ডাইনোসরের (Indian Dinosaurs) ছবি ও পরিচিতি
List of All Indian Dinosaurs
ব্রুহাতকেয়সরাস (Indian Dinosaurs) ডাইনোসরের ছবি ও পরিচিতি
পরিচিতিঃ
প্রাগৈতিহাসিক কালে পৃথিবীতে বসবাসরত সমস্ত ডাইনোসরদের মধ্যে ব্রুহাতকেয়সরাস সম্ভবত সর্ববৃহৎ। যদিও দক্ষিণ ইন্ডিয়াতে এর একটি মাত্র ফসিল পাওয়া গিয়েছে এবং সুনামির কারণে সেই ফসিলের ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইহার ফসিল থেকে ধারনা করা হয় ব্রুহাতকেয়সরাস এর ওজন ছিল ১০০ টন এর কাছাকাছি। এটা দৈর্ঘ্যে ৩৫ মিটার বা ১১৫ ফুট লম্বা ছিল।
ব্রুহাতকেয়সরাস একটি তৃণভোজী ডাইনোসর।
ভারতের যত ডাইনোসর ছবি সহ
ছোটদের ডাইনোসর
ছোটদের ভারতের যত ডাইনোসর ছবি সহ একটি সম্পাদনা
ডাইনোসর প্রাণীগুলো খুবই নিরীহ প্রকৃতির ছিল তবে মাংসাশী প্রাণীও ছিল। এই বৃহৎ প্রাণীগুলো নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নাই। কেন এরা বিলুপ্ত হল? কেন এরা নিজেরদেরকে বাঁচাতে পারলনা? সেই সব বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিরলস গবেষণা করে যাচ্ছেন ।
বর্তমান ইন্ডিয়াতে কিছু Dinosaur বসবাস করতো যে গুলো আকারে অনেক বৃহৎ ছিল। ইন্ডিয়াতে অনেক ফসিল পাওয়া যায় যায় যেগুলো প্রমাণ করে ডাইনোসর আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে ব্যাস করতো।
আজ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে (৬.৬ কোটি) পৃথিবীতে ডাইনোসর দের সর্বশেষ পদচারনা ছিল। মানুষ সৃষ্টির বহু পূর্বে পৃথিবীতে ডাইনোসর বসবাস করতো।
কোন কোন ডাইনোসর অতি বৃহৎ । আকারে মানুষের থেকে কয়েক গুণ বড় আর শক্তি ছিল অনেক বেশি।
তারা মূলত মাংসাশী, তৃণভোজী ও সর্বভুক প্রাণী। স্থল ভাগে বসবাস তারা বেশি পছন্দ করতো।
বিজ্ঞানীদের ধারনা বর্তমান মেক্সিকোর চিক্সুলাভ নামক জায়গায় মহাশূন্য থেকে একটি বৃহৎ উল্কা পাত হয়। যার ফলে পৃথিবীতে কয়েক কোটি বছর ঘরে বসবাস করা বৃহৎ প্রাণীর বিলুপ্তি হয়।
ছোটদের ডাইনোসর ১ খণ্ডে, যে সমস্ত ডাইনোসর গুলো দেখানো হয়েছে তারা মূলত বর্তমান ইন্ডিয়া তে বিভিন্ন প্রদেশে বসবাস করতো । যদিও কয়েকটি ডাইনোসর ইন্ডিয়া সহ আর্মেনিয়া, আর্জেন্টিনা ফ্রান্সে ও বসবাস করতো। ইন্ডিয়াতে প্রধানত মধ্য প্রদেশ, তেলেঙ্গা, তামিলনাড়ু তে ডাইনোসর গুলো বসবাস করতো। ইন্ডিয়াতে বসবাসকারী ডাইনোসর দের মধ্যে টাইটানসরাস ই সম্ভবত সর্ববৃহৎ।
লেভিসুকাস (Laevisuchus) ডাইনোসরের ছবি ও পরিচিতি
লেভিসুকাস (Laevisuchus Dinosaur) একটি মাংসাশী ডাইনোসর। এটা ইন্ডিয়াতে জুরাসিক সময়ে বসবাস করতো। মধ্যপ্রদেশ (ইন্ডিয়া) থেকে ইহার ফসিল পাওয়া গিয়েছে। এই ডাইনোসর Maastrichtian সময় থেকে ক্রিটেসিয়াস পিরিয়ডের ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে বাসবাস করতো।
লেভিসুকাস (Laevisuchus Dinosaur) মূলত একটি স্থল ভাগের ডাইনোসর ছিল। এরা ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়ে বংশ বৃদ্ধি করত। এখন পর্যন্ত এই ডাইনোসরের মাত্র একটি ফসিল পাওয়া গিয়েছে।
PDF ভারতের যত ডাইনোসর ছবি সহ টা ডাউন লোড করে নিন
ছোটদের ডাইনোসর ভারতের যত ডাইনোসর ছবি সহ PDF Download
১. টাইরানোসরাস রেক্স (Tyrannosaurus Rex):
- বিবরণ: টাইরানোসরাস রেক্স, যাকে প্রায়শই “টি-রেক্স” বলা হয়, ছিল একটি বিশাল মাংসাশী থেরোপড ডাইনোসর যা প্রায় ৬৮ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে, পরবর্তী ক্রিটেসিয়াস যুগে বাস করত। এটি সবচেয়ে পরিচিত এবং সহজেই চিনতে পারা ডাইনোসরগুলির মধ্যে একটি, যা এর বিশাল আকার, শক্তিশালী চোয়াল এবং ধারালো দাঁতের জন্য বিখ্যাত। টি-রেক্স ৪০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত, ১৩ ফুট উঁচু হতে পারত এবং ৭ টন পর্যন্ত ওজন করতে পারত।
২. ট্রাইসেরাটপস (Triceratops):
- বিবরণ: ট্রাইসেরাটপস ছিল একটি শাকাহারী ডাইনোসর যা প্রায় ৭০ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে, পরবর্তী ক্রিটেসিয়াস যুগে বাস করত। এটি তার স্বতন্ত্র তিন-শৃঙ্গযুক্ত মাথার জন্য পরিচিত, যা প্রতিরক্ষা এবং প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হত। ট্রাইসেরাটপসের একটি বড়, ভারী শরীর ছিল চারটি শক্তিশালী পা এবং একটি শক্তিশালী লেজ সহ। তারা ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত, ১০ ফুট উঁচু হতে পারত এবং ১২ টন পর্যন্ত ওজন করতে পারত।
৩. স্টেগোসরাস (Stegosaurus):
- বিবরণ: স্টেগোসরাস ছিল একটি শাকাহারী ডাইনোসর যা প্রায় ১৫০ থেকে ১৪৫ মিলিয়ন বছর আগে, পরবর্তী জুরাসিক যুগে বাস করত। এটি তার পিঠের উপরে স্বতন্ত্র প্লেট এবং একটি লম্বা, কাঁটাযুক্ত লেজের জন্য পরিচিত। এই প্লেটগুলি সম্ভবত প্রদর্শন, প্রতিরক্ষা এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হত। স্টেগোসরাসের একটি বড়, সুরক্ষিত শরীর ছিল চারটি শক্তিশালী পা সহ। তারা ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত, ১০ ফুট উঁচু হতে পারত এবং ৬ টন পর্যন্ত ওজন করতে পারত।
৪. ভেলোসিরাপ্টর (Velociraptor):
বিবরণ: ভেলোসিরাপ্টর ছিল একটি ছোট মাংসাশী ডাইনোসর যা প্রায় ৭১ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে, পরবর্তী ক্রিটেসিয়াস যুগে বাস করত। এটি তার বুদ্ধিমত্তা, চটপটেতা এবং ধারালো, অর্ধচন্দ্রাকার নখের জন্য পরিচিত। ভেলোসিরাপ্টররা পালকযুক্ত ডাইনোসর ছিল এবং সম্ভবত শিকার ধরার জন্য তাদের গতি এবং নখ ব্যবহার করে দলে শিকার করত। তারা ৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত, ৩ ফুট উঁচু হতে পারত এবং ৩৫ পাউন্ড
ডাইনোসর গুলো আর মানুষ কি একত্রে বসবাস করতে পারত?
না।
কারণ বিজ্ঞানীদের গবেষণা বলছে যে যদি ডাইনোসর বিলুপ্তি না হত তবে নতুন করে জীব বৈচিত্র্য সৃষ্টি হত না আর তাই শিম্পাঞ্জি ও ওই ধরনের প্রজাতির সৃষ্টি হত না। আর মানুষ ও সৃষ্টি সম্বব হতো না। প্রকৃতির নিয়মে কোন একটি বাস্তুসংস্থান পরিপূর্ণ ধ্বংস হবার পরে সেখানে পূর্বের একই কোন প্রাণী বা গাছাপালা জন্মাতে পারে না।
কিছু কিছু নতুন প্রজাতি ও জন্ম নেয়। যেমন কোন একটি বনাঞ্চল যদি পরিপূর্ণ ভাবে ধ্বংস হয়ে যায় তবে ঐ খানে নতুন কোন গাছের জন্ম হতে পারে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাই একই রকমের গাছ পালা যেমন আশা করা যায় না তেমন নতুন কোন প্রজাতি ও আশা করা যায়।
ঠিক তেমনি ঘটনা ঘটেছিল পৃথিবীতে ৬৬ মিলিওন বছর আগে। ডাইনোসরগুলো মারা যাবা র পর ঐ নতুন বাস্তুসংস্থান থেকে নতুন প্রাণীর ও উদ্ভব হয়েছিল। তবে কিছু ডাইনোসরপ্রজাতি তো অবশ্যই ছিল । তার থেকেই বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় শিম্পাঞ্জি ও অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব হয়। যেমন নেকড়ে জাতীয় প্রাণী থেকে একদা বৃহৎ তিমি মাছে বিবর্তন হয়েছিল বলে বিজ্ঞানীদের ধারনা।
ছোটদের ডাইনোসর হ্যান্ড বুক ছবি সহ ড রমন কুমার বিশ্বাস বিস্তারিত
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের নাম কী?
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের নাম হলো দা সাউদর্ন । অস্ট্রেলিয়ায় এই ডাইনোসরের ফসিল পাওয়া যায়।
পৃথিবী থেকে ডাইনোসর গুলো কত বছর আগে মারা গিয়েছে
বিজ্ঞানীদের ধারনা পৃথিবী থেকে ডাইনোসর ১২০ মিলিয়ন বছর আগে থেকেই ডাইনোসর গুলোর বিলুপ্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় তবে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ডাইনোসরগুলোর সর্বশেষ বিলুপ্তি হয়। বর মেক্সিকোর সিকশো লাভ নামক জায়গায় ভূপৃষ্ঠের গভীরে একটি বৃহৎ কয়লার খনি মজুদ থাকার কারণে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় উল্কাপাত হওয়ার কারণে কয়লা সমৃদ্ধ উপাদান বাতাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘন কালো মেঘের সৃষ্টি করে যা দুই থেকে তিন বছর যাবত সূর্যের কিরণ পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারেনি।
তাছাড়া অধিক ঠাণ্ডা পরিবেশ সৃষ্টি হওয়াতে জীববৈচিত্রের ক্ষতি হয় এবং বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সহ বিভিন্ন গ্রীন হাউস গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পায় এবং ডাইনোসরের বসবাসের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
পৃথিবী থেকে ডাইনোসর গুলো কিভাবে মারা যায়?
খাদ্য এবং বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার কারণে ডায়নোসরগুলো মারা যায়। তবে ক্ষুদ্র প্রজাতির ডাইনোসর গুলো সাধারণত ভূগর্ভস্থ গর্ত করে বসবাস করত অথবা পাখি জাতীয় ডাইনোসরগুলো যারা উড়তে পারতো তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পেরেছিল। বর্তমান কালে আমরা যে পাখি দেখতে পাই এই পাখিগুলো হল ডাইনোসরদের পরবর্তী প্রজন্ম।
ঠিক যেভাবে শিম্পাঞ্জি জাতীয় প্রাণী থেকে মানুষের বিবর্তন হয়েছে বলে ধারণা করা হয় ঠিক তেমনি ডাইনোসরদের পরবর্তী প্রজন্ম হলো বর্তমান কালের পাখি।
একটা প্রশ্ন হতে, পারেডাইনোসর গুলো কি এখনো পৃথিবীতে আছে?
এর উত্তর হল না। তবে ডাইনোসরদের পরবর্তী প্রজন্ম এখনো পৃথিবীতে রয়েছে যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল পাখি।
পাখিরাই হলো ডাইনোসরদের পরবর্তী প্রজন্ম। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে জীবন্ত ডাইনোসরগুলো বিলুপ্ত হলেও তাদের পরবর্তী প্রজন্ম রয়েছে । তবে ডাইনোসরের আরও অনেক প্রজাতি থাকতে পারে যে গুলো এখনো আবিষ্কৃত হয় নি।
ফসিল রেকর্ড থেকে জানা যায় যে ডাইনোসরগুলো বৃহৎ আকারের হবার কারণে প্রতিকূল পরিবেশের তারা মানিয়ে নিতে পারে নি। তবে যে ডাইনোসরগুলো তুলনা মূলক ছোট ও ভু গর্ভে বসবাস করতো অথবা উড়ে বেড়াত তারা অভিযোজন ক্ষমতায় নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছিল।
ইসলাম ধর্মে পবিত্র কোরআনে যেভাবে বলা হয়েছে যে মানুষের একটি প্রজন্মকে আল্লাহ ধ্বংস করেছে ঠিক একই ভাবে প্রকৃতির নিয়মে হয়তো ডাইনোসরেরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলেই প্রকৃতিতে বিশাল পরিবর্তন এসেছে নতুন করে সবুজ ঘাস প্রান্তর গাছপালা তৈরি হওয়ার মাধ্যমে নতুন করে প্রাণী কুলের জন্ম হয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় মানুষের আবির্ভাব।
তাই বলা যায় ডাইনোসরেরা বিলুপ্ত হওয়ার কারণেই প্রজাতি গুলোতে বৈচিত্র্যতা বেড়েছে এবং নতুন নতুন প্রজাতি তৈরি হয়েছে। যদিও পুরাতন প্রজাতি বিলুপ্তি হয়ে গিয়েছে এটা একটি সময়ের প্রক্রিয়া তবে মানুষের আবির্ভাবে ডাইনোসরদের বিলুপ্তির একটি প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে।
কারণ পুরাতন ব্যবস্থা ধ্বংস হলেই নতুন করে আবার সবকিছু শুরু হয়।
যে কারণে ডাইনোসর বিলুপ্তি হয়েছিল ৪০ বছরের বিতর্ক
আজ থেকে ৬.৬ কোটি বছর আগের কথা। মহাশূন্য থেকে ১০ কিমি আকারের একটি উল্কা পিণ্ড বর্তমান মেক্সিকোর একটি অঞ্চল ইউকাতান এর একটি গ্রামে পড়েছিল আর এর ফলে ১৮০ কিমি এলাকা জুড়ে একটি বিশাল গর্ত তৈরি হয় যাকে বলে ক্রাটার। যা কিনা দীর্ঘদিন ধরে মাটির নিচে লুকাইত ছিল। বিজ্ঞানীরা সেই স্থানে ড্রিল করে এই বিশাল আকৃতির গর্তের সন্ধান পায় যা কিনা শুধু মাত্র বিশাল উল্কা পিণ্ডের ফলেই তৈরি হওয়া সম্ভব।
এই গর্ত যে উক্লা পড়ার কারণেই তৈরি হয়েছে তার প্রমাণ বিজ্ঞানীরা খুঁজেছেন। সেখানে তারা অধিক পরিমাণে Hg (মার্কারি ) ও (ইরিডিয়াম) Ir এর সন্ধান পেয়েছেন। আর এর উৎস পৃথিবীতে এত অধিক পরিমাণে পাওয়া যায় না।
সুদূর কোন উল্কা থেকেই এর উৎস হওয়া সম্ভব। তা ছাড়া আরও অনন্য কারণ অনুসন্ধান করে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে এই বিশাল গর্ত কেবল মাত্র উল্কা পাতের ফলে তৈরি হওয়া সম্ভব। এবং এর সাথে ডাইনোসর বিলুপ্তির সম্পর্ক রয়েছে।
ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ কি?
৬.৬ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে কোন মানুষ ছিল না এটা তো বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই উক্লাপাতের ফলেই ডাইনোসর বিলুপ্তি হয়েছিল। উল্কাপাতের ফলে পৃথিবীতে তৎক্ষণাৎ কিছু পরিবর্তন ঘটে যেমন বিশাল আকারের সুনামি সৃষ্টি হয়, ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল রিক্টার স্কেলে ১১, উক্লা পাতের ফলে আগুনের স্ফুলিঙ্গ চারিদিক ভস্মীভূত করে।
এর প্রভাব ধীরে ধীরে সমস্ত পৃথিবী ব্যাপী হতে থাকে। উক্লা পাতের ২-৩ বছর ধরে পৃথিবী তে সূর্যের কিরণ পৌঁছাত না কারণ স্ত্রাটস্ফেয়ার পর্যন্ত ভস্ম ও কার্বন স্যুট কণা পৌঁছে সূর্যের কিরণ কে বাধা সৃষ্টি করত। আর আর ফলে পৃথিবী অন্ধকার ছিল ২-৩ বছর। এজন্য বিশাল আকারের ডাইনোসরদের খাবার জোগান ও বাস্তু সংস্থান পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। ৭০ ভাগ স্থলজ প্রাণী মারা যায় ডাইনোসর সহ।
তবে কিছু কিছু প্রাণী যারা মাটির গর্তে বসবাস করতো তারা রক্ষা পেয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। পৃথিবী অন্ধকার থেকে ধীরে ধীরে আলোময় হয় হতে থাকে কিন্তু বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং সমুদ্রও পৃষ্ঠের তাপমাত্রাও বাড়ে, ফলে, সমুদ্রের প্রাণী মারা যায় তাছাড়া পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বনে আগুন লাগা, বন ধ্বংস হওয়া থেকে শুরু করে, মাটির ক্ষয় সাধন হতে থাকে।
সমুদ্রে গিয়ে অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধতা পেয়ে সমুদ্রের (algae) আলজি বৃদ্ধি পায় এবং অধিক দ্রবীভূত অক্সিজেন শোষণ করে সমুদ্রের প্রাণীর ক্ষতি সাধন করে। এভাবে স্থলজ ও জলজ প্রাণী ধ্বংস হয় যা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধে দেখিয়েছেন।
ডাইনোসর যেহেতু বিশাল আকৃতির প্রাণী তাই তাদের প্রচুর খাদ্য প্রয়োজন হত তবু উক্লা পাতের সাথে সাথেই সমস্ত ডাইনোসর বিলুপ্তি হয়নি। সম্পূর্ণ রূপে ডাইনোসর বিলুপ্তি হতে সময় লেগেছে। ডাইনোসরেরা কয়েক কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে বসবাস করেছে।
ডাইনোসর বর্তমান পৃথিবীতে এখনও বসবাস করতে পারত যদি এমনটি হত!
জাপানের তহহকু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কুনিও কাইহো তার এক গবেষণা প্রবন্ধে দেখিয়েছেন যে, বর্তমান মেক্সিকোর চিক্ষুলাব নামক যে জায়গাতে উক্লা পাত হয়েছিল তার ঠিক নিচেই রয়েছে বিশাল এক কয়লা ও তেলের খনি। যার কারণের উল্কা পাতের জন্য আর ধ্বংস যজ্ঞ ও অধিক হয়েছে এবং অধিক পরিমাণে কার্বন স্যুট কণা যা কিনা ২-৩ বছরের জন্য পৃথিবী অন্ধকার করে রেখেছিল।
তাছাড়া সালফার ডাই অক্সাইড বাতাসের জলীয় অংশের সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক এসিড তৈরি করে যা কিনা ধ্বংসাত্মক প্রাণী ও উদ্ভিদ কুলের জন্য। কুনিও কাইহ আরও দেখিয়েছেন, উল্কা পাত মেক্সিকোতে না পড়ে অন্য কোন জায়গা পড়লে হয়ত এখন ডাইনোসর বেঁচে থাকতো।
বিজ্ঞানীরা ধারনা করে যে, ক্রিতেশিয়াস- পালিওসিন সময়ে উল্কা পাতের মাধ্যমে ডাইনোসর বিলুপ্তি না হলে হয়ত পৃথিবীতে মানুষ আসতো না। কারণ সমস্ত প্রকৃতি নতুন করে শুরু হত না। আর এতে মানুষের ইভলিউশন বা বিবর্তন এর মাধ্যমে সৃষ্টি হয়ত নাও হতে পারত।
More Stories
বাংলাদেশে কেন ডাইনোসরের ফসিল নাই
যে কারণে ডাইনোসর বিলুপ্তি হয়েছিল ৪০ বছরের বিতর্ক
ভারতের যত ডাইনোসর ছবি সহ