এসতেগফার বা তওবার ২৫টি উপকারিতা ও ফজিলত:
পবিত্র কোরান ও হাদীসের আলোকে এসতেগফারের অসংখ্যা উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে ২৫টি উপকারিতা ও ফযিলত বর্ণনা করা হলো।
তওবা এবং এস্তেগফার প্রায় একই, তবে পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, এস্তেগফার হলো জবান বা মুখ দ্বারা ক্ষমা চাওয়া আর তওবা হলো অন্তর দিয়ে ক্ষমা চাওয়া।এস্তেগফারের জন্য গোনাহ হওয়া বা গোনাহ থাকা জরুরি নয়। নবী রাসুলরা প্রত্যহ অসংখ্যবার আল্লাহর কাছে এস্তেগফার করতেন, অথচ তাদের কোনো গোনাহ ছিল না। তারা নিষ্পাপ তথা মাসুম ছিলেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) দোয়ায় বলতেন, ‘হে আল্লাহ আমার ছোট-বড়, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, গোপনে-প্রকাশ্যে, শুরুতে ও শেষে কৃত সব গোনাহ ক্ষমা করে দাও।’ (মুসলিম)। বান্দা তওবা ও এস্তেগফারের সমন্বয় করে দোয়া করবে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা, তোমরা তোমাদের রবের কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আমি প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করি ও ক্ষমা চাই।’ (নাসাঈ)।
আমাদের নবী (সা.) অধিক পরিমাণে এস্তেগফার করতেন
যদিও আল্লাহ তাঁর পূর্বাপর সবকিছু ক্ষমা করে দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত্যুর আগে বেশি বেশি বলতেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।’ (বোখারি ও মুসলিম)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলের চেয়ে বেশি আর কাউকে আমি ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি’ বলতে দেখিনি। (নাসাঈ)। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের সালামের পর তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহা’ বলতেন। (মুসলিম)। আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত হকুম নাযিল করেন وَاسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُواْ إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي رَحِيمٌ وَدُودٌ আর তোমাদের পালনকর্তার কাছে মার্জনা চাও এবং তাঁরই পানে ফিরে এসো নিশ্চয়ই আমার পরওয়ারদেগার খুবই মেহেরবান অতিস্নেহময়। [ সুরা হুদ ১১:৯০ ]
পবিত্র কুরানে পাকে এসতেগফারের উপকারিতা আল্লাহ তায়ালা খুব চমৎকার ভাবে বননা করে দিয়েছেন। একদিন এক লোক হযরত হাসান বসরী(রহ) কাছে এসে আরজ করল হযরত আমি বড়ই গুহানগার এমন আমল বলে দিন যেন আমার গুনাহ সমুহ মাফ হয়, হযরত হাসান (রহ) বললেন বেশী বেশী এসতেগফার পড়
এরপর আর একজন এসে আরজ করল অনেক দিন যাবত বৃষ্টি হচ্ছেনা এমন আমল বলে দিন যাতে তা আমরা করলে আল্লাহ রহমতের বৃষ্টি বষন করবেন, হযরত বললেন বেশী বেশী এসতেগফার পড়, এরপর আর একজন লোক আসল বলল হযরত আমি কজের দ্বারা জর্জরিত অনেক দিন যাবৎ চেষ্ট করছি কজ পরিশোধ করতে কিন্তু পারছি না আপনি আমাকে এমন আমল এর কথা শিখান যাতে আমি কজ থেকে মুক্ত হতে পারি।
হযরত বললেন এসতেগফার পড়। এক বান্দা আসল হযুর আমার জন্য দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ছেলে সন্তান দান করেন, হযরত তাকে শিখিয়ে দিলেন বেশী বেশী এসতেগফার কর। এরপর আরেক বান্দা আসল বলল হযুর আমার বাগানে ফল যাতে বেশী হয় সে জন্য দোয়া করুন হযরত বলরেন তুমি বেশী বেশী এসতেগফার কর তাহলে তোমার বাগানে ফল বেশী বেশী হবে।
আর একজন আসল হযরত আমার বাড়ীতে যেন পানির যথাযথ ব্যবস্থা হয় সেজন্য দোয়া করুন হযরত জবাব দিলেন এসতেগফার কর। এখন সে মজলিশে যারা ছিল তারা বড়ই হয়রান, যে হযরত সকল সমস্যার জন্য একটাই আমল এর কথা বলছেন এসতেগফার, তখন একজন প্রশ্ন করল হযরত আপনি সকলকে সব ধরনের সমস্যার জন্য একই আমল বলে দিচ্ছেন এর কারন কি?
তখন হযরত হাসান (রাঃ) কোরানের আয়াত পাঠ করলেণসুরা নুহ এর ১০ নং আয়াত থেকে ১২ নং আয়াত فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। [ সুরা নূহ ৭১:১০ ] يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, [ সুরা নূহ ৭১:১১ ]وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ত তি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।
[ সুরা নূহ ৭১:১২ ]সুরা নুহের এ ৩ টি আয়াতের দ্বারা এসতেগফারের ৬টি উপকারিতা আল্লাহতায়ালা বয়ান করে দিয়েছেন। এ এসতেগফারের একটি আমলও যদি আমরা ধারাবাহিক ভাবে করতে পারি তাহলে আমাদের সকল সমস্যার এর দ্বারাই সমাধান হয়ে যাবে, কেহ বলে ব্যবসায় লোকসান এটা বাগানের মত সুতরাং এসতেগফার দ্বারা যেমন বাগানে ফসল বেশী হয় তেমনি ব্যবসায়ীরা এসতেগফার দ্বারা তাদের ব্যবসায় বরকত আনতে পারেন। কেহ বলে সন্তান হয় না তারা এসতেগফার এর আমল করতে পারেন।
কেহ বলে খড়া সৃষ্টি হয়েছে তারাও এসতেগফার করতে পারেন, কেহ বলে কজ শেষ হয় না তারাও এ মহান আমলটি করতে পারেন ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সমাধান করে দিবেন। এটা আল্লাহর কালাম এতে কোন ধরনের সন্দেহ নাই।
আল্লামা বগভি (রহ.) লিখেছেন, হজরত নুহ (আ.) এর জাতি যখন বহুদিন ধরে তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকে, আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি থেকে বিরত থাকতে অস্বীকৃত জানায়, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি বৃষ্টিপাত বন্ধ করে দেন। ৪০ বছর ধরে তাদের সন্তান-সন্ততি জন্মগ্রহণ বন্ধ রইল, তাদের অর্থ-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে গেল, এমনকি চতুষ্পদ জন্তুগুলোও শেষ হয়ে গেল।
তখন তাদের হজরত নুহ (আ.) উপদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হও। একবার হজরত ওমর (রা.) বৃষ্টিপাতের জন্য ইসতিসকার নামাজের উদ্দেশে বের হলেন। ময়দানে এসে তিনি শুধু তওবা-এস্তেগফার করলেন, ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন না। লোকেরা প্রশ্ন করল, আপনি ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন না, শুধু এস্তেগফার করলেন কেন? তিনি বললেন, আল্লাহ তায়ালা এস্তেগফার করার আদেশ দিয়েছেন এবং এর বরকতে বারিবর্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমি তাই করেছি, যা আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন (তাফসিরে কবির)।
কোরান ও হাদীস থেকে আমরা এসতেগফারের অসংখ্যা ফযিলত ও উপকারিতা লক্ষ্য করি তার মধ্যে;
২৫টি গুরুত্বপুন উপকারিতা হল
১) এসতেগফার করা নবীদের সুন্নত
২) এসতেগফার আল্লাহর কাছে প্রিয় একটি আমল
৩) এসতেগফার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়
৪) এসতেগফার দ্বারা গুনাহসমুহ মাফ হয়
৫) এসতেগফার দ্বারা ব্যবসায় লাভ হয়
৬) এসতেগফার দ্বারা মযাদা বৃদ্ধি পায়
৭) এসতেগফার দ্বারা আল্লাহর রহমত নাযিল হয়সহিহ নিয়তে এসতেগফার পাঠ করলে আল্লাহ করুনা ও দয়া করবেন দলিল কুরান আযিমুশশান সুরা নিসার ১১০ নং আয়াত وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়। [ সুরা নিসা ৪:১১০ ]
৮) এসতেগফার দ্বারা সন্তান সন্ততি যাদের হয়না তাদের সন্তান হয়
৯) এসতেগফার খড়া ও অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
১০) এসতেগফার দ্বারা বাগানে ফসল ভাল হয়
১১) এসতেগফার দ্বারা কলবের ময়লা পরিস্কার হয় হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, মোমিন ব্যক্তি যখন কোনো গোনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে।
তারপর সে যদি ফিরে আসে, গোনাহের ইচ্ছাকে মন থেকে বের করে দেয় এবং এস্তেগফার করে, তাহলে তার অন্তর পরিচ্ছন্ন করে দেয়াহয়।যদি আবার গোনাহ করে তাহলে এটি বাড়তে থাকে।অবশেষে গোনাহগুলোর কারণে তার অন্তর কালিমায় আচ্ছাদিত হয়ে যায়। বস্তুত এটিই আলোচনা করে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে,كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَকখনও না, বরং তারা যা করে, তাই তাদের হৃদয় মরিচা ধরিয়ে দিয়েছে [সুরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৪ ]
১২) এসতেগফার দ্বারা সকল সংকিনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
১৩) এসতেগফার দ্বারা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
১৪) এসতেগফার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা অকল্পনীয় স্থান থেকে রিযিকের ব্যবস্থা করে দেনজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি এস্তেগফার করাকে সর্বদা গ্রহণ করে আল্লাহ তাকে সব সংকীর্ণতার মধ্যে উদ্ধারের পথ বের করে দেন, সব দুশ্চিন্তার ক্ষেত্রে মুক্তির পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন যা সে চিন্তাও করেনি।’ (আবু দাউদ ও আহমদ)।
১৫) এসতেগফার দ্বারা সকল গুনাহসমুহ মাফ হয়ে যায়। হজরত বিলাল ইবনে ইয়াসার ইবনে জায়েদ (রা.) (যিনি ছিলেন প্রিয় নবী (সা.) এর আজাদকৃত গোলাম) থেকে বর্ণিত, তিনি তার বাবা ও দাদা সূত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি পড়ে ‘আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইউম ওয়া আতুবু ইলাইহি’ তার সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, এমনকি ধর্মযুদ্ধ থেকে পলায়নের গোনাহও ক্ষমা করে দেয়া হয়।” (তিরমিজি, মিশকাত)।
১৬) এসতেগফারের দ্বারা আল্লাহর আযাব ও আসে না দলিল কোরানের সুরা আনফালের ৩৩ নং আয়াতوَمَا كَانَ اللّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ اللّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَঅথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না। [ সুরা আনফাল ৮:৩৩ ]
১৭) গুনাহ নামক মারাত্মক রোগের ঔষদ হল এসতেগফারহজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, আমি কি তোমাদের জানাব না, তোমাদের রোগ কী এবং তার ওষুধ কী? তোমাদের রোগ হলো গোনাহ, আর ওষুধ হলো এস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। (বায়হাকি, আত-তারগিব)।
১৮) এসতেগফার শয়তানের বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষে একটি চ্যালেঞ্জহজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘ইবলিস বলেছিল, তোমার প্রতাপের শপথ, তোমার বান্দাদের দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকবে, ততক্ষণ আমি তাদের বিপথগামী করতে থাকব। জবাবে আল্লাহ তায়ালা বলেছিলেন, আমার প্রতাপ ও মহিমার শপথ, তারা যতক্ষণ ক্ষমা চাইতে থাকবে, আমি তাদের ততক্ষণ ক্ষমা করতে থাকব।’ (আহমদ, হাকেম)।এছাড়াও এস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে
(১৯) হৃদয় মুকুরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয়।
(২০) নেক কাজ করতে মনে চায়।
(২১) গোনাহের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়।
(২২) হৃদয়-মন দারুণ প্রফুল্ল থাকে।
(২৩) ইবাদতে একাগ্রতা তৈরি হয়।
(২৪) বিপদাপদ থেকে আল্লাহ তায়ালা হেফাজত করেন।
(২৫) এসতেগফার করার পর আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়াও কবুল করেন।
আসতাগফিরুল্লাহা প্রতিদিন পাঠ করুন তবে পড়ার সময় মনে মনে নিজের গুনাহের জন্য লজ্জিত হউন, এটা যেন না হয় জবানে এসতেগফার করছেন আর মনে মনে গুনাহের খেয়াল চলছে।রাবেয়া বসরী বলেন আমরা এমন ধরনের এসতেগফার করি যে সেটার উপর এসতেগফার করার প্রয়োজন হয়। অথ্যাৎ মুখে এসতেগফার বা ক্ষমা প্রাথনা করছি গুনাহ থেকে কিন্তু মনে মনে গুনাহের খেয়াল করছি আর এ ধরনের এসতেগফারের জন্যও ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন হয়।
সূরা আল-ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত
এস্তেগফার করলে তা প্রকৃতার্থে এবং খালেস অন্তরে করা উচিত। কেননা গোনাহে অটল থেকে তওবা করা অর্থ আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে ঠাট্টা-মশকরা করা (নাউজুবিল্লাহ)।এসতেগফার কিভাবে পড়বেন?কয়েক ভাবে পড়া যায় যা হাদীসসমুহে বনিত রয়েছে ১) শুধু আসতাগফিরুল্লাহ (মুসলিম) অথবা ২) ‘আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইউল কাইউম ওয়া আতুবু ইলাইহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)।অথবা ৩) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।’ (বোখারি ও মুসলিম) ৪) ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি’ (নাসাঈ)।
More Stories
সাপ থেকে বাঁচার দোয়া
চন্দ্রবোড়া সাপ কামড়ালে কি করা উচিত
সাপ্তাহিক চাকরির খবর ২০২৪