উপাচার্য ডঃ স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন (swadesh chandra samanta) বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আজ ২১ বছর। সেদিন ছিল বৃষ্টি মুখর দিন। প্রচণ্ড বৃষ্টি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, পবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার মান বজায়ে রাখার জন্য সদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আজকের অনুষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা ভাল অবস্থানে রয়েছে। ভাল জব করছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ক্লাস সংকটে ছিল । আলাদা জায়গা ছিল না । প্রফেসর আ ক ম মোস্তফা জামান স্যার সব সময়ে অগ্রগামী হন নতুন কিছু করার জন্য। তিনি পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের প্রতিষ্ঠাকালীন ডিন।
প্রথম দিকে অভিজ্ঞ শিক্ষক সংকট ছিল। তখনকার দিনে ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের। কোর্স কালিকুলাম ছিল অসম্পূর্ণ ।এখনও এটা উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদ কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন, ভিশন কে মাথায় রেখে কাজ করে যেতে হবে। যেমন ২০৩০ সাল নাগাদ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি করা। এছাড়া ২০৪১ সাল নাগাদ আরও উন্নত দেশে উন্নীত করাও আমাদের ভিশন।
উপাচার্য ডঃ স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত (Swadesh Chandra Samanta)
বর্তমানের করোনা পরিস্থিতে ক্লাস ও পরীক্ষার বিষয়ে কিভাবে শুরু করা যায়? আমরা নীতিমালা তৈরি করেছি। কিন্তু আসলে কবে ক্যাম্পাস খুলবে খুব বেশি নিশ্চিত নয়। মিড আগস্ট নাগাদ বিশ্ব বিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। ১০০ ভাগ ছাত্র ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ এর সম্মতি নিয়েই অনলাইনে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য গ্রামীণফোন এর সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সিম নিতে পারবে। ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষতি পূরণের জন্য একটা রিকভারি প্লান করা হয়েছে। যেমন, পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা। পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যে সময় কমিয়ে আনা। টিকা কিভাবে গ্রহণ করবে ছাত্র ছাত্রীরা । যাদের NID নাই তারাও কিভাবে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ID ব্যবহার করে টিকা পাবে।
NID না থাকলে টিকার সনদ পাবে না। যারা ID দিয়ে যে যেখানে রয়েছে সেখান থেকে টিকা নিতে পারে কিনা! ছাত্রছাত্রীরা NID ছাড়া শুধু মাত্র সশরীরে পটুয়াখালীতে গিয়ে টিকা নিতে পারেব । যদি সম্ভব হয় ছাত্র ছাত্রীরা নিজেরা NID করে নিয়ে টিকা নিতে পারবে। NID ছাড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের হলে ঢুকতে পারবে না। তবে ক্লাস পরীক্ষা দিতে পারবে।