Colorgeo.com

Disaster and Earth Science

Motivation Speech:জীবন সাজানোর ১টিই উপায়

Spread the love

Motivation Speech: জীবন সাজানোর ১টিই উপায়ঃ ৫টি ধাপে

যেকোনো ইমারত নির্মাণে আমারা কতই না পরিকল্পনা করে থাকি যাতে এটা টিকসই হয় অথবা দেখেতে খুব সুন্দর হয়। যেকোনো পণ্য উৎপাদনেও আমরা অনেক সচেতন থাকি যাতে এর  মান ও পণ্যের বিজ্ঞাপনের ডিজাইন টা খুব সুন্দর হয় । সব কিছুই করি আমরা আমাদের পার্থিব জগতের অবকাঠামো বা পণ্যের মান বৃদ্ধির জন্য ।

এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের কে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে চাই অথবা উন্নত করেতে চাই। কিন্তু আমরা কখন কি ভাবেছি যে আমরা আমাদের নিজেদের জীবনের ডিজাইন কেন করি না যাতে আমরা আরও সুন্দর ভাবে আমাদের জীবন টাকে সাজাতে পারি!

সুন্দর জীবনের জন্য জীবনের ডিজাইন করা কি উত্তম নয়? আজ আমি সে বিষয়েই  একটি Motivation Speech দিতে চলেছি । আসা করি কাজে লাগবে।

Motivation Speech: বিস্তারিত

আমাদের জীবনের ডিজাইন কে সবার আগে করা উচিত। শুধু জীবনের জন্য। আমরা যারা জীবন চলার পথে দিশা খুঁজে পাই না । জীবনের অর্থ খুঁজে পাই না। তাদের জন্য তো বটেই সবার জন্যই জীবনের একটা ডিজাইন করা দরকার। শুধু ইমারত বা অবকাঠামো নয়।

 

আমি দীর্ঘ দিন যাবত জীবনের জন্য একটা ডিজাইন খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছি অথবা বলতে পারেন জীবনের জন্য একটা ডিজাইন করার চেষ্টা করেছি। আমি অনুধাবন করেছি যে এটা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ আমার জন্য।

এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন জীবনের জন্য আবার ডিজাইন সেটা আসলে কি?

আজ আমি সেই কথাটাই বলতে চলেছি। This is my Motivation Speech for today for you.

 

শৈশব থেকে আমরা কি হতে চেয়েছি? আমার মনে হয় সবাই কিছু না কিছু কিছু হতে চেয়েছি। এই যেমন কেউ হতে চেয়েছে বড় কোন ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বা রাজনীতিবিদ, কেউবা বিজ্ঞানী। কেউ আবার  প্রচুর অর্থের মালিক, কেউ বা বিশ্ব বিখ্যাত মডেল, কেউ বা বড় কোন গবেষক ইত্যাদি। কিন্তু এসব কি আমরা এমনি এমনি হতে পারবো? অবশ্যই না ।

এর জন্যই একটা পরিকল্পনা দরকার। এর জন্য আমাদের জীবনকে সাজাতে হবে যাকে আমি বলছি লাইফ কে ডিজাইন করা। তবেই না আমরা সূউচ্চ ইমারত এর মত ধীরে ধীরে আমাদের জীবনকে সূউচ্চে পৌছাতে পারবো।

Motivation Speech

আমরা জীবন চলার পথে সাধারণত তিনটা কাজ করে থাকি তা হলঃ

 

১। আমাদের কোন নির্দিষ্ট  আবেগময় কাজে থাকে না  বা প্যাশনাবল জব নাইঃ

 

আমরা যখন কাউকে জিজ্ঞাসা করি আপনার সব থেকে পছন্দের কাজ কি যা আপনাকে সব থেকে আনন্দ দিবে? উত্তরে ১০ জন মানুষের মধ্যে ৮ জন ই বলবে আমার তো সব ই ভাল লাগে। এই যেমন গান কে পেশা হিসাবে নেয়া, কম্পিউটারে কোডিং করা অথবা ভিডিও এডিটিং করা।

অথবা কেউ বলবে আমার নির্দিষ্ট কোন পছন্দ নাই যা নিয়ে আমার কাজ করতে ভাল লাগে। অর্থাৎ আমরা একটা গোলক ধাঁধার মধ্যে আছি। কোন বিষয়ে আমি ফোকাস করব?   আমরা নিজেই জানি না । কিসের উপর ভিত্তি করে আমি জীবনকে ডিজাইন করব?

 

একবার ভাবুন তো একটা ইমারত তৈরি করলেন, যেখানে ইমারতের নিচের তলা তৈরি করলেন নুড়ি বা খড় কুটো দিয়ে, তার পরের তলা কাঠের গুড়ি দিয়ে আর  তার উপরের তলা দিলেন কংক্রিট দিয়ে তাহলে কি আপনার তৈরিকৃত ইমারত মজবুত হবে? নিশ্চয়ই ভেঙ্গে পড়বে ।

তাই আমাদের যেকোনো একটা বিষয় নির্বাচন করতে হবে। হয় নুড়ি পাথর দিয়ে বানাবেন, অথবা কাঠের বাড়ি অথবা কংক্রিট দিয়ে বাড়ি বানাবেন। কখনই বিভিন্ন জিনিসের মিশ্রণ ভাল কিছু বয়ে আনবে না। আমাদের জীবনের ডিজাইন ও তেমনি করতে হবে। যেকোনো একটা আবেগময় কাজ খুঁজে বের করুন। আর কাজে লেগে পড়ুন।

 

২। দ্বিতীয় যে কাজ টা আমরা করি সেটা হল আমরা যেকোনো কাজ দেরিতে শুরু করি। এখন কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় আপনার কি কোন নির্দিষ্ট প্যাশন আছে হয়ত বলবে না, এখন নাই তবে পরে খুঁজে নিব এবং দ্রুত কাজ শুরু করব।

তার মানে আপনি ইতিমধ্যেই দেরি করে ফেলেছেন জীবনের ডিজাইন করার জন্য। কারণ আপনি এখনও শুরুই করেন নি। তাহলে প্রশ্ন হতে পারে যে আপনি কি আপনার শত ভাগ উজাড় করে দিচ্ছেন কোন কাজে?

 

৩। আমরা জানি ভাল থেকে “অধিকতর ভাল” হল বেশি ভাল । “অধিকতর ভাল” থেকে সর্বোৎকৃষ্ট ভাল হল ভালদের সেরা। এখন আপনি যদি “অধিকতর ভাল” হয়ে থাকেন তবে আপনার অনেক গুলো অপশন রয়েছে যে আপনি সেগুলোর মধ্যে কোনটাকে বেছে নিবেন।

কিন্তু সর্বোৎকৃষ্ট ভাল টাই হল আপনার লক্ষ্য। যেখানে একটাই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। তাহলে কেন আপনি সেটা করবেন না?

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম যে  আমরা বর্তমানে আসলে কি কি করি। 

এখন আমরা আলোচনা করব কোন ৫ টি বিষয় আমাদের করা উচিত জীবনের ডিজাইনের জন্য।

 

আইডিয়া ১ঃ গুপ্তবিন্দু গুলোকে সংযুক্ত করুন।  

আপনার জীবনের তিনটি গুপ্ত বিন্দু রয়েছে যেগুলোকে আপনি সংযুক্ত করতে পারেন । এতে আপনার জীবন পথের ডিজাইন তৈরিতে আরও সহায়ক হবে। 

প্রথম বিন্দু হলঃ আপনার বর্তমান অবস্থা। আপনার বর্তমান যোগ্যতা, কর্ম পদ্ধতি এবং  লক্ষ্য। 

দ্বিতীয় বিন্দু হলঃ আপনার বিশ্বাস । জীবন সম্বন্ধে বিশ্বাস। আপনি কি জীবনের লক্ষ্যকে পূরণ করতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন? যদি পারবেন বলে বিশ্বাস করেন তবে আপনার তৃতীয় বিন্দু  হল আপনি কি কি করবেন?

তৃতীয় বিন্দু হলঃ আপনার কর্ম পদ্ধতি ও কি কি করবেন বলে মনস্থির করেছেন আপনার বিশ্বাসী লক্ষ্য পূরণে। 

 

আপনি যখন এই তিনটি বিন্দুকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন তবে আপনার জীবনের ডিজাইন এর পথে প্রথম ধাপ পার হতে পারবেন। আপনার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এতে পূরণ হবে।

অর্থাৎ জীবন সম্বন্ধে আপনার ধারনা কি? কেন আপনি এখানে এসেছেন। কি উদ্দেশ্য আছে জীবনে আপনার ? আপনার কাজ কেন গুরুত্বপূর্ণ পৃথিবীর জন্য, না আপনার নিজের জীবনের জন্য। কেন আপনি কাজ করবেন ? এসব প্রশ্নের উত্তর আপনি পেতে পারেন যদি আপনি এই তিনটি গুপ্ত বিন্দু কে সংযুক্ত করতে পারেন।

 

আইডিয়া ২ঃ গ্রাভিটি প্রবলেম মেনে নেয়া

 

 জীবনে চলার পথে অনেক চড়াই উতরাই আসবে । কিছু কিছু সমস্যা আসবে যা কখনই আপনি উতরাতে পারবেন না । যেমন যদি এমন হয় আপনার অফিসের বস একজন পারিবারিক ভাবে নির্বাচিত কোম্পানির প্রধান ব্যক্তি সেক্ষেত্রে কখনই আপনি অফিসের বস CEO হতে পারবেন না কারণ ওই পদটা পারিবারিক ভাবে নির্ধারিত।

এরকম আরও হাজার সমস্যা আছে যেগুলো আপনি কখনই সমাধান করতে পারবেন না । সে ক্ষেত্রে ওই ধরনের সমস্যা গুলোকে বলা হয় গ্রাভিটি প্রবলেম। এই গ্রাভিটি প্রবলেম কে মেনে নেয়া শিখতে হবে। এটা কে মোকাবেলা না করে মেনে নিন।

আইডিয়া ৩ঃ সর্বদা তিনটি প্লান প্রস্তুত করে রাখুন

 

যেকোনো কাজে আপনি সর্বদা তিনটি প্লান প্রস্তুত করে রাখুন। 

প্রথম প্লান হল, আপনি এই মুহূর্তে যদি কিছু করতে থাকেন জাস্ট চালিয়ে যান । থামাবেন না ।  যদি এই পরিকল্পনা কাজ না করে তবে পরবর্তীটা সংযুক্ত করুন। এবং আমরা যাকিছু পরিকল্পনা  করি সেটা ভালর জন্যই করি কারণ আমার কখনই কোন কিছু খারাপ হবে ভেবে পরিকল্পনা করি না।

তাই সবশেষে শেষ পরিকল্পনা টা কাজে লাগান যদি পূর্ববর্তী গুলো কাজ না করে। অর্থাৎ আমরা সব সময় তিনটি প্লান প্রস্তুত করে রাখব যেকোনো কাজ শুরু করার আগে।

আইডিয়া ৪ঃ প্রোটোটাইপ দিয়ে কাজ শুরু

 

যখন আপনি কোন কাজ বা আইডিয়া খুঁজে পেলেন তখন আপনাকে সেটা নিয়ে ভাবতে শেখাবে। সাধারণত আমরা নতুন কোন কিছু শুরু করার আগে আমরা ভাবি এবং প্রশ্ন করি এটাই  কি আমি চেয়েছিলাম?  নতুন কিছু শুরু করতে গেলে আমরা গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে আমরা ভাবতে থাকি এবং কাজে লেগে পড়ি। এবং সঙ্গোপনে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়তে লেগে পড়ি। 

আমরা প্রোটোটাইপ আইডিয়াকে  সাধারণত দুইটা উপায়ে পেতে পারি।

উপায় ১ঃ প্রোটোটাইপ আলোচনা

আমাদের ভবিষ্যৎ বর্তমানেই রয়েছে কিন্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে , সেগুলোকে জড়ো করতে হবে নিজের জন্য । আমরা আমাদের জীবনে সফলতার জন্য সফল ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে আসতে পারি কারণ আমরা যদি আমাদের আশে পাশে এমন কাউকে দেখি যে ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে তবে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের প্রতি আমাদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে।

তাই মনে মনে যদি সেই সব সফল ব্যক্তিদের জীবনের গল্প আমরা শুনতে পারি এবং আমাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে নেই এবং আমরা সে ভাবে কাজ শুরু করি তবে এটা হতে পারে ভাল একটা শুরু। কোন নতুন কোন সফলতার উপায় পাবার জন্য । আমাদের জীবনের সাথে মিশে যায় এমন কোন সফলতার গল্প। এভাবে কোন নতুন উপায় খুঁজে পাওয়াকে বলে প্রোটোটাইপ আলোচনার মাধ্যমে উপায় খোঁজা। 

উপায় ২ঃ প্রোটোটাইপ অভিজ্ঞতা

আমি নিজে একটা নতুন কিছু শিখব বলে পরিকল্পনা করলাম। এখন আমার বয়স ৪০ বছর। কিন্তু আমাকে শিখতে হলে আমার থেকে বয়সে অনেক ছোট স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে ক্লাস করতে হবে । আমি এটা শুনে একটু দ্বিধান্বিত হলাম ।

এবং ভাবলাম তাহলে কি আমি শিখতে পারবনা? কারণ আমি কি মানসিকভাবে পারবো ওই ছাত্র ছাত্রীদের সাথে এক ই ক্লাসে বসে ক্লাস করতে ? এটা ভেবে আমি সংশয়ে ছিলাম তখন আমার সিনিয়র কলিগ বলল যে তুমি অন্তত ক্লাসে যাও, সেখানে গিয়ে তুমি তখন সিদ্ধান্ত নেবে যে ক্লাস করবে কি করবে না।

আমি যথারীতি গেলাম এবং বয়সের পার্থক্য হলেও আমি সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলাম এবং আমার মধ্যে ওই সংশয় আর থাকল না । আমি মিশে গেলাম। আমি ঠিক ই নতুন একটা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলাম। অর্থাৎ আমি বলতে চাই যে আমরা যদি কোন কিছু অর্জন করতে চাই অভিজ্ঞতা দিয়েও সেটা শুরু করতে পারি যে আমি সফল হতে পারবো কিনা। আমি যদি শুধু বয়সে ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে ক্লাস করার কথা ভেবে আমি পিছিয়ে আসতাম তবে কি আমি কখনই শিখতে পারতাম ? উত্তর হলো না।

 

তাই আমদের বাস্তবতা আমাদের মস্তিষ্কের চিন্তার থেকেও বেশি কিছু।

 

আইডিয়া ৫ঃ সঠিক নির্বাচন

আমরা আমাদের জীবনে বহু কিছু করে থাকি , বহু কিছু পছন্দ হয়। কিন্তু কোনটা আমাদের জন্য সব থেকে ভাল সেটা আমরা বুঝে উঠতে পারি না । এটা আসলে একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা । আমাদের চারিপাশের বেশিভাগ মানুষেরই এই একই সমস্যা রয়েছে ।  এই সমস্যা থেকে বের হবার জন্য একটা উপায় রয়েছে। 

ধাপ ১ঃ আপনার সমস্ত পছন্দের বিষয় গুলোকে এক জায়গা করুন

আপনার যত ধরনের বিষয়ে পছন্দ হয় তার সব গুলোকে একটা লিস্ট করুন। মনে রাখবেন সেখানে সমস্ত কিছুর লিস্ট করবেন হতে পারে পছন্দের তালিকায় একেবারে নিম্ন পর্যায়ে।   

ধাপ ২ঃ সেগুলোর মধ্য থেকে একটা মোটা দাগে গুরুত্বপূর্ণ গুলোকে বাছুন। 

ধাপ ৩ঃ মোটা দাগে পছন্দ করে আপনার মুল পছন্দটাকে নির্বাচন করুন।

ধাপ ৪ঃ কাজ শুরু করুন

সঠিক নির্বাচন করতে গেলে আমাদের বহু পছন্দের মধ্যে একটা বেছে নিতে হবে এটা একটা জটিল বিষয়। কারণ যদি আপনার অনেক গুলো বিষয় পছন্দ হয় তাহলে আসলে আপনার কোন পছন্দই নাই।

কথাটা একটু অন্য রকম শোনালেও এটাই বাস্তবতা। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শপিং মলে পণ্য পছন্দ কে কেন্দ্র করে একটা গবেষণা হয়েছিল এটার সত্যতা যাচাই করার জন্য।

সেখানে ৬ টি ভিন্ন ভিন্ন রঙের ও স্বাদের জ্যাম এর কৌটা রাখা হয়েছিল একটা টেবিলের উপরে। ৩০ জন পণ্য ক্রেতাদের বলা হয়েছিল যে সেখান থেকে প্রতিটা জ্যাম একবার খেয়ে টেস্ট করে তারপর কিনতে । দেখা গেল যে ৩ জন ক্রেতা সেই জ্যাম খেয়ে টেস্ট করার পর  কিনেছেন। ১০ শতাংশ।

 

অন্য একদিন ২৪ টি আলাদা আলাদা বিভিন্ন রং ও স্বাদের জ্যাম নিয়ে টেবিল সাজানো হল। দেখা গোলও যে ক্রেতাদের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ মাত্র কিনেছেন। অর্থাৎ ওখান থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে যখন আপনার অনেক অপশন থাকবে তখন প্রকৃত পক্ষে আপনার কোন পছন্দ থাকে না। 

এটা ঠিক আমদের জীবনের জন্যও প্রযোজ্য। 

আমাদের অনেক বেশি পছন্দের বিষয় থাকলে প্রকৃত পক্ষে আমাদের কোন পছন্দের বিষয় নাই। 

তাই বহু থেকে নামিয়ে সীমিত তে চলে আসুন।

মনোবিজ্ঞানীরা বলে যে আমরা মাত্র ৫-৭ বিষয় পছন্দ করতে পারি । এর বেশি হলে আমাদের আসলে কোন পছন্দ থাকে না । যা সামনে পাই তাই যেন পছন্দ এমন একটা ভাব। তাই ৫ টি বিষয়ে থেকে আমাদের যেকোনো একটি বিষয় পছন্দ করা তুলনা মূলক সহজ।

 

আমরা যখন কোন বিষয় পছন্দ করি তাতে আমাদের নিজেস্ব ভালোলাগার ফিলিং  থাকতে হবে তা না হলে দীর্ঘ মেয়াদের সেই পছন্দ টিকবে না।

 

একদিন এমন হল আপনাকে বলা হল অফিস থেকে একটা পার্টি করা হবে দুইটা মেনু।  পিঁজা এবং চাইনিজ ফুড। আপনি হঠাৎ চিন্তা না করেই বলে দিলেন যে আমার কোন পছন্দ নাই যে কোন একটা হলেই হবে ।

তার পর রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে কলিগ বলল যে আসুন আমরা চাইনিজ ফুড খাই। তখন আপনি আবার দ্বিতীয় বার ভেবে বললেন যে, না , আমি পিজ্জা খাবো । তার মানে আপনি আগে যেটা বলেছিলেন তা আসলে আপনার ভালোলাগার ফিলিং থেকে আসে নি।

তাই সঠিক নির্বাচনে আপনাকে ভাল লাগাটাকে ফিল করতে হবে। যুক্তি দিয়ে পছন্দ টিকিয়ে রাখা যায় না  যদি অনুভূতি বা আবেগ সেখানে কাজ না করে।

ড্যান গোলম্যান একজন মনোবিজ্ঞানী তার বিখ্যাত একটি বই ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্ট (Motivation Speech) বইয়ে বলেছেন “ পছন্দ নির্বাচনে, আবেগের জ্ঞান ই আসল জিনিষ” 

মস্তিষ্কের যুক্তি পূর্ণ সিদ্ধান্তে আমরা আমাদের পছন্দের সঠিক নির্বাচন করতে পারি না কারণ সঠিক নির্বাচন করার জন্য আমাদের দরকার ফিলিং । তাই যা আমরা অনুভব করতে পারি সেটাই আমাদের প্রকৃত পছন্দ।

 

অর্থাৎ আমাদের সঠিক জিনিস বা বিষয় নির্বাচন করার জন্য যা করতে হবে সেই Motivation Speech বা বক্তব্য  হল;

  • পছন্দের বিষয়গুলো লিস্ট করুন
  • অধিকতর আবেগি বিষয়কে বাছুন
  • নির্দিষ্ট একটি বেছে নিন। 
  • কাজে লেগে পড়ুন

এটাই হল জীবনের জন্য সঠিক বিষয় নির্বাচন করা অথবা জীবনকে ডিজাইন করা ।

তাহলে আমরা আমদের জীবনকে ডিজাইন  করার জন্য সংক্ষেপে ৫ টি সূত্রকে (Motivation Speech) সাজাতে পারিঃ

  • কাজ এবং কাজের দর্শনের জন্য গুপ্তবিন্দু গুলোকে সংযুক্ত করা
  • যেসব সমস্যা কে আমরা দুর করতে পারবো না তার থেকে দুরে থাকা অথবা মেনে নেয়া
  • যেকোনো পরিকল্পনার ৩ টি আলাদা আলাদা প্লান তৈরি করে রাখুন
  • যেকোনো নতুন আইডিয়া সঠিক ভাবে নির্বাচন করুন
  • একটি নির্দিষ্ট আবেগি বিষয় নির্বাচন করুন এবং কাজ শুরু করুন।

এটাই হল আমার আপনার জীবন কে নতুন করে সাজানোর উপায় যা কে বলে জীবনের ডিজাইন।

Learn more (Motivation Speech)Soft SKills for Resume