতি ব্যবহার সম্বন্ধে সচতেন হতে বলেছেন। তিনি নিজেও  স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন না। কিন্তু কেন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন আসবে। কারণ একটাই তিনি চিন্তাবীদ । তিনি তার কাজে প্রযুক্তির অতি ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা দেখাছেন বা উপলদ্ধি করেছেন। তাই আজই  সচেতন হন।

আমরা প্রতি দিন ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করি। আর প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কিছু বাছাই করা বিরহ বেদনা দুর্ঘটনা হত্যার খুন অসামাজিক কর্ম কাণ্ড দেখতে পাই এভাবে আমাদের মনের উপর প্রভাব ফেলে। সারা দিন আমাদের মনের উপর ঐ প্রভাব ক্রিয়াশীল থাকে যাতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে। আমরা কখন এর প্রভাব উপলদ্ধি করি না। কিন্তু এর কু প্রভাব সত্যি ক্রিয়াশীল মন্দ ভাবে। তাই আজই স্মার্ট ফোন দুরে রাখুন অথবা অধিক সচেতন হন। আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক সৃষ্টিশীলতা জেগে উঠবে।