৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন ও স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই করনীয় টিপস
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন: ত্বক আমাদের শরীরের সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ অঙ্গ বিশেষ করে মেয়েদের কাছে এবং যারা সৌন্দর্য সচেতন। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে সুন্দরী মেয়েরা একটা যোগ্যতা নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেছে তা হল তাদের সৌন্দর্য। তাই বয়স বেড়ে গেলে বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন নেয়া আমাদের অবশ্য কর্তব্য। তাই কিভাবে যত্ন নিবেন আজকের বিষয় হল মেয়েদের ৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন।
৩০ বছর বয়সের পর ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ এই সময় থেকে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া শুরু হতে পারে। তবে সঠিক যত্নের মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বককে সুন্দর ও তরুণ রাখতে পারবেন।
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন: গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সানস্ক্রিন ব্যবহার: সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এমনকি ঘর থেকে বের হওয়ার আগেও সানস্ক্রিন লাগান।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে দিনে দুইবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ময়শ্চারাইজার এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ফল, শাকসবজি, এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খান। এটি আপনার ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের জন্য খুবই জরুরি। ঘুমের সময় ত্বক নিজেকে মেরামত করে।
ক্লিনজিং: দিনের শেষে মেকআপ এবং ময়লা দূর করতে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
সিরাম ব্যবহার: এন্টি-এজিং সিরাম ব্যবহার করে বলিরেখা এবং ফাইন লাইন কমাতে পারেন।
আই ক্রিম: চোখের নিচের কালো দাগ এবং ফুলে যাওয়া কমাতে আই ক্রিম ব্যবহার করুন।
রাতে মাস্ক: সপ্তাহে একবার ফেস মাস্ক ব্যবহার করে ত্বককে পুষ্টি জোগাতে পারেন।
ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ: কোনো ত্বকের সমস্যা হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
৩০ বছরের পর ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় মাথায় রাখুন:
ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকুন।
ত্বকে হাত না দেওয়ার চেষ্টা করুন।
স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ত্বককে সুন্দর এবং তরুণ রাখতে পারবেন।
আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্য এবং চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিতে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
আপনার জন্য সঠিক ত্বকের যত্নের রুটিন তৈরি করতে এই তথ্যগুলি কাজে লাগবে আশা করি।
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন করতে যে সকল অভ্যাসগুলো বর্জন করতে হবে :
•ধুমপান, মদপান, দুধ- চিনি দিয়ে চা পান, পান, সুপারী, সাদা, জর্দা, যেকোন ধরনের নেশাযাতীয় মাদক জাতীয় জিনিস থেকে দুরে থাকা ।
• চিনি জাতীয় সকল কিছু থেকে দুরে থাকা যেমন জুস, কোল্ড ড্রিংকস, কোমল পানীয় এগুলো থেকে একশো হাত দুরে থাকা; যেখানে সামান্য চিনি সেখানেই রোগ মনে রাখবেন যত মিঠা তত তিতা ।
• ভাঁজা, পোড়া খাবার, আর দোকানের বা হোটেলের খাবার, ফাস্ট ফুড, পিজা, আইসক্রিম চকলেট এমনকি দধিও ।
• বার বার খাওয়া, বেশী বেশী দু:শ্চিন্তা পরিহার করা
• নিজেকে খুব বেশী চ্যালেন্জে ফেলে দেয়া
• খুব বেশী সিরিয়াস হওয়া স্যোশাল মিডিয়াতে বেশী বেশী এ্যাকটিভ থাকা
• Online games খেলা যেগুলোতে কোন শারীরিক পরিশ্রম হয় না ।
• রাত জাগা পরিহার করতে হবে অবশ্যই ।
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন করার জন্য
যে সকল অভ্যাস অর্জন করতে হবে :
• না খেয়ে থাকা :রোজা রাখা বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
• ওজন বাড়তে না দেয়া
• নিয়মিত হাটা,জগিং, যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন করা
• প্রচুর শাক সব্জী খাওয়া,পর্যাপ্ত পানি পান করা, কচি ডাবের পানি পান করা
• ভালো চর্বি খাওয়া যেমন, অলিভ ওয়েল, নারকেল তেল সামুদ্রিক মাছ, মাখন, ঘি, বাদাম, ডিম (কুসুম সহ)
• শর্করা খাবার খুবই অল্প পরিমানে গ্রহন করা
• পর্যাপ্ত ঘুমানো, আর রিলাক্স থাকা, প্রশান্ত থাকা
• বিভিন্ন খেলাধুলা করা যেগুলোতে শারীরিক পরিশ্রম হয় যেমন, ফুটবল,ক্রিকেট,ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি
• সম্ভব হলে সাঁতার কাটা, সাইক্লিং করা দৌড়ানো। কৃতজ্ঞতাঃ ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির পোষ্ট
অতিরিক্ত টিভি সিরিয়াল না দেখা বিশেষ করে ভারতীয় টিভি সিরিয়াল। হিংসা কূটনীতি অবিশ্বাস সন্দেহ পারিবারিক কলহ সৃষ্টিতে সেরা।
৩০ বছর বয়সে ওজন কত হওয়া উচিত?
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন নিতে ওজন কত হওয়া উচিত, তা আপনার উচ্চতা, শারীরিক গঠন এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে। কোনো নির্দিষ্ট ওজনকে সবার জন্য সঠিক বলা যাবে না।
বিএমআই (BMI) ব্যবহার:
আপনার ওজন স্বাস্থ্যকর কিনা তা নির্ণয় করার জন্য সাধারণত বিএমআই (Body Mass Index) ব্যবহার করা হয়। বিএমআই হল আপনার ওজন এবং উচ্চতার অনুপাত।
স্বাভাবিক বিএমআই: ১৮.৫ থেকে ২৪.৯
অতিরিক্ত ওজন: ২৫ থেকে ২৯.৯
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মাত্রায় অতিরিক্ত ওজন: ৩০ বা তার বেশি
অন্যান্য বিবেচ্য বিষয়:
শারীরিক গঠন: কিছু মানুষের শারীরিক গঠন অন্যদের চেয়ে বেশি মাংসপেশীযুক্ত হতে পারে। ফলে তাদের ওজন বেশি হওয়া স্বাভাবিক।
শারীরিক সক্রিয়তা: নিয়মিত ব্যায়ামকারী ব্যক্তির ওজন বেশি হলেও তিনি সুস্থ থাকতে পারেন।
স্বাস্থ্য সূচক: ওজনের পাশাপাশি শরীরের চর্বির পরিমাণ, কোমরের পরিধি, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা ইত্যাদি স্বাস্থ্যের অন্যান্য সূচকও গুরুত্বপূর্ণ।
কেন ওজন নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ:
অতিরিক্ত ওজন বা স্বল্প ওজন উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য অনেক মানুষ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কী করণীয়:
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ফল, শাকসবজি, পুরো শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মধ্যম তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ: আপনার ওজন এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তিত হলে কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বয়স ৩০ হলে করণীয়ঃ
৩০ বছর বয়স একটি মাইলফলক। এই বয়সে আপনি হয়ত অনেক কিছু অর্জন করেছেন, অনেক কিছু শিখেছেন। এই বয়সে জীবনকে আরও সুন্দর ও সার্থক করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
স্বাস্থ্য:
সুস্থ খাবার: ফল, শাকসবজি, পুরো শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মধ্যম তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
নিয়মিত চেকআপ: বার্ষিক চেকআপ করানো জরুরি।
কর্মজীবন:
ক্যারিয়ার গড়া: আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।
নতুন দক্ষতা অর্জন: নিজেকে আপডেট রাখতে নতুন দক্ষতা অর্জন করুন।
নেটওয়ার্কিং: অন্যদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন।
সম্পর্ক:
পরিবার: পরিবারের সাথে সময় কাটান।
বন্ধু: বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন।
সঙ্গী: আপনার সঙ্গীর সাথে সম্পর্ককে আরও মজবুত করুন।
ব্যক্তিগত উন্নতি:
নতুন কিছু শিখুন: কোনো নতুন ভাষা শিখুন, কোনো নতুন হবি গড়ে তুলুন।
মনের শান্তি: ধ্যান বা যোগাসান করুন।
স্বপ্ন দেখুন: ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন দেখুন এবং সেগুলোকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করুন।
৩০ বছর বয়সে আরও কিছু বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া জরুরি:
আর্থিক পরিকল্পনা: ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করুন এবং বিনিয়োগ করুন।
সামাজিক দায়িত্ব: সমাজের জন্য কিছু করুন।
আত্মবিশ্বাস: নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।
৩০ বছর বয়সে ত্বকের সমস্যা ও যত্নঃ
৩০ বছর বয়সে ত্বকের সমস্যা একদম স্বাভাবিক। এই সময় থেকেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া শুরু হতে পারে। তবে সঠিক যত্নের মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বককে সুন্দর ও তরুণ রাখতে পারবেন।
৩০-এর পর ত্বকে কেন সমস্যা দেখা দেয়?
কোলাজেন কমে যাওয়া: বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও ঝুলে পড়তে পারে।
হরমোন পরিবর্তন: হরমোনের পরিবর্তনের ফলে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন মুখে দাগ, ব্রণ ইত্যাদি।
পরিবেশ দূষণ: ধূলাবালি, ধূমপান ইত্যাদি পরিবেশ দূষণ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
অপর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ত্বক ক্লান্ত ও ম্লান দেখায়।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চিনি, চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
৩০-এর পর ত্বকে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
শুষ্কতা: ত্বক শুষ্ক হয়ে ফাটতে পারে।
বলিরেখা ও ফাইন লাইন: চোখের কোণে ওঠা, নাকের পাশে ছোট ছোট ভাঁজ ইত্যাদি।
কালো দাগ: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, ব্রণ ইত্যাদির কারণে ত্বকে কালো দাগ দেখা দিতে পারে।
মুখের রং একরঙা না হওয়া: ত্বকের রং একরঙা না হয়ে ফর্সা-কালো হতে পারে।
ত্বকের টান কমে যাওয়া: ত্বক ঝুলে পড়তে পারে।
ব্রণ: কিছু ক্ষেত্রে ৩০-এর পরও ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩০ বছর বয়সে শুষ্ক ত্বকের যত্ন
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্নঃ শুষ্ক ত্বক
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার: দিনে দুইবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভারী ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
গ্লিসারিন ব্যবহার: গ্লিসারিন ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করুন: কঠিন সাবানের পরিবর্তে হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
গরম পানির পরিবর্তে গুনগুনে পানি ব্যবহার করুন: গরম পানির পরিবর্তে গুনগুনে পানি ব্যবহার করে গোসল করুন।
প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন: অলিভ অয়েল, নারকেল তেল ইত্যাদি ত্বকে আর্দ্রতা যোগাতে সাহায্য করে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বককে আরও শুষ্ক করে তোলে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান: ফল, শাকসবজি এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খান।
পর্যাপ্ত ঘুম নিন: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের জন্য খুবই জরুরি।
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন: শীতকালে ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
৩০ বছর বয়স হলে শুষ্ক ত্বকের জন্য ঘরোয়া উপায়:
দুধ: দুধে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। দুধ দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক ময়শ্চারাইজড হয়।
মধু: মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ত্বককে মেরামত করতে সাহায্য করে। মধু এবং দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক ময়শ্চারাইজড হয়।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন ই রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী। অ্যাভোকাডো ম্যাশ করে মুখে লাগালে ত্বক ময়শ্চারাইজড হয়।
এলোভেরা: এলোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে শীতল করে এবং ময়শ্চারাইজ করে।
৩০ বছর বয়স হলে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্নঃ তৈলাক্ত ত্বকে
দিনে দুইবার মুখ ধোয়া: তৈলাক্ত ত্বককে দিনে দুইবার হালকা ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টোনার ব্যবহার: টোনার ত্বকের pH লেভেল বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে পরিষ্কার করে।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বা লোশন বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
এক্সফোলিয়েট করুন: সপ্তাহে দুইবার স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করে মৃত কোষ দূর করুন।
মাস্ক ব্যবহার করুন: সপ্তাহে একবার মুখে মাস্ক লাগান। কাদা মাস্ক তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান: ফল, শাকসবজি এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খান।
পর্যাপ্ত ঘুম নিন: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের জন্য খুবই জরুরি।
স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন: ধ্যান বা যোগাসান করুন।
ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ: যদি আপনার তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে কোনো ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
৩০ পরবর্তী তৈলাক্ত ত্বক হলে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন নিবেন কিভাবে?
লেবুর রস: লেবুর রস ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতা: তুলসী পাতা ত্বকের জন্য উপকারী। তুলসী পাতার রস মুখে লাগালে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে যায়।
বেসন: বেসন ত্বকের তৈলাক্ততা শোষণ করে। বেসন, দই এবং হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক পরিষ্কার হয়।
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন নিতে অবশ্যই নিজেকে ভালবাসুন সবার আগে। আপনি যদি ধূমপান করেন তবে আগে সেটা পরিত্যাগ করুন কারণ ধূমপান করলে সিগারেটের ধোয়া আপনার মুখে ঠোটে লেগে আপনার ত্বকের রং কালো করে দিবে। তাই ধূমপান পরিহার করুন আর প্রতিদিন স্নান করুন। রৌদ্রে যাবেন না গেলেও ছাতা ব্যবহার করুন। আশা করি ৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন শীর্ষক লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে।
কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
লেখক পরিচিতিঃ
রমন কুমার
ইমেইলঃ ranangobiswas@gmail.com
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
রাসেল ভাইপার কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে