মনুষ্য সৃষ্টি ও আদিম পৃথিবীঃ সংক্ষিপ্ত
আধুনিক মানব জাতির অস্তিত্বের প্রমান মিলিয়ন বছর আগে এই পৃথিবীতেই পাওয়া যায়। প্রাথমিক প্রমান পাওয়া যায় বিভিন্ন ভাবে যেমন, ফসিল, মাথার খুলি, ও মানুষের হাড়ের খণ্ডাংশ থেকে। এটা সাধারণত মন করা হয় যে, ফসিল শুধুমাত্র সাধারন ও অনুমান নির্ভর প্রমান দেয়।
বিজ্ঞানিদের এখন অনেক নিখুত পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে ঐ সব পুরন ফসিল বা পরিবেশগত তত্ত বাবহার করে নির্ভুলভাবে প্রকৃত সত্য বের করে আনা সম্ভব। আধুনিক ফরেনসিক সাইন্স ও প্রযুক্তি বাবহার করে একটা বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য ঘটনা বের করে আনা যায়। আমাদের আধুনিক মানব জাতির পূর্বসূরীরা যে কত হাজার বছর আগে এই পৃথিবীতে বসবাস করত।
ফিরে দেখাঃ
পৃথিবী সৃষ্টির সময় থেকে আজ পর্যন্ত বহু মিলিয়ন বছর পার হয়েছে, আর এই পৃথিবী নিয়ে গবেষণা করার জন্যই ভু তত্ত নামক বিষয়টির অধ্যয়ন শুরু হয়েছে। ভু তত্ত বিধ দের কাছে এখন আগের তুলনায় অনেক নিখুত প্রমান রয়েছে মিলিয়ন বছর ধরে কিভাবে পৃথিবী তার ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন সাধন করেছে আর এই ঘটনা গুলোর সঠিক সময় পৃথিবী পৃষ্ঠে বিদ্যমান প্রাগৈতিহাসিক পাথর গুলো থেকে নির্ভুল ভাবে নির্ণয় করা সম্ভব।
অতীতের সময় (জিওলজিক সময়)
মহাশুন্যে বিগ ব্যাঙ থেকে বিচ্ছুরিত কনা গুলো ঘনীভূত হওয়ার মাধ্যম আজ থেকে ৪৬০ কোটি বছর আগে আমদের এই নীল পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল। অবাক লাগে তাই না? এত কাল আগে এই পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল? হ্যাঁ এটা এখন সর্বজন সিদ্ধ একটা সত্য।
প্রথমে সমস্থ গ্রহটা ছিলও গলিত, কোন বাতাস, পানি ছিল না। ৫ কোটি বছর পর, পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং পৃথিবী পৃষ্ঠে কঠিন পাথর সৃষ্টি হয়। পাথর সৃষ্টির প্রক্রিয়া তা খুব ই সাধারন ও সহজ। গলিত অংশ টা মুলত বর্তমানে পৃথিবীর গভীরে অবস্থিত ম্যাগমা যাকে ভু গর্ভ থেকে উদ্গিরিত হয়ে ভু পৃষ্ঠে বের হয়ে আসলে লাভা বলে।
এরপর আরও অধিক তাপ কমে গেলে ধীরে ধীরে মহা সাগর সৃষ্টি হয়। পৃথিবীতে প্রথম আণুবীক্ষণিক জীব ৩৬০ কোটি বছর আগে সৃষ্টি হয়। তার পরের ৩০০ কোটি বছরে সৃষ্ট প্রাণী মুলত খুব সাধারন মানের ছিল। যেমন, এক কোষী প্রাণী থেকে শুরু করে সাধারন দৃশ্যমান প্রাণী। এর একটা উদাহরণ হল, ট্রাইলবাইট। এই ট্রাইলবাইট প্রাণীটা অধিক সংখ্যক বিদ্যমান ছিল তরকালীন সমুদ্রে। এবং ঐ সময় টাকে বলা হয় প্রিকাম্ব্রিয়ান সময়।
অর্থাৎ পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে ৫৫ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত সময়কে প্রিকাম্ব্রিয়ান সময় বলা ৫৫ কোটি বছর থেকে আজ অবধি সময় টাকে বলা হয় প্যালিওজোইক সময়। এই প্যালিওজোইক সময়ের ইতিহাস মানুষ অধিক বিস্তারিত ভাবে জানার সুযোগ পেয়েছে এর একটা কারন হল এ সময়ে ভু পৃষ্ঠে ও পাথরের মধ্যে মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ এর উপস্থিতি যাকে বলে ফসিল।
এই ফসিলের উপস্থিতই পূর্বের সময়কে আমাদের সামনে তুলে আনে কি কি প্রাণী ছিল ও কোন পরিবেশে তারা বাসবাস করত, ইত্যাদি। এই ফসিল এর সাহায্যেই বিজ্ঞানীরা প্রথম জিওলজিক টাইম স্কেল তৈরি করেছিল যা এখন আরও আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত ও নিখুত হয়েছে।
More Stories
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪
রাসেল ভাইপার কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে